নেপোটিজম বিতর্কে জর্জরিত বলিউড (Bollywood)। আর নেপোটিজমকে প্রশ্রয় দেওয়ার অপরাধে সবথেকে বেশি কথা শুনতে হয় পরিচালক করণ জোহরকে (Karan Johar)। ধর্মা প্রডাকশনের কর্ণধারের হাত থেকে বলিউডে একের পর এক ডেবিউ করেছেন স্টারকিডরা। তার জন্যই নাকি প্রকৃত প্রতিভারা সুযোগ পান না ইন্ডাস্ট্রিতে। অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু প্রসঙ্গে অভিযোগের আঙ্গুল উঠেছিল তার দিকেই। আজও এই বিতর্ক থেকে রেহাই পাননি তিনি।
এহেন করণ জোহর সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রতিনিয়ত উঠতে বসতে খোঁটা খাচ্ছেন। নেটিজেনরা তাকে এবং তার ছবি বয়কট করার ডাক দিচ্ছেন বারবার। এমনকি তার প্রোডাকশনের সবথেকে বড় বাজেটের ছবি ‘ব্রহ্মাস্ত্র’কে ফ্লপ করতেও উঠেপড়ে লেগেছিলেন নিন্দুকরা। যদিও সমালোচকদের মুখে ছাই দিয়ে সারা বিশ্ব জুড়ে রমরমিয়ে ব্যবসা করেছে ব্রহ্মাস্ত্র।
এতকিছুর পরেও সোশ্যাল মিডিয়াতে অবিরাম কটাক্ষ সইতে হচ্ছে তাকে। এমনকি তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও অবিরাম নোংরা আলোচনা চলে। সোশ্যাল মিডিয়ার এই নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া আর নিতে পারছেন না করণ। তাই এবার জীবনের সবথেকে বড় সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললেন তিনি। অবিরাম সমালোচনায় সহ্যসীমা ছাড়াতেই একপ্রকার বাধ্য হয়েই কারণ এমন এক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যাতে অবাক হয়ে গিয়েছেন তার ভক্তরা।
সম্প্রতি টুইটারে একটি বার্তা শেয়ার করেন করণ। সেখানেই তিনি জানিয়েছেন তার সিদ্ধান্তের কথা। তিনি পাকাপাকিভাবে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে বিদায় নিলেন এবার। আর তাকে পাওয়া যাবে না টুইটারে। টুইট করে এ কথা জানিয়ে দেওয়ার পরই চিরকালের জন্য টুইটার থেকে বিদায় নেন বলিউডের এই প্রখ্যাত পরিচালক তথা প্রযোজক। আচমকা তার এই সিদ্ধান্তে অবাক হয়ে গিয়েছেন সকলে।
টুইটারে এই পর্যন্ত ১৭.২ মিলিয়ন অনুরাগী ছিল করণের। এই সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে তিনি নিজের ছবির প্রচারের পাশাপাশি অনুরাগীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন। সেই সঙ্গে ট্রোলারদের কড়া জবাবও দিতেন তিনি। এর আগে ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ নিয়ে টুইটারেই এক নেটিজেনের সঙ্গে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন তিনি।
সোমবার টুইট বার্তায় তিনি লেখেন, “শুধুমাত্র ইতিবাচক শক্তির জন্যই জায়গা করছি এবং এটি সেই দিকেই নেওয়া একটি পদক্ষেপ। চিরবিদায় টুইটার।” করণের এই বার্তা পেতেই মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়েছে তার ভক্তদের। এখন আর টুইটারে পাওয়া যাবে না তাকে। তবে ইনস্টাগ্রামে তার অ্যাকাউন্ট এখনও সক্রিয় আছে।