টলিউড (Tollywood) অভিনেত্রী দেবশ্রী রায় (Debashree Roy) এক সময় বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতে চুটিয়ে অভিনয় করেছেন। রূপে-গুণে সেই সময় তিনি ঝড় তুলেছেন ইন্ডাস্ট্রিতে। ভক্তরা ভালোবেসে তার নাম দিয়েছেন কলকাতা রসগোল্লা। এখন বড় পর্দাতে সেভাবে আর দেখা যায় না তাকে। তবে টিভির পর্দাতে মাঝেমধ্যেই মুখ দেখান দেবশ্রী। বেশ কয়েক বছর আগে একটি রিয়েলিটি শো-তে উপস্থিত হয়েছিলেন দেবশ্রী।
জি বাংলাতে আজ থেকে প্রায় ৭ বছর আগে হ্যাপি প্যারেন্টস ডে নামের একটি শোয়ের সম্প্রচার হত। সেখানে টলিউডের সেলিব্রিটিদের অতিথির আসনে বসিয়ে তাদের ইন্টারভিউ নিতেন অভিনেতা দেবশঙ্কর হালদার। তেমনি একটি পর্বে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দেবশ্রী রায়। নিজের জীবনের নানা গল্প তিনি তুলে ধরেন এই মঞ্চে।
গল্প আড্ডার ফাঁকে দেবশ্রীর আরও একটি গুণের পরিচয় মেলে এই মঞ্চে। দেবশ্রীর অভিনয় এবং নাচ তো সিনেমাতে সকলেই দেখেছেন। কিন্তু তিনি যে কত সুন্দর গান করেন, তার গানের গলাও যে কত মধুর, সেই খবরটা জানতেন কি? শুধু খালি গলাতেও তিনি এত সুন্দর গান গাইতে পারেন যা না শুনলে বিশ্বাসই হবে না।
সেদিন ওই পর্বের অনুষ্ঠানে দেবশ্রীর সঙ্গে তার মা আরতী রায়ও উপস্থিত ছিলেন। সেই সঙ্গে দেবশ্রীর দিদিও এসেছিলেন। দেবশ্রীর মা আরতি রায় একজন সংগীতশিল্পী। মায়ের সূত্রেই অসাধারণ গানের গলা পেয়েছেন দুই বোন। দেবশ্রী এবং তার দিদি ওই দিন ‘পলাশবনী’ নামের একটি হিন্দি সিনেমার থেকে জনপ্রিয় গান ‘হাসতা হুয়া নুরানী চেহরা’ গেয়ে শুনিয়েছিলেন।
একাধারে বহু গুণের সমাবেশ ঘটেছে দেবশ্রীর মধ্যে। নায়িকা হিসেবে তিনি জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন। দেবশ্রী অভিনয় ছেড়ে দিয়েছেন বলে আজও পর্দাতে তাকে মিস করেন দর্শকরা। আর তার নাচ তো একসময় পর্দাতে ঝড় তুলেছে। অভিনয় ছেড়ে এরপর অভিনেত্রী রাজনীতির মঞ্চে প্রবেশ করেন। কিন্তু মা এবং দিদির মত তিনিও যেখানে চর্চা করেন তা তার গান শুনে বেশ বোঝা গিয়েছে।
তবে দীর্ঘ প্রায় ১০ বছর পর আবার অভিনয়ের মধ্যে ফিরে এসেছিলেন দেবশ্রী। কিন্তু সিনেমা নয়, টেলিভিশনের পর্দাতে সিরিয়াল দিয়ে শুরু হয়েছিল তার নতুন যাত্রা। জি বাংলার পর্দায় ‘সর্বজয়া’ ধারাবাহিকের নায়িকা হয়েছিলেন তিনি। বয়স দেখতে দেখতে ৬০ পেরিয়েছে দেবশ্রীর। এত বছর পর্দা থেকে দূরে থাকলেও তিনি মুছে যাননি দর্শকদের মন থেকে।