Anant Ambani : মুকেশ আম্বানির (Mukesh Ambani) ছোট ছেলে অনন্ত আম্বানি (Anant Ambani) এবং রাধিকা মার্চেন্টের প্রাক বিবাহ অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে এখন চর্চা চলছে সর্বস্তরে। অনন্ত ও রাধিকার প্রি ওয়েডিং সেলিব্রেশন চলছে রাজকীয়ভাবে। অনন্ত এবং রাধিকাকে নিয়েও সাধারণের মনে কৌতূহলের অন্ত নেই। সাধারণের অনেকের মনেই কৌতুহল জন্মেছে কেন মাঝে রোগা হয়ে গিয়েও আবার ওজন বাড়িয়ে ফেললেন অনন্ত আম্বানি?
Anant Ambani Health Problems
খুব ছোটবেলা থেকেই অনন্ত আম্বানি শরীরের নানা জটিলতায় ভুগছেন। ছোট থেকেই তার সিভিয়ার হাঁপানি ছিল। যে কারণে তাকে হাই ডোজের স্টেরয়েড নিতে হত। এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হিসেবে ওবেসিটি বাসা বাঁধে তার শরীরে। ওজন বাড়ার সমস্যায় ভুগছেন অনন্ত। হু হু করে বাড়তে থাকে তার ওজন।
মাঝে অবশ্য মাত্র ১৮ মাসে ১০৮ কেজি ওজন কমিয়ে ফেলেছিলেন অনন্ত আম্বানি। না এর জন্য কোনও জটিল সার্জারির মধ্যে যেতে হয়নি তাকে। সুষম ডায়েট এবং শরীর চর্চা করে অনেক পরিশ্রমের পর তিনি ১০৮ কেজি ওজন কমিয়েছিলেন মাত্র দেড় বছর সময়ে। কিন্তু সেটা ধরে রাখতে পারেননি। এর কারণ তার শারীরিক জটিলতা।
অ্যাজমা বা হাঁপানি রোগীরা শ্বাসকষ্টের ওষুধের থেকে বেশি তাড়াতাড়ি আরাম পান স্টেরয়েডের ব্যবহারে। তাদের জন্য ম্যাজিকের মত কাজ করে এই ওষুধ। তবে এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াও রয়েছেন। যার মধ্যে অন্যতম হল ওজন বৃদ্ধি। সেই কারণেই মাঝে ওজন কমিয়ে ফেলেও তা ধরে রাখতে পারেননি অনন্ত।
এখন যতটা স্টেরয়েড তার শরীরের প্রয়োজন তার ঘাটতি হলে প্রেসারের সমস্যা হবে, খিদে কমে যাবে, চেহারা ভেঙে যাবে। সেই সঙ্গে নানা রোগের প্রকোপ দেখা যায় তার মধ্যে। অটো ইমিউন রোগ, রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস, ব্রঙ্কিয়াল অ্যাজমা, সিওপিডি, হেমোলাইটিক অ্যানিমিয়ার ক্ষেত্রে বছরের পর বছর স্টেরয়েড নিয়েই যেতে হয়।
আরও পড়ুন : রুপে লক্ষ্মী গুণে সরস্বতী, মুকেশ আম্বানির হবু বউমা আসলে কে?
আরও পড়ুন : ছেলের বিয়েতে অতিথিদের এই বিশেষ উপহার দেবেন মুকেশ আম্বানি
অনন্তর যেহেতু সিভিয়ার অ্যাজমা আছে তাই তার অ্যাজমা অ্যাটাক হয় মাঝে মধ্যে। কড়া ডোজের স্টেরয়েড নিতে হয় তাকে। ডাক্তাররা মাঝেমধ্যেই তার ওরাল স্টেরয়েডের ডোজ বাড়িয়ে দেন। অ্যাজমা অ্যাটাক হলে বাড়িতেই চিকিৎসকরা এসে তার চিকিৎসা করেন। তখন তাকে কড়া ডোজের স্টেরয়েড খাওয়ানো হয়। যার ফলে খিদে বেড়ে যায়। ওজন নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয় না।