শেষটা একেবারেই ভালো হলো না। বছর শেষে শুনতে হলো আরও একটি দুঃসংবাদ। দীর্ঘদিন ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করে অবশেষে না ফেরার দেশে চলে গেলেন বাংলা ধারাবাহিকের অতি পরিচিত মুখ কিংশুক গঙ্গোপাধ্যায় (Kingshuk Ganguly)। অভিনেতার এই অকাল প্রয়াণে শোকস্তব্ধ গোটা টেলিপাড়া।
আড়াই দশকের দীর্ঘ অভিনয়ে জীবনে বহু টেলিফিল্ম এবং মেগা ধারাবাহিককে অভিনয় করেছেন কিংশুক। ‘আমার দুর্গা’, ‘করুণাময়ী রানী রাসমণি’ (Karunamoyee Rani Rashmoni), ‘উমার সংসার’, ‘দেবী চৌধুরানী’ ‘গুড্ডি’ সহ বহু সিরিয়ালে অভিনয় করেছেন তিনি। শুধু অভিনয় নয়, ২০২২ সালের ‘দ্য হিউম্যানিটি’ নামে একটি ছবিও পরিচালনা করেছিলেন তিনি। এই সিনেমায় অভিনয় করেছিলেন দেবজিৎ মুখোপাধ্যায় এবং লিটসি দাস।
টেলিফিল্ম পরিচালনা করার পাশাপাশি সদ্য ‘রামপ্রসাদ’ সিরিয়ালের মাধ্যমে ফের টেলিভিশনের পর্দায় কাম ব্যাক করেছিলেন অভিনেতা। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের কাম ব্যাক করার কথা জানিয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘অনেকদিন পর কাজে ফিরে খুব ভালো লাগছে। শুধু বেঙ্গালুরু থেকে আমার এক বন্ধু এবং তার পরিবার আমার কাজটি দেখার সময় আমাকে ছবি পাঠালো। আমি আপ্লুত।’ ডিসেম্বরের ১৪ তারিখ সায়ন ঘোষকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে শেষ পোস্ট করেছিলেন অভিনেতা। তারপর সবকিছুই নিস্তব্ধ হয়ে গেল।
অভিনেতার এই অকাল প্রয়াণের কথা সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়ে কিংশুকের দীর্ঘদিনের সহকর্মী কাঞ্চনা মৈত্র লিখেছেন,” নিজের স্বপ্ন নিয়ে লড়াই করার মত একজন মানুষ চলে গেল। যেখানে থেকো ভালো থেকো। আমি বিশ্বাস করি তাই বললাম, তোমার পরের জার্নিতে তোমার সব স্বপ্ন পূরণ হোক। শান্তিতে ঘুমিও বলবো না, শুধু জানাবো যাত্রা শুভ হোক।”
কিংশুকের এই মৃত্যুতে দুঃখ প্রকাশ করেছেন অভিনেতা হিরোজিৎ চট্টোপাধ্যায় এবং দীপাঞ্জন ভট্টাচার্য। শোক প্রকাশ করেছেন অনেকেই, শোকস্তব্ধ তার সহকর্মী রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায়ও। অভিনেতার এই চলে যাওয়া কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না রাহুল।
আরও পড়ুন : উত্তম কুমারের অকালমৃত্যুর কারণ কী? মৃত্যুর দিন ঠিক কী কী ঘটেছিল?
আরও পড়ুন : টাকার অভাবে চলছে না সংসার! কীভাবে দিন কাটছে তাপস পালের স্ত্রী-কন্যার
সামাজিক মাধ্যমে দুঃখ প্রকাশ করে রাহুল লিখেছেন, “আর একজন চলে গেল যে আমার ডাকনাম জানত। আমার স্কুল সিনিয়র, সহযাত্রী কিংশুক চলে গেছে। ভালো থেকো বলবো না কারণ আমাদের রাজনৈতিক অবস্থান। এটা কি করলেও বলবো না, কারণ ঐ রকম ন্যাকামি করলে ঈশ্বরকে বা বিজ্ঞানকে ছোট করা হয়, শুধু বলব জীবনের শেষ দিন অবধি সবাই যেন ভালোবাসায় থাকে। আয়ু তার যাই হোক।”