বলিউড (Bollywood) অভিনেতা ধর্মেন্দ্র (Dharmendra) -র অনুরাগীর সংখ্যা কম নয়। ‘ধরমজী’ একসময় ‘হিম্যান’ নামে পরিচিত ছিলেন। বহু হিট হিট ছবি তার কেরিয়ারে আছে। আবার সম্প্রতি তাকে দেখা গেছে করণ জোহর পরিচালিত রকি অউর রানি কি প্রেম কাহানিতে। কিন্তু জানেন কি এই বর্ষীয়ান অভিনেতার ছয়টি সন্তান থাকতেও তাকে একা থাকতে হয়? চলুন জেনে নিই কোন কারণে এই বয়সে একা থাকতে হয় ধর্মেন্দ্রকে।
আমরা সকলেই জানি ধর্মেন্দ্রর দুটো বিয়ে। ধর্মেন্দ্রর সঙ্গে হেমা মালিনী (Hema Malini) -র বিয়ে সমাজে নিন্দাজনক হলেও স্বামীর দ্বিতীয় বিয়ে অত্যন্ত দৃঢ়তার সঙ্গে সবটাই মেনে নিয়েছিলেন প্রকাশ কৌর (Prakash Kaur)। তিনি বলেছিলেন, হেমার মতো সুন্দরী মেয়েকে যে কেউ নিজের বৌ হিসাবে পেতে চাইবেন। কিন্তু ধর্মেন্দ্রর পৈতৃক ভিটেতে এখনও পা রাখার অধিকার পাননি হেমা।
তবে ধর্মেন্দ্র ও তার প্রথম স্ত্রী প্রকাশ কৌর এর দুই পুত্র ও দুই কন্যা, যথা- সানি দেওল, ববি দেওল , অজয়েতা ও বিজয়েতা। এরপর ধর্মেন্দ্র তার চার সন্তান আর স্ত্রী থাকার পরেও তিনি আবার ধর্ম পরিবর্তন করে বিয়ে করেন বলিউডের ড্রিম গার্লকে। ধর্মেন্দ্র এবং হিমার বিয়ের পর তাদের দুই কন্যা সন্তান অহনা এবং এশার জন্ম হয়। দুই পক্ষ মিলিয়ে ধর্মেন্দ্রর এখন ৬ সন্তান।
কিন্তু এই ৬ সন্তান থাকা সত্বেও নাকি বলিউডের হি ম্যানকে এখন একাই থাকতে হচ্ছে। তার ছয় সন্তানের মধ্যে কেও তাদের বাবা-মায়ের দায়িত্ব নেননি। তাই ধর্মেন্দ্র মুম্বাই থেকে দূরে একটি ফার্ম দিন কাটাচ্ছেন। আর তার থেকে এখন আলাদা থাকে হেমাও। তিনি এখন নিজের বাড়িতে থাকেন। কারণ হেমা মালিনী নিজেকে নারীবাদের প্রতীক বলে মনে করেন। আর সেই কারণেই তিনি ধর্মেন্দ্রর বাড়িতে থাকতে পছন্দ করেন না।
তবে সন্তানদের সঙ্গে তাদের সুসম্পর্ক রয়েছে তাদের।এমনকি ধর্মেন্দ্রর প্রথম পক্ষের সন্তান সানির সঙ্গে এষা ও অহনার সম্পর্ক অনেক ভালো। এমনকি হেমা কোনো সমস্যায় পড়লেও ছুটে আসেন সানি, কিছুদিন আগেই হেমা গাড়ি অ্যাক্সিডেন্টে আহত হলে চিকিৎসকের ব্যবস্থা করেছিলেন সানি। তবে হেমা ও ধর্মেন্দ্রের দায়িত্ব তারা নেননি। এদিকে ধর্মেন্দ্রর এই পরিস্থিতির কথা অনুরাগীদের জানা ছিল না। তবে এই কথা জেনে তাদের মন খুবই খারাপ হয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন : ‘নির্লজ্জ’তার সীমা ছাড়িয়েছিলেন! ধর্মেন্দ্রকে সপাটে চড় মারেন এই বাঙালি অভিনেত্রী
অনুরাগীরা তাদের সন্তানদের নিয়ে কটু মন্তব্য করতে শুরু করেছেন। তবে এই নিয়ে মুখ খুলেছেন ধর্মেন্দ্র। তিনি জানিয়েছেন, “আমি এখন জীবনের এমন একটি পর্যায়ে চলে এসেছি যেখানে আমার শুধু শান্তির দরকার। আর সেই কারণেই আমি আমার স্ত্রীয়ের সঙ্গে পশু পাখিদের নিয়ে আমার ফার্ম হাউসে থাকি।”
আরও পড়ুন : রূপে যেন লক্ষ্মী প্রতিমা! সৌন্দর্যে সৎ মা হেমাকেও হারিয়ে দেবে ধর্মেন্দ্রর দুই মেয়ে