এই গ্রাম থেকে আম্বানির বাড়িতে আসে মিষ্টি, পাঠানো হয় হেলিকপ্টার

Ambani Family is A Fan of The Sweets Of This UP Village : এই গ্রামের দোকান থেকে হেলিকপ্টারে মিষ্টি যায় আম্বানির বাড়িতে

ভারতীয় ধনকুবের মুকেশ আম্বানি (Mukesh Ambani) এবং তার পরিবারের বিলাসবহুল জীবনযাপন সম্পর্কে তো সকলেই জানেন। এই মুহূর্তে আম্বানি পরিবারের কাছে সাত লক্ষ কোটি টাকারও বেশি সম্পত্তি রয়েছে। তবে এত সম্পত্তির মালিক হওয়া সত্বেও নেহাত কিছু সাধারণ শখই পোষণ করে মুকেশ আম্বানির পরিবার। এরমধ্যে একটি হল মিষ্টি।

মুকেশ আম্বানির পরিবার মিষ্টি নিয়ে খুব খুঁতখুঁতে। শহুরে মিষ্টি নয়, তাদের পছন্দ উত্তরপ্রদেশের একটি ছোট্ট গ্রামের মিষ্টি! উত্তরপ্রদেশের ছোট্ট এই গ্রামের নাম তিলহার। এই দোকানেরই বানানো একটি বিশেষ মিষ্টি মুকেশ আম্বানি পরিবারের বিশেষ পছন্দের তালিকায় রয়েছে। বিশেষত মুকেশ আম্বানির ভাই অনিল আম্বানির স্ত্রী টিনা আম্বানি এই মিষ্টি বিশেষ পছন্দ। মিষ্টির নাম লঞ্জ।

তিলহার গ্রামের আর্য সুইটস ভান্ডারেই পাওয়া যায় লঞ্জ। মোষের ঘন দুধের তৈরি এই মিষ্টান্নের সাদ অনেকটা মধ্য ভারতের কালাকাঁদের মত। এই দোকান থেকে কিছুটা দূরেই শাহজাহানপুরের কাছে রোজা নামের একটি গ্রাম রয়েছে। অনিল আম্বানির তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি এই গ্রামেই অবস্থিত। কয়েক বছর আগে এই তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়। সেখানে অর্ডার দিয়ে আনানো হয় লঞ্জ।

আরও পড়ুন : দাম ১৫ কোটি টাকা! অনন্ত আম্বানির এই হাতঘড়ির বিশেষত্ব কি কি?

এই অনুষ্ঠানেই প্রথমবার লঞ্জ মিষ্টি খেয়ে টিনা আম্বানির তা বেশ পছন্দ হয়ে যায়। এরপর থেকে আম্বানিরা লঞ্জের রীতিমতো ভক্ত হয়ে পড়েন। আম্বানি পরিবারের এই মিষ্টি এতটাই জনপ্রিয় যে মুম্বাই থেকে তিলহার গ্রামে হেলিকপ্টার পাঠিয়ে মিষ্টি আনানো হয়। ইদানিং গ্রামের বাইরে দিল্লি, লখনৌ, মুম্বাইতে মিষ্টি সরবরাহ করছেন কর্তৃপক্ষ।

আরও পড়ুন : সারাদিনে কী কী খাবার খান মুকেশ আম্বানি?

আর্য মিষ্টান্ন ভান্ডারের সঞ্চালক সত্যপ্রকাশ আর্যের কথায় জানা গেল তাদের দোকানের এই বিশেষ মিষ্টান্নের চাহিদা প্রচুর ও এর জনপ্রিয়তা দিকে দিকে ছড়িয়ে পড়েছে। বেশ কয়েক বছর ধরে আম্বানি পরিবারে মিষ্টি সরবরাহের কাজ করে আসছে এই দোকান। মিষ্টি বানানোর জন্য প্রয়োজনীয় চিনি এবং ড্রাই ফ্রুটস আম্বানি পরিবার থেকেই আসে। দোকানের কারিগররা সেই দিয়ে মিষ্টি বানিয়ে পাঠিয়েছেন। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে এই দোকান থেকে ১৫-১৬ কেজি মিষ্টি পাঠানো হয়েছে।

দোকানের কর্মকর্তা সত্যপ্রকাশ জানিয়েছেন ১৯৬০ সালে তার বাবা প্রথম মিষ্টি বিক্রি করেন। বর্তমানে উত্তরপ্রদেশের বড় বড় শহরগুলোতে তারা মিষ্টি সরবরাহ করছেন। সাধারণ মানুষ তো বটেই, নামিদামি নেতা, অফিসারাও তাদের দোকানের মিষ্টি পছন্দ করছেন। দোকানের মিষ্টি একবার খেলে কেউ তার স্বাদ ভুলতে পারেন না বলে দাবি করছেন সত্যপ্রকাশ।