পিরিয়ড প্রকৃতির পক্ষ থেকে নারীদের জন্য একটি উপহার। এ উপহার নিয়ে নারীদের বিনা সংকোচে কথা বলার অধিকার রয়েছে। কিন্তু তারপরেও আমাদের দেশে নারীর জন্য পিরিয়ড একটি লজ্জার ব্যাপার মনে করা হয়। এজন্য পরিবারের বড়রাও মেয়েদের পিরিয়ড নিয়ে খুব একটা কিছু বলেন না। কিন্তু এবার এই মেয়েদের পিরিয়ড নিয়ে বিশেষ বার্তা দেওয়া হল স্টার জলসা (Star Jalsha) -র জনপ্রিয় বাংলা সিরিয়াল (Bengali Serial) ‘হরগৌরী পাইস হোটেল’ (Horogouri Pice Hotel) – এর মধ্যে দিয়ে।
সিরিয়ালটির নিয়মিত দর্শকরা জানেন এই ধারাবাহিকে এখন দেখা যাচ্ছে শংকরের দাদা প্রভাকর এখন পাগল থেকে ভালো হয়ে উঠেছে। আর নিজের রূপে ফিরতেই সে এখন বাড়ির সবার ওপর দাপট দেখাচ্ছে। কারন সে পুরনো ধ্যান -ধারণায় বিশ্বাস। এদিন তিনি সকলের কাছে খরচের হিসাব চান। জানতে চায় মেয়েদের কেন হাত খরচ দেওয়া হয়েছে?
তখন উত্তর দেওয়ার ভয়ে বাড়ির সব মেয়েরাই বলে যে তাদের হাত খরচ চাই না। কিন্তু ঐসময় একমাত্র প্রতিবাদ করে ওঠে ঐশানি। একেবারে মুখের ওপর স্পষ্ট করে জানিয়ে দেয় মেয়েরা বা প্রতি মাসে রজঃস্বলা হয় তাই তার জন্য স্যানিটারী প্যাড প্রয়োজন হয়। সেটার জন্য খরচ দিতে হবে। এটা শুনে ঐশানির ভাসুর -শ্বশুর তো বটেই মেয়েরাও কানে হাত দিয়ে জিভ কাটে।
এইসব শুনে এদিকে প্রভাকর এই কথা গুলোকে অশ্লীন কথা বলে মন্তব্য করে। আর তখনই সবার ভুল ভাঙতে ঐশানি বলে ওঠে ‘এটাতো লজ্জার কোন বিষয় নয়। মেয়েরা রজঃস্বলা হয় বলেই নতুন প্রাণের জন্ম হয়।’ সেইসাথে এদিন ঐশানি সবাইকে বোঝায় যে এটা কোন নোংরা বা খারাপ কথা নয় বরং এই নিয়ে আমাদের সমাজে আরো বেশি করে খোলামেলা আলোচনা হওয়া উচিত।
আর এই পর্ব দেখানোর পর এই নিয়ে মন্তব্যের ঝড় বয়ে গেছে। অনেকেই এক পর্বের বাহবা দিয়েছেন। এক মহিলা এই প্রসঙ্গে লেখেন, ‘এগুলো নিয়ে খোলাখুলি আলোচনা হোক। প্যাড কাগজে নয়, এমনই বিক্রি হোক।’ কেউ আবার এই প্রসঙ্গে লিখেছেন, ‘এই প্রথম কোনও ধারাবাহিকে সুস্থ মস্তিস্কের প্রমাণ পাওয়া গেল। সুন্দর বার্তা।’ অনেকেই আবার লেখেন অসাধারণ,
আরও পড়ুন : পুরুষে অরুচি! ৪০ পেরিয়েও অবিবাহিত সিরিয়ালের এই ৮ ‘আদর্শ বৌমা’
আরও পড়ুন : পুরুষে অরুচি! ৪০ পেরিয়েও অবিবাহিত সিরিয়ালের এই ৮ ‘আদর্শ বৌমা’
আবার একজন দর্শক প্রশংসা করে লিখেছেন ‘হ্যাটস অফ, হরগৌরী পাইস হোটেল! ঐশানীর মত মেয়ের প্রত্যেকটা ঘরে ঘরে থাকা দরকার , একমাত্র ঐশানিরই এইরকম গাটস আছে যে কোনো কিছুকে পরোয়া করেনা! এইভাবে সুশীলভাবে সেনসিটিভ একটা বিষয় নিয়ে বিশদ আলোচনা ও এই বিষয় নিয়ে গোড়ামি আঙ্গুল তুলে দেখিয়ে দিল!’