প্রাণের ছেলেও কাজ করেন বলিউডে, চেনেন তাকে?

৭০-৮০ দশকের বলিউড ভিলেন প্রাণকে কে না চেনেন? ওই সময় পর্দায় তার উপস্থিতি মানেই তেলে-বেগুনে জ্বলতেন দর্শকরা। প্রায় ৪ দশক ধরে ইন্ডাস্ট্রির সেরা ভিলেন হিসেবে নিজের জায়গা ধরে রেখেছিলেন তিনি। তার ছেলেও বলিউডে কেরিয়ার গড়তে চেয়েছিলেন। ছেলেকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন ছিল প্রাণেরও। জানেন কি প্রাণের ছেলে আসলে কে?

বলিউডের সেরা ভয়ংকর ভিলেন হিসেবে আজও পরিচিত প্রাণ। তার তিন ছেলে-মেয়ে সুনীল সিকান্দ, অরবিন্দ সিকান্দ এবং পিঙ্কি সিকান্দও বাবার দেখানো পথে পা রাখতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তারা কেউই বাবার মত সাফল্য পাননি। তবে তিন ভাইবোন কিন্তু আজও‌ বেশ সক্রিয় রয়েছেন আপন আপন ক্ষেত্রে। কিন্তু তারা লাইমলাইট থেকে দূরে থাকতেই পছন্দ করেন।

PRAN

প্রাণের বড় ছেলে সুনীল সিকান্দ বেশ কিছু বলিউড ছবিতে সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন। ‘ধরমবীর’, ‘পরবারিশ’, ‘সুহাগ’, ‘ফারিস্তে’ ইত্যাদি ছবিতে তিনি সহকারী পরিচালক হিসেবে ক্যামেরার পেছনে কাজ করেছেন। ১৯৯১ সালে তিনি ‘লক্ষণরেখা’ ছবির পরিচালনা করেছিলেন। এই ছবিতে জ্যাকি শ্রফ, নাসিরউদ্দিন শাহ, শাম্মি কাপুর, সংগীতা বিজলানিরা অভিনয় করেন। কিন্তু ‘লক্ষণরেখা’ লাভের মুখ দেখাতে পারেনি।

নিজস্ব পরিচালনার প্রথম ছবি ফ্লপ হওয়ার পর ছবি পরিচালনা ছেড়েই দেন সুনীল। তিনি বিজ্ঞাপন পরিচালনার কাজে মন দেন। ছবি পরিচালক হিসেবে সফলতা না পেলেও বিজ্ঞাপনের নির্মাতা হিসেবে কিন্তু বেশ ভালই সাফল্য পেয়েছিলেন তিনি। তবে তিনি বাবার মত বড় অভিনেতা হওয়ার স্বপ্ন পূরণ করতে পারেননি।

PRAN

সুনীল কিন্তু পরবর্তী দিনে ভারতের সেরা বিজ্ঞাপন চলচ্চিত্র নির্মাতাদের মধ্যে গণ্য হয়েছেন। তিনি আলিয়া ভাট, শ্রদ্ধা কাপুরদের জন্য বিজ্ঞাপনের পরিচালক হয়েছেন। বিভিন্ন জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক বিজ্ঞাপনে কাজ করেছেন তিনি। ২০০২ সালে একটি মিউজিক ভিডিও পরিচালনা করেছিলেন সুনীল। এরপর তিনি একটি বিনোদনমূলক চ্যানেলের প্রোমো প্রধান এবং সম্পাদক হিসেবে কাজ করেন।

আরও পড়ুন : বলিউডের ‘মহানায়ক’ অমিতাভ, ‘মহাখলনায়ক’ কে? কার ভয়ে কাঁপত গোটা ইন্ডাস্ট্রি

Sunil Sikand

আরও পড়ুন : সুপারস্টার বাবার ‘ফ্লপস্টার’ ছেলে! কোথায় হারিয়ে গেলেন ‘ম্যায় হুঁ না’র লাকি?

সুনীল বর্তমানে বুটপলিশ ডট কম সাইটে কাজ করেন। প্রাণ তার ছেলের এই সাফল্য নিজের চোখে দেখে যেতে পেরেছেন। ২০১৩ সালে তার মৃত্যু হয়। তখন তার বয়স ছিল ৯৩ বছর। ২০২০ সালে প্রাণের ১০০ তম জন্মবার্ষিকী পালন করেছিলেন তার তিন সন্তান। তিন ভাই বোনকে তখন প্রকাশ্যে একসঙ্গে দেখা গিয়েছিল। নয়তো তারা ক্যামেরার পেছনে থাকতেই পছন্দ করেন।