Sovan-Baisakhi Latest News : আর কয়েকদিন বাদেই পুজো শুরু। আর এই পুজোকে ঘিরে বাঙালির উন্মাদনা চোখে পড়ার মতো। ইতিমধ্যেই পুজোর প্ল্যানিং শুরু হয়ে গেছে তার সঙ্গে শুরু হয়েছে পুজোর কেনা কাটা। বিশেষ করে বাড়ির মহিলারা কেনা কাটা করতে বেশি পছন্দ করে। আর তাতে অনেক সময় বিরক্তি হয় বাড়ির পুরুষরা। কিন্তু এদিক থেকে নাকি ভাগ্যবান বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় (Baisakhi Banerjee)। একটা চাইলে নাকি তিনটে শাড়ি কিনে দেন শোভন চট্টোপাধ্যায় (Sovan Chatterjee)।
বৈশাখী নিজে একজন শাড়ি প্রেমী। তার বাড়িতে নাকি ১০ আলমারি ভর্তি শাড়ি। মাঝে মাঝেই তাকে দেখা যায় শোভনের সঙ্গে ম্যাচিং করে শাড়ি পড়তে। আর এবার জানা গেলো বৈশাখী নিজে শাড়ি পছন্দ করলেও শোভনের কোনো কম অবদান নেই তার পিছনে। কারন বৈশাখী নাকি একটা শাড়ি পছন্দ করলে তিনটে শাড়ি কিনে দেন। আর এই প্রসঙ্গে এদিন নিজে মুখ খুললেন বৈশাখী।
বছরখানেক আগে এক পুজো আড্ডায় সংবাদমাধ্যমকে বৈশাখী জানিয়েছিলেন, ‘আমি তো কষ্ট উপার্জিত টাকা অহেতুক খরচা করা পছন্দ করি না। এখনও গড়িহাটে গিয়ে শপিং করি। আমার বা শোভন কারও টাকা নষ্ট করাই আমার ভালো লাগে না। শোভনই বরং অবাক হয়ে যায় আর কিছু নেবে না! আমি যদি একটা চাই, ও সবসময় তিনটে চায়।’ শোভনও বলেন, ‘তিনটে শাড়ির মধ্যে বাছতে বলে আমাকে। আমি বলি তিনটেই ঘরে নিয়ে যাও। সঙ্গে একটা আলমারি।’
বৈশাখী আরও জানিয়েছেন, ‘আমার কলেজের এক কলিগ আমাকে একদিন ফোন করে বলেছিল,এই তুই কিন্তু সাবধানে থাকিস! আমাদের এখানকার মহিলা কলিগরা শুধু বলে আমাদের জীবনে একটা শোভন নেই কেন! শোভনের মতো পুরুষ আজকাল ভগবান তৈরি করা বন্ধ করে দিয়েছে।’ আর তার জবাবে বৈশাখী বলেছিলেন ‘আমি ভাগ্যবান বাবা! একটাই যদি তৈরি করে থাকে সে আমার।’
এছাড়াও নিজেদের একসঙ্গে কাটানো প্রথম পুজো নিয়েও আলোচনা করেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন আমি মিষ্টি খেতে খুব ভালোবাসি। তাই আমাদের প্রথম পুজোও শুরু হয়েছিল মিষ্টিমুখ করেই। আর সেই মিষ্টির মধ্যে দিয়েই শুরু হয়ে গিয়েছিল শোভন বৈশাখীর প্রেম। যদিও এখনও পর্যন্ত তাদের দুজনের প্রেম চর্চার বিষয়। এরা দুজনেই কিছু না কিছু নিয়ে সবসময সংবাদ শিরোনামে থাকেন।
আরও পড়ুন : “উত্তম কুমারের মত পুরুষালি চেহারা শোভনের!”, বৈশাখীর মন্তব্যে তোলপাড় নেটদুনিয়া
নিজেদের প্রথম পুজোর কথা মনে করে বৈশাখী বলেন, “শোভনদের একটা খাদ্যমেলা হতো পুজোয়। পুজোর আগে আমাদের অফিসে এসেছে একদিন। আমি ওকে বললাম, পুজো তো শুরু হয়ে গেছে। আপনি আমি দু’জনই ব্যস্ত হয়ে যাব, ক’দিন দেখা হবে না। ও বলল, তুমি কী করছ সন্ধ্যাবেলায়? আমি মেয়েকে নিয়ে বেরোই। জিজ্ঞাসা করল ষষ্ঠীর দুপুরে কী প্ল্যান? আমি বললাম, বাড়িতেই থাকি। ষষ্ঠীর সকালে হঠাৎ বলছে, ১২টার মধ্যে রেডি হয়ে যেও। সেই খাদ্যমেলায় নিয়ে গিয়ে যত মিষ্টির দোকান সেখান থেকে নিজেও খাচ্ছে, আমাকেও খাওয়াচ্ছে। তারপর ফুচকা খাইয়ে ষষ্ঠী ভাল করে শুরু করে বাড়ি পাঠিয়েছিল।”
আরও পড়ুন : অভিনয় ছেড়ে রাজনীতি! সুপারস্টার থেকে মন্ত্রী, সিনেমার গল্পকেও হার মানায় এই অভিনেতার জীবন