১৯৯২ সালের ৫ই এপ্রিল, দিনটা বলিউডের (Bollywood) জন্য খুবই অভিশপ্ত একটি দিন। কারণ এই দিনেই রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয় বলিউড সুন্দরী দিব্যা ভারতীর (Divya Bharti)। পাঁচ তলার এই নিজের ফ্ল্যাট থেকে নিচে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয় তার। তার মৃত্যুটাকে এখনও স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করতে পারেন না ভক্তরা। এই মৃত্যুকে ঘিরে রয়েছে অনেক রহস্য।
তবে রহস্য যাই থাকুক না কেন, দিব্যা ভারতীর মৃত্যুতে কিন্তু আখেরে লাভ হয়েছিল বলিউডের বেশ কিছু অভিনেত্রীর। কারণ সেই সময় দিব্যা ক্রমশ বলিউডের এক নম্বর নায়িকা হয়ে ওঠার পথে এগোচ্ছিলেন। পুরুষ নারী নির্বিশেষে গোটা দেশের দর্শকরা তার রূপে মুগ্ধ ছিলেন। সেই সঙ্গে অভিনয়টাও তিনি বেশ ভালই করতেন। মাত্র ১৯ বছর বয়সে যে সাফল্য তার হাতে এসেছিল তা দুর্লভ।
দিব্যা ভারতীর মত এত কম সময়ে এত বেশি সাফল্য বলিউডে আর কতজন অভিনেত্রীর কপালে জুটেছিল তা একটা প্রশ্ন। ১৬ বছর বয়সে কাজ শুরু করে তিন বছরের মধ্যেই তিনি ২১ টি সিনেমাতে অভিনয় করে ফেলেন। যখন তার মৃত্যু হয় তখনও তার হাতে ছিল অসংখ্য কাজের সুযোগ। তাই তার মৃত্যুতে প্রযোজক ও পরিচালকদের মাথায় হাত পড়ে।
দিব্যার মৃত্যুর পর তড়িঘড়ি সিনেমার নায়িকা খোঁজার কাজ শুরু করে দেন ছবি নির্মাতারা। ঠিক তখনই ভাগ্য খুলে যায় করিশমা কাপুর, শ্রীদেবী, রবীনা ট্যান্ডন থেকে শুরু করে জুহি চাওলা এবং কাজলদের। দিব্যা ভারতীর মৃত্যু যেন এই অভিনেত্রীদের ভাগ্য খুলে দেয়। অজয় দেবগনের সঙ্গে ‘ধনবান’ ছবিতে দিব্যার জায়গাতে কাজের সুযোগ পান করিশমা কাপুর।
অন্যদিকে শ্রীদেবী অনিল কাপুরের বিপরীতে ‘লাডলা’ ছবিতে কাজের সুযোগ পান। ছবিটি প্রথমের দিব্যার কাছেই গিয়েছিল। এই ছবির পর শ্রীদেবীকে আর ঘুরে তাকাতে হয়নি। দিব্যা এই ছবিতে অভিনয় করলে শ্রীদেবীর কেরিয়ার বরবাদ হয়ে যেত। এছাড়া মোহর এবং দিলওয়ালে ছবিতে ডিব্বার বদলে রবিনা ট্যান্ডনকে নেওয়া হয়েছিল।
এই দুটি ছবির ৭০ শতাংশ শুটিং হয়ে যায়। কিন্তু শেষ মুহূর্তে এসে নায়িকা বদলাতে হয়। কর্তব্য ছবিতে দিব্যার জায়গাতে অভিনয় করেছিলেন জুহি চাওলা। আর কাজল অজয় দেবগনের বিপরীতে হালচাল ছবিতে অভিনয় করেন। যে ছবিগুলির নাম এখানে উল্লেখ করা হয়েছে সবকটি ছবি বক্স অফিসে তুমুল হিট হয়। এই ছবিগুলি থেকেই কার্যত বদলে গিয়েছিল বলিউড সুন্দরীদের ভাগ্য।