বাংলা সিনেমার দাপুটে খলনায়িকা তিনি। আজও পর্দায় তাকে দেখলে দর্শকরা ভয়ে শিহরিত হন। সৎমা, শাশুড়ি, পিসিমার মত কুটিল চরিত্রগুলো যেন তাকে ভেবেই লিখতেন সিনেমার গল্প লেখকরা। তিনি অনামিকা সাহা। অভিনয় দিয়ে তিনি তার জাত চিনিয়েছিলেন। অথচ এই জাত নিয়েই তাকে খোঁটা শুনতে হয়েছে বারবার। তাও আবার ইন্ডাস্ট্রির প্রথম সারির অভিনেতাদের মুখে।
সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে অনামিকা বলেছেন শুভেন্দু চট্টোপাধ্যায়ের একটি কথায় তিনি খুবই কষ্ট পেয়েছিলেন একসময়। অনামিকা যখন প্রথম ইন্ডাস্ট্রিতে পা রাখেন তখন টলিউড কাঁপাচ্ছেন শুভেন্দু, সৌমিত্রদের মত লেজেন্ডরা। শুভেন্দু চট্টোপাধ্যায় একবার সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে ডেকে অনামিকাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “একি পলুদা ইন্ডাস্ট্রিতে তো এবার বেনো জল ঢুকে যাচ্ছে। এতদিন চট্টোপাধ্যায় বন্দ্যোপাধ্যায়রা থাকলেও হঠাৎ করে এই সাহা ঢুকে পড়ছে কেন।”
শুভেন্দু চট্টোপাধ্যায়ের এই কথায় অনামিকা খুবই কষ্ট পেয়েছিলেন সেই দিন। বাড়িতে গিয়ে তিনি মায়ের কাছে খুব কেঁদেছিলেন। দেখতে দেখতে এই ইন্ডাস্ট্রিতে ৪৫ টা বছর পার করেছেন অনামিকা। প্রায় ৩০০ থেকে ৪০০ টি বাংলা সিনেমাতে অভিনয় করেছেন তিনি। ভালোয়-মন্দোয় মিশিয়ে তার অভিজ্ঞতা কিছু কম নেই। এখনও তাকে এবং তার মতো বর্ষিয়ান অভিনেতাদের অপমানিত হতে হয় টলিউডে।
আরও পড়ুন : “হারামজাদা, বুদ্ধি হবে না জীবনে!” প্রসেনজিতের উপর রেগে খাপ্পা অনামিকা
আরও পড়ুন : দিনরাত শুনেছেন খোঁটা! মেয়েকে নিয়ে চরম অপমানিত হয়েছেন অনামিকা সাহা
অনামিকা আফসোস করে বলেছেন, “আজও বড়দের তেমনভাবে সম্মান করা হয় না। ধারাবাহিকে বিশেষ করে এই প্রবণতা দেখা যায়। নিজেরা নিজেদের মনে করেন আমিই সব। অথচ তাদের এক্সপ্রেশন অভিনয় কিছুই ঠিক নেই। তাই জন্য আমি আর ধারাবাহিকে কাজ করতে চাইনা। আমাদের সময় এরকম ছিল না। বড়দের থেকে শিখেছি বন্ধুর মত একসঙ্গে খাওয়া দাওয়া আড্ডা সব কিছু হত। কিন্তু এখন আর সেই সব কিছুই নেই।”