জীবনটাকে বরাবরই নিজের মত করে হেসে খেলে বাঁচতে চান অপরাজিতা আঢ্য। অভিনয়ের পাশাপাশি নেচে, গেয়ে আনন্দ করে জীবন কাটানোটাই তার জীবনের প্রধান উদ্দেশ্য। আর এমনটা করতে গিয়ে মাঝেমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়াতে চরম সমালোচনার মুখে পড়তে হয় তাকে। কেউ বলেন কচি খুকি, তো কেউ আবার বিশ্ব ন্যাকা বলে ট্রোল করার চেষ্টা করেন। কিন্তু সে সবে অবশ্য থোড়াই কেয়ার অভিনেত্রী। সম্প্রতি আনন্দ করে বাঁচার আরও একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করে নিন্দুকদের জবাব দিলেন অপরাজিতা।
সরস্বতী পুজো উপলক্ষে ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে নিজের নাচের স্কুলে পুজোর আয়োজন করেছিলেন অপরাজিতা। আর অপরাজিতা যেখানে সেখানে হৈ-হুল্লোড় তো থাকবেই। নাচের স্কুলে ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে বলিউডের অন্যতম হিট গান ‘আজ কি রাত’ এর তালে কোমর দোলালেন অপরাজিতা। অপরাজিতার নিজের কোনও সন্তান নেই। নাচের স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা তাকে মা বলে ডাকেন। অপরাজিতা যে ভিডিওটি শেয়ার করেছেন সেখানে মেয়েদের সঙ্গে তাকে মন খুলে নাচতে দেখা যাচ্ছে।
অপরাজিতার চরিত্রের এই দিকটি আবার সোশ্যাল মিডিয়াতে অনেকেরই পছন্দ নয়। তারা নানাভাবে অভিনেত্রীকে ট্রোল্ড করার চেষ্টা করেন। কেউ বলেন কচি খুকি, কেউ বলেন ন্যাকা। একবার এই প্রসঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়াতে কলম ধরেছিলেন অপরাজিতা। শিশু দিবসে তিনি একটি পোস্ট করেছিলেন তাতে লেখা ছিল, ‘‘পূর্ণবয়স্ক নারী, তিনি হতেই পারেন ব্যাংক কর্মী-শিক্ষিকা-গবেষক-শিল্পী-গৃহবধূ, কিন্তু তিনি যাই হোন না কেন, তিনি যদি নিজের শিশুসুলভতার ভিত্তিতে জীবনের ইঁট গুলো প্রতিস্থাপন করতে চান, বা করেন, তিনি হয়ে যাবেন ন্যাকা, আল্লাদি, বেহায়া, ঢঙি, ইত্যাদি ইত্যাদি। তা তখন তার নাম অপরাজিতা আঢ্য হোক বা আনোয়ারা বিবি, নিতান্ত ন্যাকা ছাড়া তাকে সমাজ আর কোনো নামেই ডাকবে না। পরিবারের ভিতর তুমি বড্ড ছেলেমানুষ! বাচ্চাদের মতো কোরো না! আর সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে বিশ্বন্যাকা, একেবারে অসহ্য!’’
আরও পড়ুন : পরকীয়া না মানলে রাধাগোবিন্দের মন্দির ভেঙে দাও! বিস্ফোরক অপরাজিতা আঢ্য
আরও পড়ুন : শুভশ্রী-কোয়েলরাও ফেল! বাংলা সিরিয়ালের নায়িকাদের বেতন কত?
তিনি আরও লিখেছেন, “কচি খুকি শুনতে শুনতে অভ্যস্ত আমি মাঝে মাঝে ভাবি, আমার উপর তো এত মানুষের আশীর্বাদ, তাও আমিই যদি এত শুনি, না জানি অসাধারণ ভাবে সাধারণ নারীদের আরও কী কী শুনতে হয়! যা কানে নেওয়ার নয়, তা না নেওয়াই শ্রেয় জানি, তবু যার কাছে সেটা ছাড়া আর কোনো উপায়ই অবশিষ্ট নেই, তাদের যন্ত্রণার কথা ভাবলে শিশু দিবস আপাদমস্তক ব্যর্থ লাগে।’’