উদ্ধার হয়েছিল পচাগলা লাশ! পারভিন বাবির মৃত্যুর ১৭ বছর পরেও বিভীষিকা তাড়া করে ফ্ল্যাটের ক্রেতাদের

Riya Chatterjee

Published on:

৭০-৮০র দশকে বলিউডের (Bollywood) বড়পর্দার সুন্দরীদের মধ্যে পারভিন বাবির (Parveen Babi) সৌন্দর্যমুগ্ধ ছিল তখন গোটা দেশ। সেই সময় বলিউডের ভেতরে এবং বাইরে তার গুণমুগ্ধ পুরুষের অভাব ছিল না কোনও। বলিউডের একজন অন্যতম সফল নায়িকা ছিলেন তিনি। জীবনের নাম-যশ, অর্থ, খ্যাতির অভাব ছিল না তার। তবুও তার শেষ পরিণতিটা হয়েছিল খুবই মর্মান্তিক। মৃত্যুর সময় তিনি পাশে পাননি কাউকেই।

২০০৫ সালের ২০ শে জানুয়ারি পারভিনের মৃত্যুর খবরে তোলপাড় হয় বলিউড। সেই ঘটনার পর দেখতে দেখতে কেটে গিয়েছে প্রায় ১৭ বছর। কিন্তু আজও মুম্বাইতে পারভিনের ফ্ল্যাটটি ফাঁকাই পড়ে রয়েছে। এই ফ্ল্যাটেরই একটি ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছিল অভিনেত্রীর পচে গলে যাওয়া লাশ। বলিউড অভিনেত্রীর যে এমন মর্মান্তিক পরিণতি হতে পারে এমনটা আন্দাজই করতে পারেননি কেউ।

শোনা যায় জীবনের শেষ ভাগে প্রচন্ড মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন পারভিন। তিনি মাদকাসক্ত হয়ে পড়েছিলেন। মানসিক অবসাদে তিনি আত্মহত্যা করেছিলেন বলে জানা গিয়েছিল মৃত্যুর পর। মৃত্যুর ৪ দিন পর ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙে তার মৃতদেহ উদ্ধার হয়। পারভিনের মৃত্যুর পর থেকে তার ফ্ল্যাটটি বহুবার বহুভাবে বিক্রি করার চেষ্টাও করা হয়েছিল। কিন্তু প্রতিবারই কোনও না কোনও কারণে সেই প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়।

মুম্বাইয়ের সবথেকে দামি জায়গায় রয়েছে পারভিন বাবির এই পরিত্যক্ত ফ্ল্যাটটি। জুহু এলাকার রিভেরা বিল্ডিংয়র সাত তলায় রয়েছে তার ফ্ল্যাটটি। সাধারণত মুম্বাইয়ের সমুদ্রের ধারে অবস্থিত এমন একটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট পাওয়ার আশায় বসে থাকেন বহু ক্রেতা। তবে পারভিনের ফ্ল্যাটটি নিতে চাইছেন না কেউই। ১৫ কোটি টাকা দামের এই বিলাসবহুল বাড়ি ভাড়াও নিতে চাইছেন না ক্রেতারা।

পারভিনের ১৫ কোটি টাকার ওই ফ্ল্যাটে যদি কেউ ভাড়া থাকতে চান তাহলে তাকে মাসে চার লক্ষ টাকা করে দিতে হবে। মুম্বাইয়ের ওই এলাকাতে অনেক সস্তার মধ্যেই পাওয়া যাচ্ছে এমন একখানা ফ্ল্যাট। তবুও ক্রেতার অভাব দেখা দিয়েছে। আসলে অভিনেত্রীর শেষ জীবনে যে পরিণতি হয়েছিল সে কথা ভেবেই আর এগোতে চাইছেন না কেউ। তাছাড়া ফ্ল্যাটের মালিকানা নিয়েও কিছু সমস্যা রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।

বহু ক্রেতাকে না জানিয়েই পারভিন বাবির ফ্ল্যাট বিক্রি করার চেষ্টা করেছিল দালালরা। তবে সে কথা জানাজানি হতেই তারা পিছিয়ে গিয়েছেন। ২০১৪ সালে একজন ক্রেতা ফ্ল্যাটটি প্রায় কিনেই ফেলেছিলেন। তবে শেষমেষ ব্যবসায়িক স্বার্থ চরিতার্থ করার উদ্দেশ্যে ফ্ল্যাট ব্যবহারের অভিযোগ ওঠায় তাকে তার পরিবার নিয়ে ফ্ল্যাট ছেড়ে চলে যেতে হয়। সেই থেকে এখনও ফাঁকাই পড়ে রয়েছে পারভিন বাবির ফ্ল্যাটটি।