মিঠাই থেকে দীপা, মায়ের চরিত্রে মন জিতেছেন বাংলা সিরিয়ালের এই ৫ অভিনেত্রী

বাংলা সিরিয়ালের (Bengali Mega Serial) অভিনেত্রীরা তাদের অভিনয় গুণে দর্শকদের মনে জায়গা করে নেন। বর্তমানে মিঠাই থেকে দীপা, এবং বাংলা সিরিয়ালের অন্যান্য নায়িকারা স্ত্রী, বৌমা চরিত্রের পাশাপাশি মায়ের চরিত্রেও দুর্দান্ত অভিনয় করছেন। অথচ এদের বয়স কিন্তু খুব একটা বেশি নয়। তবে চরিত্রের প্রয়োজনে গল্পের সঙ্গে খুব ভালভাবে নিজেদের খাপ খাইয়ে নিতে পেরেছেন তারা। এক নজরে দেখে নিন বাংলা সিরিয়ালে সেই ৫ সেরা অভিনেত্রী (5 Bengali Serial Actress Best As Mother) কারা।

মিঠাই (Soumitrisha Kundu) : বাংলার জনপ্রিয় সিরিয়ালগুলির মধ্যে মিঠাইয়ের নাম না নিলেই নয়। এই সিরিয়ালের প্রধান চরিত্রাভিনেত্রী সৌমিতৃষা কুন্ডু স্ত্রী, বৌমা, নাত বউ, বৌদি চরিত্রে অসাধারণ অভিনয়ের মাধ্যমে মন জয় করার পর শাক্যর মা হয়েও নজর কেড়েছেন। বর্তমানে মিঠি হয়ে তিনি মায়ের মতই খেয়াল রাখছেন শাক্যর। মায়ের চরিত্রে তার সাবলীল অভিনয় পছন্দ করছেন দর্শকরা।

দীপা (Swastika Ghosh) : বাংলা সিরিয়ালের সেরা মা হিসেবে দীপা ওরফে স্বস্তিকা ঘোষও রয়েছেন। অনুরাগের ছোঁয়ার অভিনেত্রী লিড হিসেবে তার প্রথম সিরিয়ালের থেকে দারুণ জনপ্রিয়তা পাচ্ছেন। দীপা চরিত্রটিকে অনেক পছন্দ করেন দর্শকরা। কিছুদিন আগেই দীপার কোল জুড়ে এসেছে দুই যমজ মেয়ে সোনা-রূপা। পর্দাতে ছোটদের সঙ্গে তার কেমিস্ট্রি দেখলে মনে হয় তিনি যেন সত্যিই তাদের মা।

মিতুল (Aratrika Maity) : জি বাংলার ‘খেলনা বাড়ি’ সিরিয়ালটিও বেশ জনপ্রিয় একটি সিরিয়াল। এই সিরিয়ালের নায়িকা মিতুলের চরিত্রে অভিনয় করছেন আরাত্রিকা মাইতি। শুরু থেকেই তিনি এই ধারাবাহিকে গুগলি নামের একটি মিষ্টি মেয়ের মায়ের চরিত্রে অভিনয় করছেন।

উর্মি ( Anwesha Hazra) : কিছুদিন আগেই উর্মি-সাত্যকির ‘আমাদের এই পথ যদি না শেষ হয়’ ধারাবাহিকের পথচলার শেষ হয়েছে। তবে সিরিয়াল শেষের আগে উর্মির সন্তান আগমনের সুখবর পেয়েছিলেন দর্শকরা। সিরিয়াল বন্ধের আগে প্রেগন্যান্ট ছিল উর্মি। একজন প্রেগন্যান্ট মহিলার চরিত্রে অন্বেষা হাজরার অভিনয় নজর কাড়বেই।

গুনগুন : বাংলা সিরিয়ালের একজন জনপ্রিয় অভিনেত্রী হলেন তৃণা সাহা। খোকাবাবু, কলের বউ, খড়কুটো সিরিয়ালের নায়িকা হিসেবে তার দুর্দান্ত অভিনয় দর্শকদের মন জিতেছে। এরপর তিনি সিনেমাতেও অভিনয় করেছেন। খড়কুটোর শেষভাগে প্রেগনেন্ট গুনগুনের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন তিনি। এক পুত্র সন্তানের জন্ম দিয়ে গুনগুনের মৃত্যু হয়েছিল খড়কুটোর শেষ বেলায়।