বছরের শুরুতেই আচমকা দুঃসংবাদ ভেসে এল টলিউড (Tollywood) থেকে। মাত্র ৪৪ বছর বয়সে অকালে প্রয়াত হলেন অঞ্জন চৌধুরীর (Anjan Chowdhury) ছেলে সন্দীপ চৌধুরী (Sandip Chowdhury)। শুটিং সেটে থাকাকালীনই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। তারপর তড়িঘড়ি তাকে নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। প্রয়াত হলেন রিনা চৌধুরী (Rina Chowdhury) এবং চুমকি চৌধুরীর (Chumki Chowdhury) দাদা।
একের পর এক দুঃসংবাদ নেমে আসছে চৌধুরী পরিবারে। চার মাস আগেই প্রয়াত হয়েছেন অঞ্জন চৌধুরীর স্ত্রী। এবার প্রয়াত হলেন অঞ্জন চৌধুরীর পুত্র। তিনি একাধিক ধারাবাহিকে পরিচালক এবং সৃজনশীল পরিচালক হিসেবে কাজ করেছিলেন। ভাইয়ের প্রয়াণে শোকস্তব্ধ রিনা এবং চুমকি। আনন্দবাজার অনলাইনের কাছে মুখ খুলেছিলেন রিনা। কথা বলার অবস্থায় নেই চুমকি।
অঞ্জন চৌধুরীর তিন সন্তানের মধ্যে বড় মেয়ে হলেন চুমকি। ছেলে সন্দীপ মেজ এবং ছোট মেয়ে রিনা। অঞ্জন চৌধুরীর দুই মেয়ে অভিনয় জগতে প্রতিষ্ঠিত। তবে তাদের ভাই ক্যামেরার আড়ালে থেকেই কাজ করেছেন নিঃশব্দে। কিছুদিন আগে শুটিং সেটে হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে পড়েছিলেন তিনি। তারপর তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শোনা যাচ্ছে দীর্ঘ দিন ধরেই তিনি কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন।
দাদার প্রয়াণের পর আনন্দবাজার অনলাইনের কাছে রিনা বলেন, ‘‘আমি ভাবতেই পারছি না। শুনলাম শুটিং চলাকালীন অজ্ঞান হয়ে পড়েছিল। তার পর ইকবালপুর নার্সিং হোমে ভর্তি করা হয় ওকে। দাদার স্ত্রী নিয়ে গিয়েছিল। আজকে হঠাৎ কী ঘটে গেল! আমরা গোটা বিষয়ে অন্ধকারে ছিলাম। ও একদম নিজের যত্ন নিত না। এ ছাড়াও দাদা একদম যত্ন পায়নি। আমি ও দিদি ডাক্তারের কাছে যেতে বললে বলত, কাজের চাপ।’’
অঞ্জন চৌধুরীর বড় মেয়ে চুমকির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি আনন্দবাজারকে বলেন, “কথা বলার অবস্থায় নেই।” উল্লেখ্য কালার্স বাংলার ‘ফেরারি মন’ ধারাবাহিকে বর্তমানে কাজ করছিলেন সন্দীপ। এই ধারাবাহিকের শুটিং সেটেই হঠাৎ তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। ঘটনাটি ঘটেছে ১৭ই ডিসেম্বর। সেদিন থেকে নার্সিংহোমেই ভর্তি ছিলেন সন্দীপ।
উল্লেখ্য, সন্দীপের স্ত্রী বিদিশা চৌধুরীও একজন নামকরা অভিনেত্রী। তিনি ‘এরাও শত্রু’ ধারাবাহিকে অভিনয় করেছিলেন। সদ্য ‘এভারেস্ট’ নামের একটি ছবি মুক্তি পেয়েছে টলিউডে। এই ছবিতে অভিনয় করেন বিদিশা। অঞ্জন চৌধুরীর ছেলের প্রয়াণের খবরে শোকস্তদ্ধ গোটা টলিউড।