“আমার ১০০ কোটি টাকা প্রয়োজন, সাহায্য করুন!” দেশবাসীর কাছে কাতর প্রার্থনা অরিজিৎ সিংয়ের

ভক্তের কাছে সত্যিই যেন ভগবানের আরেক নাম অরিজিৎ সিং (Arijit Singh)। সংগীত জগতের মহারথী হিসেবে শুধু নন, অরিজিৎ কোটি কোটি মানুষের মন জয় করে নিয়েছেন দুস্থদের জন্য তার সাহায্য করার কোমল মানসিকতা দেখিয়ে। অরিজিতের কাছে সাহায্য চেয়েও পাননি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া ভার। প্রচারের আড়ালে থেকে সাধারণের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। তবে এবার তিনি দেশবাসীর কাছে একটা বড় আবদার করেই ফেললেন।

নিজের জন্য নয়, অরিজিৎ সিং দেশবাসীর কাছে ১০০ কোটি টাকা চেয়েছেন সমাজ কল্যাণের কাজে তার একটি বড় স্বপ্ন পূরণ করার জন্য। অরিজিতের ভক্তরা জানেন তিনি কতটা সাধারণ জীবনযাপন করেন। তাই তার নিজের এবং পরিবারের জীবনধারণের জন্য যে টাকা লাগে তার পরিমাণ খুবই কম। তিনি যতটা উপার্জন করেন তার একটা বড় অংশ সমাজের কাজেই ব্যয় করেন।

মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জ শহরের ছেলে অরিজিৎ নিজের এলাকার মানুষদের সুযোগ-সুবিধার জন্য অনেক উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন। তার মত এমন একজন সেলিব্রিটির জীবন অনেকের কাছে অনুপ্রেরণার মত। আর তিনি নিজে অনুপ্রেরণা নিয়েছেন বিবেকানন্দের কাছ থেকে। নীরবে সকলের উপকার করে যাওয়ার লক্ষ্য নিয়েছেন অরিজিৎ সিং। প্রতিদিন কোটি কোটি টাকা উপার্জন করলেও বিবেকানন্দের মতই যেন বৈরাগী জীবন কাটাতে পছন্দ করেন তিনি।

সম্প্রতি মুম্বাইয়ের একটি কনসার্ট থেকে অরিজিৎ জানিয়েছেন তিনি স্বামী বিবেকানন্দের আদর্শ মেনে চলেন। তিনি বরাবর স্বামী বিবেকানন্দের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে এসেছেন। এই কনসার্টে গান গাওয়ার আগে তিনি জানিয়েছেন সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতে তিনি একটি স্কুল তৈরির লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছেন। যে কারণে তার ১০০ কোটি টাকার প্রয়োজন। নিজের এই লক্ষ্য পূরণের জন্য তিনি তার ভক্তদের পাশে চেয়েছেন।

অরিজিৎ সিং অবশ্য বলেছেন তিনি ভক্তদের থেকে অর্থ সাহায্য চান না, তিনি চান সকলে যেন ভালবেসে তার পাশে থাকেন। উল্লেখ্য অরিজিৎ এরই মধ্যে জিয়াগঞ্জের ছেলেমেয়েদের স্পোকেন ইংলিশ শেখানোর জন্য একটি প্রতিষ্ঠান খুলেছেন। সেই সঙ্গে তিনি ওই শহরে নিজে যে স্কুলে পড়াশোনা করেছিলেন সেখানেও ম্যানেজমেন্টের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন।

Arijit Singh Runs a Hotel in Jiaganj Murshidabad

জিয়াগঞ্জ শহরেই সাধারণের জন্য একটি সস্তার খাবারের হোটেল খুলেছেন অরিজিৎ। সেখানে খাবারের দাম শুরু হয় মাত্র ৩০ টাকা থেকে। তবে চাইলে সেখানে বেশি দামের খাবার চাইলে কেউ অর্ডার করতে পারেন। সব ধরনের আর্থিক ক্ষমতা সম্পন্ন মানুষেরা অরিজিতের হোটেলে এসে নিজের সাধ্যমত খাবার খেতে পারবেন। ভবিষ্যতে দুস্থ পড়ুয়াদের উন্নতমানের শিক্ষা প্রদানের লক্ষ্য নিয়েছেন তিনি। তাই সকলের থেকে সাহায্য চেয়ে নিলেন অরিজিৎ।