Govinda Unknown Facts : এক সময় তাঁর অভিনয়, তাঁর নাচ, তাঁর হাসি মুগ্ধ করেছে সকলকে। একটা সময় একসঙ্গে ৩৩ টি সিনেমায় অভিনয় করার চুক্তিপত্রে সই করেছিলেন তিনি। ৫৯ বছর বয়সেও তিনি সমান জনপ্রিয়। আজ অভিনয় জগতের সঙ্গে তেমন ভাবে যুক্ত না থাকলেও গোবিন্দা (Govinda) -র কথা জানে না এমন মানুষ নেই কোথাও। কিন্তু এত হাসি খুশি একটি সন্তানকে কেন জন্মের পর কোলে নিতে মানা করে দেন তাঁর পিতা?
Govinda Childhood Story
১৯৬৩ সালের ২১ ডিসেম্বর বিহারে জন্মগ্রহণ করেন গোবিন্দা। গোবিন্দার জন্মের পর থেকেই আশ্চর্যজনকভাবে তার মা সংসার ধর্ম ত্যাগ করেন। ধর্মের প্রতি আকর্ষণ স্বামীর প্রতি তিক্ততা তৈরি করে। সন্তানের প্রতিও তেমন ভাবে আর আকর্ষণ অনুভব করতেন না গোবিন্দার মা। এদিকে গোবিন্দার জন্মের পর গোবিন্দার বাবা তার সমস্ত সঞ্চিত অর্থ খুইয়ে বসেন। পরিবারকে নিয়ে একটি ছোট বাড়িতে থাকতে শুরু করেন গোবিন্দার বাবা।
আর্থিক পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার পর থেকেই ধীরে ধীরে অসুস্থ হতে থাকেন গোবিন্দার বাবা। দীর্ঘ ১৫ বছর অসুস্থতার সঙ্গে লড়াই করার পর অবশেষে তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। গোবিন্দার বাবা নিজের জীবনের এই খারাপ সময়ের পেছনে গোবিন্দার জন্মকে দায়ী করতেন। গোবিন্দার জন্মের পর থেকেই গোবিন্দার মা যেহেতু সংসার ধর্ম ত্যাগ করেন তাই স্ত্রীকে কাছে না পাওয়ার সমস্ত ক্ষোভ গিয়ে পড়ে গোবিন্দার উপর।
গোবিন্দা দাবি করেন, তার বাবা মনে করতেন, তার মা যে সন্ন্যাসীনির জীবন কাটাচ্ছেন তার পেছনে গোবিন্দার জন্মের কোন যোগসূত্র রয়েছে। জন্মের পর কিভাবে হঠাৎ করে একজন সংসারী মানুষ সন্ন্যাসিনী হয়ে যান, সেই বিষয় নিয়ে বারবার প্রশ্ন তুলেছিলেন গোবিন্দার বাবা। এই তিক্ততাকে মনে রেখেই গোবিন্দার জন্মের এক বছর পর্যন্ত তাকে কোলে নেননি তার বাবা।
তবে বাবা যতই সন্তানকে দূরে সরিয়ে রাখুক না কেন, গোবিন্দা চিরকাল বাবাকে সম্মান করেছেন। গোবিন্দার এই অভিনয় জগতে আসার পেছনেও কিন্তু ছিল তার বাবার পরামর্শ। অভিনয় জগতে আসার আগে গোবিন্দা চাকরি করতে চেয়েছিলেন কিন্তু বাবা তাকে পরামর্শ দেন অভিনয় করার। ২১ বছর বয়সে অভিনয় জগতে পদার্পণ করার সাথে সাথে গোবিন্দার জীবন সম্পূর্ণ বদলে যায়।
আরও পড়ুন : ভালোবেসে প্রসেনজিৎকে এই ‘ডাকনাম’ দিলেন রচনা ব্যানার্জী! শুনেই অবাক ভক্তরা
আরও পড়ুন : দ্বিতীয়বার মা হতে চলেছেন আলিয়া? রণবীর-আলিয়ার প্ল্যানিং ফাঁস করে দিলেন করিনা কাপুর
অন্যদিকে মা সংসার ধর্ম ত্যাগ করলেও গোবিন্দা ছিলেন মায়ের বাধ্য সন্তান। সুনিতাকে বিয়ে করার পেছনে ছিল মায়ের আদেশ। শুধুমাত্র মায়ের আদেশ পালন করে একাধিক প্রেম থাকা সত্ত্বেও সুনিতাকে বিয়ে করতে রাজি হয়েছিলেন তিনি। একাধিক সাক্ষাৎকারে সুনিতাও স্বীকার করেন সে কথা। মায়ের আদেশ মেনে প্রতিদিন গায়ত্রী মন্ত্র জপ করতেন গোবিন্দা। ১৯৯৬ সালে গোবিন্দার মা মারা যাবার পর অভিনেতা শারীরিকভাবে ভীষণভাবে ভেঙে পড়েন কিন্তু পরবর্তীকালে গায়ত্রী মন্ত্র জপ করে নিজেকে সামলে ছিলেন তিনি আস্তে আস্তে। আজ দুই সন্তান এবং স্ত্রীকে নিয়ে সংসার করছেন গোবিন্দা।