নুন দিয়ে একবেলা ভাত খেয়ে কেটেছে দিন, ‘যমুনা ঢাকি’ শ্বেতার জীবন কাহিনী শুনলে চোখে আসবে জল

জি বাংলার (Zee Bangla) ‘যমুনা ঢাকি’ (Jamuna Dhaki) টিআরপি তালিকায় আজ অনেকটা পিছিয়ে পড়লেও বহু দর্শকের কাছে বেশ প্রিয়। ধারাবাহিকের নায়িকা শ্বেতা ভট্টাচার্যও (Sweta Bhattacharya) দর্শকদের অতি পছন্দের অভিনেত্রী। তিনি এর আগেও ‘জড়োয়ার ঝুমকো’, ‘তুমি রবে নীরবে’ ধারাবাহিকে অভিনয় করেছেন। পর্দার ‘যমুনা ঢাকি’ বাস্তবে দারুণ নাচ করতে পারেন। আজ এই প্রতিবেদনে রইল তার সম্পর্কে কিছু কথা যা হয়তো আগে জানতেন না কেউ।

পর্দার ‘যমুনা ঢাকি’ খুব গরিব পরিবারের মেয়ে। বাস্তবেও তার জীবনের কাহিনীটা কিছু এরকমই। নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে তিনি। ছোটবেলা থেকেই অভাব ছিল নিত্যসঙ্গী। নুন আনতে পান্তা ফুরায় সংসারে কোনদিনও খাবার জুটত, কখনও আবার এক বেলা খেয়েই কেটেছে দিন। তবে এত অভাবের মাঝেও তিনি নিজের স্বপ্নকে বিসর্জন দেননি। তাই হয়তো আজ তিনি সফলতার শিখরে।

SWETA BHATTACHARYA

ছোট থেকে নাচ করতে ভালবাসতেন। অভিনয় করবেন, এমনটা ভাবেননি কখনও। নাচ নিয়ে এগোনোর পরিকল্পনা ছিল। নাচ ছাড়া তিনি কিছু ভাবতেই পারতেন না। ডান্স বাংলা ডান্সের প্রতিযোগী হিসেবেই প্রথমবার ক্যামেরার সামনে আসেন। তখন তিনি ক্লাস টেনে পড়তেন। জি বাংলা দিদি নাম্বার ওয়ানের মঞ্চে এসে তিনি তার জীবন সংগ্রামের গল্পটা শুনিয়ে গিয়েছেন।

অভিনেত্রী জানিয়েছেন তিনি যখন ডান্স বাংলা ডান্সের প্রতিযোগিতায় অংশ নেন তখন তার মা ছিলেন অসুস্থ। বাবার হাত ধরে তিনি সেটে আসতেন। খুব ছোটবেলায় তিনি তার দাদাকে হারিয়েছেন। একান্নবর্তী পরিবারে মানুষ শ্বেতা। তবে সেই বাড়ির ছোট্ট একটি ঘর ছিল তাদের মাথা গোঁজার আস্তানা। ছোটবেলাটা অতি কষ্টেই কেটেছে।

Sweta Bhattacharya said that her mother first liked Rubel Das for her daughter

এমনও দিন গিয়েছে যেদিন দুপুরে কেবল নুন দিয়ে ভাত খেয়েই পেট ভরেছে। কখনও আবার এক বেলা খেতে পেলে রাতের খাবারে কি জুটবে সেই নিয়ে চিন্তা হয়েছে। একবার এক বন্ধুর বাড়িতে গিয়েছিলেন শ্বেতা। তিনি দেখেন তারা যে ছোট্ট ঘরে থাকেন, বন্ধুর বাড়ির বাথরুম কার্যত সেই ঘরের থেকে বড়! আজ খারাপ সময় কেটেছে, তবে রয়ে গিয়েছে সেই দিনগুলির স্মৃতি।