ফাঁস হয়ে গেল কিরণ দত্তের মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিকের রেজাল্ট, নম্বর দেখে চোখ কপালে নেটিজেনদের

ফেসবুক এবং ইউটিউবের দৌলতে আজ কর্পোরেটদের থেকেও বেশি রোজগার করছেন বাংলার ইউটিউবাররা। কিরণ দত্ত, স্যান্ডি সাহা, ওয়ান্ডার মুন্না, উন্মেষ গাঙ্গুলীদের মত বাংলার এক নম্বর ইউটিউব তারকাদের প্রতিভার কথা আজ গোটা দেশ জানে। সম্প্রতি কিরণ দত্তের মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিকের রেজাল্ট ফাঁস হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। মেধাবী কিরণের রেজাল্ট দেখে চক্ষু চড়কগাছ নেটিজেনদের। বাংলার বাকি ইউটিউবারদের পড়াশোনার দৌড় কতদূর (Bengali YouTubers Educational Qualification)? টিভি নাইন বাংলার রিপোর্ট অনুসারে রইল সেই তালিকা।

উন্মেষ গাঙ্গুলী (Unmesh Ganguly) : জনপ্রিয় ইউটিউব চ্যানেল ‘বাঁকুড়া মিমস’ খ্যাত এই ইউটিউবার বরাবরই মেধাবী ছাত্র। ২০১০ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়ে তিনি পেয়েছিলেন ৮২ শতাংশ নম্বর। এরপর ২০১২ সালে বিজ্ঞান বিভাগে পড়াশোনা করে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় তিনি পেয়েছিলেন ৬৩ শতাংশ নম্বর। এন এস এইচ এম কলেজ থেকে মাস কমিউনিকেশন নিয়ে স্নাতক হন উন্মেষ। তারপর কর্নাটকের মনিপাল থেকেই মাস কমিউনিকেশনের উপর স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করেছেন।

ওয়ান্ডার মুন্না (Wander Munna) : ওয়ান্ডার মুন্না ইউটিউব চ্যানেলের ক্রিয়েটর হলেন ইন্দ্রানী বিশ্বাস। মাধ্যমিকে ৭৫ শতাংশ নম্বর পেয়ে তিনিও পরবর্তীতে সায়েন্স বিভাগে পড়াশোনা করেন। তারপর আশুতোষ কলেজ থেকে ইংরেজি বিভাগে স্নাতক পাস করেন। শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতী থেকে সাংবাদিকতার উপর স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন ইন্দ্রানী। এরপর তিনি কনটেন্ট রাইটার হিসেবে পার্ট টাইম জব নিয়েছিলেন। তখন থেকেই ইউটিউব করছেন ইন্দ্রানী।

স্যান্ডি সাহা (Sandy Saha) : বাংলার নামিদামি ইউটিউববারদের তালিকায় স্যান্ডি সাহাও রয়েছেন। তিনিও কিন্তু মেধার বিচারে বাকিদের থেকে পিছিয়ে নেই কোনও অংশে। মাধ্যমিকে ৭৮.৫ শতাংশ নম্বর পেয়েছিলেন তিনি। তিনিও বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র। উচ্চমাধ্যমিকে ৬০ শতাংশ নম্বর পেয়ে ফিজিওলজি নিয়ে অনার্স পড়েছেন তিনি। এরপর এনভারমেন্টাল সায়েন্স নিয়ে স্নাতকোত্তর পাশ করেন স্যান্ডি। লকডাউন চলাকালীন তার এমএসসির পড়া শেষ হয়েছে।

কিরণ দত্ত (Kiran Dutta) : মাধ্যমিকের পরীক্ষায় প্রতিটি বিষয়ে দারুণ ফলাফল করেছেন কিরণ। A+, AA এর কমে কোনও গ্রেড নেই তার। মাধ্যমিকের মত না হলেও উচ্চমাধ্যমিকেও দারুণ ফলাফল করেছিলেন কিরণ। বিজ্ঞান বিভাগে পড়াশোনা করে পেয়েছিলেন স্টারমার্কস।  বাবা-মা তাকে সায়েন্স নেওয়ার জন্য অবশ্য জোর করেননি। তিনি নিজের ইচ্ছেতেই নিয়েছিলেন। তবে ইতিহাস নিয়ে পড়তে না পারার আফসোস তার সারা জীবন থেকে যাবে। ফিজিক্সের থেকেও ইতিহাস তার আজও বেশি প্রিয়। তাই এখনও ইতিহাস নিয়ে চর্চা তিনি ছাড়েননি।