জি বাংলার (Zee Bangla) দিদি নাম্বার ওয়ান (Didi Number One) গত ১০ বছর ধরে বাংলার ঘরে ঘরে মহিলাদের কাছে অন্য মহিলার জীবন সংগ্রামের কাহিনী তুলে ধরে অনুপ্রেরণার জায়গা হয়ে উঠেছে। সঞ্চালিকা হিসেবে রচনা ব্যানার্জী বরাবর মহিলাদের পাশে থেকেছেন, তাদের সংগ্রামকে স্যালুট করেছেন এবং এগিয়ে যাওয়ার ভরসা দিয়েছেন। তবে এবার সেই দিদি নাম্বার ওয়ানের বিরুদ্ধেই উঠলো এক ভয়ঙ্কর অভিযোগ।
টিআরপির লোভে মহিলাদের নিয়ে মিথ্যে নাটক দেখাচ্ছে দিদি নাম্বার ওয়ান! সম্প্রতি এমনই এক অভিযোগ তুলেছেন বেহালার একজন বাসিন্দা। কিছুদিন আগেই তার প্রাক্তন স্ত্রী নাকি দিদি নাম্বার ওয়ানের মঞ্চে এসেছিলেন এবং বিবাহ বিচ্ছেদ নিয়ে তিনি যে কথাগুলি মঞ্চে এসে বলেছেন তাতে আপত্তি তুলেছেন ওই ব্যক্তি। ওই ব্যক্তির দাবি, শুধু একতরফাভাবে মহিলাদের কথাই শুনছে দিদি নাম্বার ওয়ান, অত্যাচারিত পুরুষদের কথা শুনছে কই?
একটি সংসার ভেঙে যাওয়ার পেছনে থাকে অনেক কারণ। তবে সেসব না জেনেশুনে শুধু একজন মানুষের একতরফা কথা শুনেই অন্য একজনকে ভিলেন বানিয়ে দেওয়া এবং সেই ভাবেই তাকে টিভিতে উপস্থাপন করার ঘোর বিরোধিতা করেছেন ওই ব্যক্তি। তবে তিনি শুধু একা নন, তাকে সমর্থন করছেন নেটিজেনদের একটা বড় অংশ। ফেসবুকে প্রকাশিত একটি সাক্ষাৎকারে দিদি নাম্বার ওয়ানের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন ওই ব্যক্তি।
তিনি বারবার বলেছেন, “কিছু মেয়ের জন্য আজ অনেক ছেলেরাও অত্যাচারিত। হাতজোড় করে বলছি দিদি নাম্বার ওয়ানের মতো রিয়েলিটি শো বন্ধ করা হোক।” এমন সব অনুষ্ঠানে একতরফাভাবে মহিলাদের ডেকে এনে তাদের মুখের কথা শোনা হয় এবং তাতেই বিশ্বাস করা হয়। অন্য পক্ষের বক্তব্য শোনা কিংবা সত্য-মিথ্যা যাচাইয়ের কোনও পথ নেই। “প্রয়োজনে দুই তরফকেই ডাকুন, সামনাসামনি কথা হোক”, দাবী তুলেছেন ওই ব্যক্তি।
ওই ব্যক্তির সাক্ষাৎকার শুনে তাকে সমর্থন করে নেটিজেনরা লিখছেন দিদি নাম্বার ওয়ানের মত এবার দাদা নাম্বার ওয়ানেরও বন্দোবস্ত হওয়া দরকার। তাহলে অনেকেরই মুখোশ খুলে যাবে। কেউ লিখছেন, “একদম সহমত। Publicly একতরফা কাঁদুনি গেয়ে মেয়েরা চলে যায় সহানুভূতি কুড়িয়ে। ছেলেদের ওই প্রকাশ্যে কাঁদুনি গাওয়া চলে না। এই সমাজ সেটা শুনবেও না। তারা একতরফা victimised হয়। এই কাঁদুনি বেচে যেসব শো চলে সেগুলো বন্ধ হওয়াই উচিত।”
জনৈক মহিলা মন্তব্য করেছেন, “একদম ঠিক কথা। আজকের দিনে বেশির ভাগ মেয়েরাই সুযোগের সদ্ব্যবহার করেন।আর ছেলেদের অবস্থা হয় স্যানডুইচের মত। আজকের দিনে অনেক ছেলে ও তাদের পরিবার মেয়েদের কাছে অত্যাচারিত হয়। আমার নিজের চোখে এমন ঘটনা দেখেছি। আর দিদি নম্বরে তো মিথ্যার ঝুড়ি বাংলা ঢালি হয়। সব ছেলেরা খারাপ নয় আবার সব মেয়েই খারাপ নয়”। টিআরপির লোভে এরকম মিথ্যা নাটক না দেখানোই উচিত বলে দাবি করছেন দর্শকরা।