সম্প্রতি বলিউড অভিনেত্রী মহিমা চৌধুরীর ক্যান্সারে (Mahima Chaudhry Cancer) আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলেছে। ‘পরদেশ’ খ্যাত অভিনেত্রীর চিকিৎসা চলছে মারণ রোগের বিরুদ্ধে। অসম্ভব মনের জোর নিয়ে তিনি লড়ে চলেছেন ক্যান্সারের সঙ্গে। সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে তার জন্য প্রার্থনা করছেন ভক্তরা। তবে বলিউডে মহিমা একা নন, তার আগেও বহু অভিনেত্রী শরীরে বাসা বেঁধেছে এই মারণ রোগ। তারা সকলেই সাহসিকতা এবং মনের জোর দিয়ে ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়েছেন। এদের মধ্যে অনেকেই আজ ক্যান্সারমুক্ত (Bollywood Actress Fight Against Cancer)। এক নজরে দেখে নিন এই তালিকাটা।
কিরণ খের (Kiran kher) : বলিউড অভিনেত্রী তথা অনুপম খেরের স্ত্রী কিরণ খের ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়ছেন দীর্ঘদিন ধরে। মাল্টিপল মায়লমা নামের এক দুরারোগ্য ক্যানসার তার শরীরে বাসা বেঁধেছে। এই রোগে অস্বাভাবিক হারে প্লাজমা কোষ তৈরি হয় অস্থি মজ্জায়। যার ফলে শরীরের বিভিন্ন হাড়ের মধ্যে ম্যালিগন্যান্ট টিউমার তৈরি হয়। তবে কিরণ এই প্রাণঘাতী ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করেও চুটিয়ে অভিনয় করে চলেছেন।
সোনালি বেন্দ্রে (Sonali Bendre) : বলিউডের এই সুন্দরী অভিনেত্রীর শরীরে ২০১৮ সালে মেটাস্ট্যাটিক ক্যান্সার ধরা পড়ে। চিকিৎসার জন্য নিউইয়র্কে চলে যান অভিনেত্রী। চিকিৎসার পর তিনি এখন অনেকটাই সুস্থ আছেন। ক্যান্সারের বিরুদ্ধে এই লড়াই তার মানসিক জোর বাড়িয়ে দিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়াতে ও বিভিন্ন ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে তিনি ক্যান্সারের বিরুদ্ধে সচেতনতার প্রচার চালাচ্ছেন।
তাহিরা কশ্যপ (Tahira Kashyap) : বলিউড অভিনেতা আয়ুষ্মান খুরানার স্ত্রী তাহিরাও ২০১৮ সালে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছিলেন। এখন তিনি ক্যান্সারমুক্ত। এখন ক্যান্সারের বিরুদ্ধে সচেতনতার প্রচারে অংশ নিয়েছেন তাহিরা। সেই সঙ্গে তিনি তার পরবর্তী ছবি ‘শর্মা জি কি বেটি’র কাজ নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন।
লিসা রে (Lisa Ray) : ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার পর অভিনেত্রী প্রথম এক বছর তার অসুস্থতার খবর কাউকে জানতে দেননি। থেরাপি চিকিৎসা চলার সঙ্গে সঙ্গে সমানতালে শুটিং করে গিয়েছিলেন তিনি। ২০০৯ সালে মাল্টিপল মায়লেমা নামের ভয়ঙ্কর ব্লাড ক্যান্সার ধরা পড়ে তার শরীরে। উপযুক্ত চিকিৎসার পর অভিনেত্রী এখন সুস্থ।
মনীষা কৈরালা (Monisha Koirala) : ২০১২ সালে মনীষার শরীরে ক্যান্সার ধরা পড়ে। ওভারিয়ান ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। বেশ কয়েক বছর চিকিৎসা চলার পর ২০১৫ সালে চিকিৎসকরা তাকে ক্যান্সারমুক্ত বলে ঘোষণা করেন। ক্যান্সারমুক্ত হওয়ার পর ‘হিলড’ নামের একটি বইতে তিনি তার আত্মজীবনী এবং ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কাহিনী তুলে ধরেন।