একবাড়িতে থাকলেও দাদু-নাতনি আলাদা! আরাধ্যার মুখই দেখতে পান না, আক্ষেপে চোখে জল অমিতাভের

বয়স ৮০ পেরোলেও এই বয়সেও সারা দিনভর চুটিয়ে কাজ করে চলেছেন অমিতাভ বচ্চন (Amitabh Bachchan)। আরাম করার ফুরসত নেই তার হাতে। সপ্তাহের মধ্যে ৬টা দিনই তিনি ছুটছেন কাজের পেছনে। এই বয়সেও কৌন বানেগা ক্রোড়পতির (Kaun Banega Crorepati) দায়িত্ব সামলাচ্ছেন সফলতার সঙ্গে। সেই সঙ্গে ছবির কাজ তো রয়েইছে। দিন যত এগোচ্ছে অমিতাভের দায়িত্ব যেন তত বাড়ছে। তবে কাজের মধ্যে কোথাও যেন তিনি মিস করেন তার পরিবারকে।

নাতি-নাতনি, ছেলে-বৌমা, মেয়ে-জামাই নিয়ে অমিতাভ বচ্চন এবং জয়া ভাদুড়ীর ভরা সংসার এখন। মুম্বাইয়ের জলসা বাড়িতে অমিতাভ এবং জয়া ছেলে অভিষেক বচ্চন বৌমা ঐশ্বর্য রাই বচ্চন এবং একমাত্র নাতনি আরাধ্যা বচ্চনকে নিয়ে থাকেন। নাতনিকে প্রাণের থেকেও বেশি ভালবাসেন অমিতাভ। তবে সেই প্রিয় নাতনির মুখই নাকি তিনি দেখতে পান না! সম্প্রতি নিজের জীবনের এক আক্ষেপের কথা তুলে ধরলেন তিনি।

কেবিসির ১৪ তম সিজনের সাম্প্রতিক একটি এপিসোডে এক ঝাঁক খুদে প্রতিযোগী এসেছিল। অমিতাভের সঙ্গে হট সিটে বসে খেলার সুযোগ পেয়েছিল কলকাতার আয়াংশ ভালোটিয়া। এদিন তার সঙ্গে মন খুলে আড্ডা দিচ্ছিলেন অমিতাভ। তার সঙ্গে তার দাদু-ঠাকুমার গভীর সম্পর্ক দেখে তিনি ভাবুক হয়ে পড়েন। আয়াংশ অমিতাভকে প্রশ্ন করেন আরাধ্যার সঙ্গে তিনি কীভাবে সময় কাটান?

এই প্রশ্নের জবাবে অমিতাভ বলেন, ‘‘আমি যে পেশায় আছি, আমাকে প্রতিদিন সকাল সকাল বাড়ি থেকে বেরোতে হয়। সেইসময় আরাধ্যা স্কুলে থাকে। আর আমি যখন কাজ সেরে ফিরি,তখন ও ঘুমোয়। খুব কম সময় পাই আমরা একসঙ্গে কাটানোর, কিন্তু রবিবার দিন আমরা খুব মজা করি। এখন তো আরাধ্যা বড় হয়ে গিয়েছে। বড়দের মতো খেলাধূলোই ওর পছন্দ এখন। আমরা কম্পিউটারে গেম খেলি, কখনও টেনিস আবার কখনও ফুটবল’’।

ছোট প্রতিযোগীর সঙ্গে আড্ডা দেওয়ার সময় নিজের ছোটবেলায় ফিরে গিয়েছিলেন অমিতাভ। ছোটবেলায় তার প্রিয় খেলা ছিল ‘গিল্লি ডান্ডা’। অর্থাৎ ছোটবেলায় ডাংগুলি খেলতে ভালবাসতেন অমিতাভ। এখন ছুটির দিনে আরাধ্যার সঙ্গে খেলে তার দিন কেটে যায়। নাতনি আবার মাঝে মধ্যেই ঠাকুরদার উপর রাগ করে। তখন বিশেষ উপায়ে নাতনির মানভঞ্জন করতে হয় অমিতাভকে।

আরাধ্যার রাগ ভাঙ্গানোর জন্য অমিতাভ কী করেন? এই প্রশ্নের জবাবে বিগ-বি বলেছেন, ‘আরাধ্যা রেগে গেলে আমি ওকে চকোলেট দিয়ে ওর মান ভাঙাই। আর মেয়েরা মাথায় যেটা পরে… ও যে হেয়ার ব্যান্ড, গোলাপি ওর প্রিয় রঙ। আমি ওকে গোলাপি হেয়ার ব্যান্ড কিনে দিই, ক্লিপ নিয়ে যাই। তাহলেই ওর মন গলে যায়’। তবে এত ব্যস্ততার মাঝেও দাদু এবং নাতনী ফেস টাইমে কথা বলেন। রবিবার ছাড়া একসঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগ হয় না তাদের।