দক্ষিণী ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি (South Indian Film Industry) -র তারকাদের মধ্যে অনেকেই আজ গোটা দেশের কাছে সমাদৃত। দক্ষিণের এই তারকাদের অনেক জনপ্রিয়তা রয়েছে দর্শক মহলে। ৭০ এর দশকের নায়িকাদের মধ্যে বেশিরভাগই ছিলেন দক্ষিণী নায়িকা। রেখা (Rekha), হেমা মালিনি, শ্রীদেবী থেকে শুরু করে জয়া প্রদা, বলিউড (Bollywood)র এক নম্বর নায়িকারা এসেছেন দক্ষিণ থেকেই।
অনেকেই হয়তো জানেন না রেখার মা পুষ্পাবলি (Pushpavalli) -ও ছিলেন তামিল এবং তেলেগু ছবির নায়িকা। রেখা হলেন পুষ্পাবলী এবং তৎকালীন সময়ের দক্ষিণের এক নম্বর সুপারস্টার জেমিনি গণেশানের কন্যা। যদিও জেমিনি গনেশান কোনওদিনই রেখা এবং তার বোনকে পিতৃপরিচয় দেননি। পুষ্পাবলিকেও দেননি স্ত্রীর মর্যাদা। ফিল্মের সাথে কাজ করে নিজের ও দুই মেয়ের ভরণ পোষণ একাই বহন করেন পুষ্পাবলি।
১৯৩৬ সালে ‘সম্পূর্ণ রামায়ণম’ ছবি দিয়ে অভিনয় দুনিয়াতে প্রবেশ করেছিলেন পুষ্পা। এরপর তাকে আর ঘুরে তাকাতে হয়নি। তিনি একের পর এক ছবিতে অভিনয় করতে থাকেন এবং বাড়তে থাকে তার জনপ্রিয়তা। ১৯৪০ সালে তিনি বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু ৬ বছর পর তার সংসার ভেঙে যায়। এরপরে জেমিনি গনেশানের সঙ্গে তার সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
চল্লিশের ওই দশকে পুষ্পাবলি ছিলেন ইন্ডাস্ট্রির নামী নায়িকা। ১৯৪৭ সালে ‘মিস মালিনী’ ছবিতে পুষ্পাবলি এবং জেমিনি অভিনয় করেন। এই ছবির পর জেমিনি হয়ে যান সুপারস্টার। অন্যদিকে পুষ্পাবলীর জনপ্রিয়তা ক্রমশ কমতে থাকে। জেমিনি অবশ্য বিবাহিত ছিলেন। তার চারটি সন্তান ছিল। সবকিছু জেনেও জেমিনীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান পুষ্পা।
প্রেম করলেও কখনও বিয়ের পিঁড়িতে বসেননি জেমিনি এবং পুষ্পা। তবে সম্পর্কের জেরে জেমিনির দুই সন্তানের মা হন পুষ্পা। রেখা তাদের বড় মেয়ে। এরপর ছোট মেয়ে রাধার জন্ম হওয়ার পরই পুষ্পার সঙ্গে আর সম্পর্ক রাখেননি জেমিনি। তিনি এরপর বিয়ে করে নেন দক্ষিণী নায়িকা সাবিত্রীকে। রেখা এবং তার বোন রাধা মায়ের কাছেই মানুষ হয়েছেন।
আরও পড়ুন : হিরো হওয়ার জন্য তৈরি! কত বড় হয়েছে ঋতুপর্ণার ছেলে? দেখুন ছবি
আরও পড়ুন : ৪০ পেরিয়েও অবিবাহিত, সিরিয়ালের এই ৮ ‘আদর্শ বৌমা’ বাস্তবে বিয়েই করেননি
একবার একটি সাক্ষাৎকারে রেখা বলেন জেমিনিকে বাবা বলে ডাকার অধিকার তাদের দুই বোনের ছিল না। স্কুলে পড়ার সময় তিনি দেখতেন তার সৎ ভাইবোনদের স্কুলে পৌঁছে দিতেন বাবা। কিন্তু নিজের আর দুই মেয়ের সঙ্গে কখনও সম্পর্ক রাখেননি তিনি। তাই পিতৃপরিচয় ছাড়াই বড় হয়ে ওঠেন রেখা এবং রাধা। নামের পাশে বাবার পদবীও ব্যবহার করেন না তারা।