বলিউড (Bollywood) ইন্ডাস্ট্রির তারকাদের ঝাঁ চকচকে জীবন দেখে সাধারণ মানুষের মনে প্রবল কৌতুহল জন্মায়। তাদের মত জীবন পাওয়াটা অনেকের কাছেই স্বপ্নের মত হয়ে দাঁড়ায়। তবে বাস্তবে বলিউডের কিছু কিছু তারকার পরিণতি জানলে শিউরে উঠতে হয়। ৮০ দশকের বলিউডে সুদর্শন অভিনেতা রাজকিরণের (Raj Kiran) জীবনেও ঘটে গিয়েছে এমন এক দুর্ঘটনা যা এতদিন বাদে জেনে শিউরে উঠছেন ভক্তরা।
অমিতাভ বচ্চন, ঋষি কাপুর, ধর্মেন্দ্রদের পাশাপাশি বলিউড ইন্ডাস্ট্রির সুদর্শন অভিনেতাদের মধ্যে রাজকিরণও সুপারস্টার হিসেবে নিজের পরিচিতি গড়ে তুলতে পেরেছিলেন খুব অল্পদিনের মধ্যেই। শাবানা আজমি, সারিকা, রেখার মত অভিনেত্রীদের সঙ্গে বহু সুপারহিট ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। তবে নব্বইয়ের দশকের পর থেকে আচমকাই কোথায় যেন উধাও হয়ে গেলেন তিনি।
১৯৭৫ সালে ‘কাগজ কি নাও’ ছবির হাত ধরে বলিউডে ডেবিউ করেছিলেন রাজকিরণ। ফর্সা, ছিমছম চেহারার সুদর্শন অভিনেতার আগমনে সেই সময় বলিউডের অন্দরে রীতিমত শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। ৮০ দশকে একের পর এক ছবির প্রস্তাব আসছিল তার কাছে। বলিউডে ক্রমশই নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে তুলছিলেন তিনি। তবে আজ থেকে ১৫ বছর আগে তার সঙ্গে এমন এক ঘটনা ঘটে যায় যার পর রাজকিরণের জীবনের মোড় ঘুরে যায়।
দীর্ঘ প্রায় ১৫ বছর ধরে তার কোনও খোঁজ মেলেনি। তার কাছের বন্ধু ঋষি কাপুর রাজের সন্ধানে অনেক দিন পর্যন্ত খোঁজখবর চালিয়েছিলেন। অভিনেত্রী দীপ্তি নাভাল সন্ধানের সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট করেন। কিন্তু কেউ রাজকিরণের কোনও খোঁজ এনে দিতে পারেননি। এই প্রসঙ্গে ঋষি কাপুর একবার একটি সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, “আমি অনেক বছর ধরে ওকে খুঁজছিলাম, দুশ্চিন্তা হত, ও আদেও বেঁচে আছে তো?”
রাজ কিরণ সম্পর্কে একদিন শোনা গেল তিনি নাকি কোনও এক মানসিক হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। ঋষি কাপুর শুনেছিলেন আটলান্টার কোনও এক মানসিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি রয়েছেন রাজ। অভিনেতার দাদাই ভাইয়ের সম্পর্কে এই খোঁজ দিয়েছিলেন। ঋষি ভেবেছিলেন আমেরিকায় গেলে হয়তো বন্ধুর খোঁজ পাবেন। তাই তিনি রাজের নাম্বার জোগাড় করে তার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেন।
ঋষি কাপুর বলেন রাজকিরণের নাম্বারে ফোন করার ব্যর্থ হন বারবার। তারপর তিনি আমেরিকায় গিয়ে তার স্ত্রী এবং মেয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তারা জানান রাজ কখনও কোনদিনও নাকি সেখানে ছিলেনই না। এমনকি তারা দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে জানেন না রাজ কিরণ কোথায় আছেন। অভিনেতার স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে যাওয়ার পরই মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন তিনি। তিনি কোথায় আছেন, কেমন আছেন, আদেও বেঁচে আছেন কিনা উত্তর আজও অধরা।