অরিজিৎ সিং (Arijit Singh), এই নামটা বাঙালির কাছে শুধু এক গায়কের নাম নয়, নামের সঙ্গে জড়িয়ে আছে প্রচুর আবেগ ও ভালোবাসা। বহু মানুষের কাছে আদর্শ এবং অনুপ্রেরণার নাম অরিজিৎ সিং। বিশ্বজোড়া খ্যাতি তার। তার গান শোনার জন্য প্রত্যেকটা কনসার্টে উপচে পড়ে ভিড়। গায়ক অরিজিৎকে নয় শুধু, ব্যক্তি হিসেবেও অরিজিতের অনেক ভক্ত রয়েছেন।
দেশের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক প্রাপ্ত গায়ক হওয়া সত্ত্বেও মুম্বাইয়ের মত জায়গার বিলাসবহুল ফ্ল্যাট ছেড়ে অরিজিৎ থাকেন জিয়াগঞ্জর মত ছোট্ট শহরে, তার নিজের বাসভূমিতে। এখানেই স্ত্রী, দুই সন্তান এবং পরিবার নিয়ে থাকেন তিনি। এত বড় মাপের শিল্পী হয়েও তিনি খুব সাধারণ জীবনযাপন করেন। তার সন্তানরাও (Arijit Singh`s Sons) বড় হচ্ছে আর পাঁচটা মধ্যবিত্ত বাঙালি পরিবারের মতই।
অরিজিৎ দেশের বড় কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়, জিয়াগঞ্জেরই একটি বেসরকারি স্কুলে তার সন্তানদের ভর্তি করেছেন। কোটি কোটি টাকার মালিক তিনি। তিনি চাইলেই সন্তানদের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য তাদের বিদেশে পাঠাতে পারেন। কিন্তু অরিজিতের পরিকল্পনা সেরকম নয়। সম্প্রতি জনপ্রিয় গায়িকা পৌষালী ব্যানার্জী (Pausali Banerjee) -কে তিনি জানিয়েছেন সেই কথা।
পৌষালী কিছুদিন আগেই অরিজিতের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পান। এই অবসরে তিনি তার পছন্দের গায়ককে একাধিক বিষয়ে প্রশ্ন করেন। অরিজিৎ তাকে জানান তিনি তার দুই ছেলে জুল এবং আলিকে শান্তিনিকেতন (Shantiniketan) পড়াতে চান। উল্লেখ্য, পৌষালী নিজেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (Rabindranath Tagore) এর শান্তিনিকেতনের ছাত্রী। তিনি সেখানেই গান নিয়ে পড়াশোনা করেছেন।
অরিজিৎ পৌষালীকে বলেছেন, “ছেলেদের ভবিষ্যতে শান্তিনিকেতনে পড়ানোর ইচ্ছে আছে। শান্তিনিকেতন কি খুব ভাল? ভবিষ্যতে ছেলেদের ওখানে ভর্তি করতে চাইলে সাহায্য করবে?” এত বড় মাপের একজন শিল্পীর এমন সৌজন্যতা বোধ দেখে মুগ্ধ হয়ে যান পৌষালী। তিনিও পাল্টা বলেন, “নিশ্চয়, ওটা তো আমার জায়গা। সবরকম সাহায্য করব।”
আরও পড়ুন : অরিজিৎ সিংয়ের গিটারে লেখা ‘ঝিলিক’ আসলে কে? কেন এই মেয়েটির নাম লেখা থাকে গিটারে?
অরিজিৎ সিংয়ের মানবিকতা, অত্যন্ত সাধারণ জীবনযাপন প্রতিনিয়ত মুগ্ধ করে তার ভক্তদের। বিভিন্ন কনসার্ট থেকে তিনি যে কোটি কোটি টাকা পারিশ্রমিক পান তার একটা অংশ দিয়ে উন্নত মানের হাসপাতাল এবং স্কুল গড়তে চান। এছাড়াও বিভিন্ন প্রয়োজনে অসহায় মানুষের দিকে তিনি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন।
আরও পড়ুন : ডাব বেচে, কাপড় বেচে চলত না সংসার, কৌশিকী চক্রবর্তীর ছোটবেলা ছিল খুবই কষ্টের