ভারতীয় সঙ্গীতের দুনিয়ায় আমরা বহু জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পীর কথা শুনেছি। কেউ কেউ আজও সাধারণ মানুষের মধ্যে খুব জনপ্রিয়। এমনি এক সঙ্গীত শিল্পী হলেন কুমার শানু (Kumar Shanu)। তার গাওয়া বহু জনপ্রিয় গান আজও শুনতে পাওয়া যায় টিভি কিংবা রেডিওতে।
যদিও কুমার শানু আসল নাম কিন্ত কেদারনাথ ভট্টাচার্য। বাঙালি এই গায়কের কেদারনাথ থেকে কুমার শানু হওয়ার পিছনে রয়েছে একটি বড় কারণ। আসলে জনপ্রিয় গায়ক হওয়ার আগে কলকাতা ও মুম্বাইয়ের হোটেলে গান গাইতেন কেদারনাথ বা কুমার শানু।
এভাবেই চলত তার জীবন। হোটেলে গান গাইতে গাইতে জগজিৎ সিংহের সঙ্গে আলাপ হয় তার। তারপর তিনিই যোগাযোগ করিয়ে দিয়েছিলেন বিখ্যাত সঙ্গীত পরিচালক জুটি কল্যাণজি-আনন্দজির সঙ্গে। তারাই প্রথম সম্মুখানন্দ প্রেক্ষাগৃহে একটি অনুষ্ঠানে গান গাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছিলেন শানুকে।
শানু জানিয়েছিলেন, “কল্যাণজি-আনন্দজি মনে করতেন, বাঙালি শিল্পীদের উর্দু উচ্চারণ ভাল নয়। তাঁদের মনে হয়েছিল, আমার উর্দু উচ্চারণ যথেষ্ট ভাল, তবে ভট্টাচার্য পদবিটা আমার গায়ে বাঙালির যে তকমা সেঁটে দেবে, সেটা মুম্বইতে আমার কেরিয়ারে সমস্যার কারণ হতে পারে। তাই ওটা বদলে দেন তাঁরা। তাঁরাই আমার নাম রাখেন কুমার শানু।”
তিনি আরও “জানিয়েছেন, শানু ছিল আমার ডাকনাম। আসলে ছিল ছানু, যেটা এসেছিল ছানা থেকে। আমি খুব গোলগাল চেহারার ছিলাম। তাই বাড়িতে সবাই আমায় ছানা বলত। সেখান থেকেই ছানু আর শেষমেশ শানু।”
এক সময় সঙ্গীত পরিচালকদের বাড়ি গিয়ে গিয়ে নিজের গানের ক্যাসেট বিলি করে আসতেন শানু। সবাই বলতেন তিনি নাকি কিশোর কুমারের মতো গান। গুলশন কুমার প্রথম শানুর প্রতিভা বুঝতে পেরেছিলেন। দুটি গান গাওয়ার সুযোগও দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু শানুর জীবন বদল গিয়েছিল ‘আশিকি’ ছবিতে গান গেয়ে। আজও সেই ছবির গান খুব পছন্দ করেন শ্রোতারা।