অরিজিৎ সিং (Arijit Singh) মানেই সুরের জাদুকর। তার সুরের যাদুতে মুগ্ধ গোটা বিশ্ব (world)। তার গান শুনতে চান না এমন মানুষ খুব কমই রয়েছে এই দেশে। তিনি শুধু গায়ক নয়, তিনি হলেন বাংলার গর্ব। খ্যাতির শীর্ষে পৌঁছেও নিজের জন্মভূমি জিয়াগঞ্জ (Jiaganj) ছেড়ে যাননি তিনি। নিজের পরিবারের সঙ্গে এই ছোট্ট গ্ৰামেই থাকেন তিনি।
প্রতি বছর বাংলা ও হিন্দি মিলিয়ে তার অসংখ্য গান মুক্তি পায়ে। তবে তার মধ্যে কোনও না কোনও গান শ্রোতাদের পছন্দের তালিকায় প্রথম স্থান অধিকার করে নেয়। গত বছর এমনি একটি গান ছিল ‘ব্রক্ষ্মাস্ত্র’ (Brahmastra) ছবির ‘কেশরিয়া’ (Kesariya) গানটি। এই মিউজিক ভিডিওতে যেমন রণবীর কাপুর ও আলিয়া ভট্টের রসায়ন সকলের পছন্দ হয়েছিল ঠিক তেমনি অরিজিৎ সিং গাওয়া গানটি রাতারাতি জনপ্রিয়তা শীর্ষে পৌঁছে গিয়েছিল।
সোশ্যাল মিডিয়াতে অসংখ্য মানুষ রিলস তৈরি করেছেন এই গানের তালে। এই গানের সুর দিয়েছিলেন প্রীতম এবং গীতিকার ছিলেন অমিতাভ ভট্টাচার্য। গানের মহিলা কন্ঠ ছিল নিকিতা গান্ধীর। ইউটিউবে মোট ৪৫ কোটি মানুষ দেখেছিলেন এই গানটি।
এবার এই গানের জন্যই ফিল্মফেয়ার সেরা গায়কের পুরষ্কার জিতে নিলেন অরিজিৎ সিং। যদিও এই গান ছাড়াও এই নমিনেশনে ছিল তার গাওয়া আরও দুটি গান। একটি হল ‘ব্রক্ষ্মাস্ত্র’ ছবির ‘দেবা দেবা’ গানটি এবং ‘ভেড়িয়া’ ছবির ‘আপনা বনালে পিয়া’ গানটি। এই নিয়ে মোট ৭ বার ফিল্মফেয়ার জিতলেন তিনি। এর আগে ২০১৪ সালে প্রথম ফিল্মফেয়ার জিতেছিলেন তিনি। ‘তুম হি হো’ গানের জন্য। তারপর ২০১৬ সালে ‘ইয়ে দিল হ্যায় মুশকিল’, ২০১৭ সালে ‘সুরজ ডুবা হ্যায় ইয়ারো’ , ২০১৮ সালে ‘রোকে না রুকে নয়না’, ২০১৯ ‘ইয়ে বতন’, ২০২০ সালে ‘কলঙ্ক’ গানের জন্য ফেল্মফেয়ার জিতেছিলেন তিনি। এই বছর নিয়ে মোট ৭ বার এই পুরস্কার জিতলেন তিনি।
আর এই ৭ বার ফিল্মফেয়ার জিতে তিনি রেকর্ড ভেঙেছেন মহম্মদ রফির। তাই আর একবার ফিল্মফেয়ার জিতলে তিনি ছুঁয়ে ফেলবেন কিশোর কুমারকে। প্লে-ব্যাক সিঙ্গার হিসেবে খুব কম গায়কের এই রেকর্ড রয়েছে। এবার সেই তালিকায় নাম জুড়তে চলেছে অরিজিৎ-এর।
তবে এবছর ফিল্ম অরিজিৎ ছাড়াও অন্যান্য বিভাগে পুরস্কার জিতেছেন। এই প্রতিবেদনে দেওয়া হল তাদের নাম। সেরা গায়িকা হিসেবে পুরস্কার জিতেছেন কবিতা শেঠ (রঙ্গ সারি, যুগ যুগ জিও), সেরা মিউজিক অ্যালবাম জন্য পুরস্কার পেয়েছেন প্রীতম (ব্রহ্মাস্ত্র: পার্ট ১- শিবা), সেরা গীতিকার হিসেবে পুরস্কার জিতেছেন অমিতাভ ভট্টাচার্য (তেরে হাওয়ালে, লাল সিং চড্ডা)।
নবাগত গায়িকা হিসেবে ‘আরডি বর্মন অ্যাওয়ার্ড’ পেয়েছেন জাহ্নবী শ্রীমঙ্কর (ঢোলিড়া, গঙ্গুবাই কাথিয়াওয়াড়ি)। সেরা ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর দেওয়ার জন্য সঞ্চিত বালহারা এবং অঙ্কিত বালহারা পেয়েছেন পুরস্কার (গঙ্গুবাই কাথিয়াওয়াড়ি)। এছাড়াও বাংলার মুখ উজ্জ্বল করেছে আরও এক বাঙালি। তিনি হলেন সুদীপ চট্টোপাধ্যায়। গঙ্গুবাই কাথিয়াওয়াড়ি ছবির জন্য সেরা সিনেমাটোগ্রাফারের পুরস্কার দেওয়া হয়েছে সুদীপ চট্টোপাধ্যায়কে।