রিয়েলিটি শোয়ের নামে বাঙালি প্রতিযোগীদের সঙ্গে জোচ্চুরি! ইন্ডিয়ান আইডলের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছে সারা বাংলা

ইন্ডিয়ান আইডল ২০২২ (Indian Idol 2022) এর এই নতুন সিজনে এখন জোরদার টক্কর চলছে প্রতিযোগীদের মধ্যে। প্রত্যেক সপ্তাহে এলিমিনেট হয়ে যাচ্ছেন একের পর এক প্রতিযোগী। এই এলিমিনেশন পর্বে বিগত তিন সপ্তাহ ধরে ক্রমশ বাঙালি প্রতিযোগীদের ছাঁটাই করা হয়েছে। আর এতেই কার্যত চটে গিয়েছেন বাঙালি দর্শকরা। তাদের দাবি ইচ্ছাকৃতভাবে যোগ্য প্রার্থীদের সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়াতে দর্শকদের অভিযোগের মাত্রা ছাড়াচ্ছে।

দুই সপ্তাহ আগে অল্পের জন্য এলিমিনেশনের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছিলেন বাংলার মেয়ে অনুষ্কা পাত্র (Anushka Patra)। তবে এই রবিবারে আর শেষ রক্ষা হল না তার। ইন্ডিয়ান আইডলের ট্রফি হাতে পাওয়ার আগেই তাকে বেরিয়ে যেতে হল শো ছেড়ে। সেরা দশের তালিকাতে জায়গা পেলেন না অনুষ্কা। সঞ্চারী, প্রীতমের পর তাকেও সেরা দশের তালিকায় জায়গা ছেড়ে দিতে হল।

নিজের গায়কি দিয়ে বারবার বিচারক থেকে অতিথি বিচারকদের মন জয় করে নিয়েছেন অনুষ্কা। কিছুদিন আগেও ‘পেয়ার হামে কিস মোড় পে’ গানটি গেয়ে রিতেশ-জেনেলিয়াসহ সমস্ত বিচারকদের মন জয় করে নিয়েছিলেন তিনি। তিনি যে এইভাবে মাঝপথে এলিমিনেট হয়ে যেতে পারেন এমনটা ভাবতে পারেননি কেউই। অনুষ্কার জন্য মনে মনে ভীষণ কষ্ট পাচ্ছেন তার ভক্তরা।

দর্শকদের ভোট না পেয়ে বটম থ্রিতে পৌঁছে গিয়েছিলেন অনুষ্কা। রবিবার সব থেকে কম ভোট পাওয়ার কারণে তাকে ডেঞ্জার জোনে চলে যেতে হয়। অনুষ্কার পাশাপাশি ঋষি সিং এবং কাব্য লিয়ামাও ডেঞ্জার জোনে ছিলেন। এই বছরের সবথেকে জনপ্রিয় প্রতিযোগী ছিলেন ঋষি। তিনি বিরাট কোহলিরও প্রিয় গায়ক। তিনিও যে বটম থ্রিতে চলে আসতে পারেন এমনটা মানতেই পারছেন না কেউ।

অনুষ্কা শো থেকে বাদ পড়ার পর সোশ্যাল মিডিয়াতে তার অনুরাগীদের ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন হেরে গেলেও তার সফর এখানেই শেষ হয়নি। বরং এখান থেকে শুরু হল তার যাত্রা। অনুষ্কা বলেছেন, “জার্নি তো সবে শুরু হল। আপনারা এইভাবেই আশীর্বাদ আর ভালবাসা দিতে থাকুন।” তবে অনুষ্কার ভিডিওতে ভক্তদের ক্ষোভ উপচে পড়ছে। কেউই তার এলিমিনেশন মেনে নিতে পারছেন না।

অনুষ্কাকে উদ্দেশ্য করে কেউ লিখলেন, “অসম্ভব তোমার মত একজন সুগায়িকা সেরা ১০-এ জায়গা পাবে না এটা হতে পারে? পুরো স্ক্রিপটেড শো, সবটাই নাটক।” কেউ লিখছেন, “তোমার সঙ্গে অন্যায় হয়েছে। তুমি সেরা দশ এ জায়গা পাওয়ার যোগ্য ছিলে।” যখন এই প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছিল তখন ইন্ডিয়ান আইডলের ১৫ জন প্রতিযোগীর মধ্যে ৭ জন ছিলেন বাঙালি। এখন সেই জায়গায় টিকে রইলেন কেবল চারজন, সোনাক্ষী, দেবস্মিতা, বিদিপ্তা এবং সেঁজুতি।