শুধু সিনেমা নয়, সিরিয়ালের ক্ষেত্রেও খলনায়ক কিংবা খলনায়িকার বেশ গুরুত্ব রয়েছে। বাংলা সিরিয়ালের ক্ষেত্রে প্রধানত খলনায়িকারা বেশি গুরুত্ব পেলেও কিন্তু ইদানিং কম যাচ্ছেন না খলনায়করাও। নায়ক-নায়িকার জীবনের ঝড় তোলার জন্য কুটিল মস্তিষ্কের ষড়যন্ত্রে যেন তারা এগিয়ে থাকেন খলনায়িকাদের থেকেও। এমনই একজন ভয়ংকর ভিলেন হলেন ‘খেলনা বাড়ি’ (Khelna Bari) সিরিয়ালের রণোজিত।
নায়ক ইন্দ্রজিতের সৎ ভাই রণো প্রথম দিন থেকেই নানা ফন্দি এঁটে চলেছে মিতুল এবং ইন্দ্রের বিরুদ্ধে। কখনও তাদের সম্পত্তি থেকে বেদখল করার ফন্দি, তাতে ব্যর্থ হলে তাদের আলাদা করে দেওয়ার ফন্দি, তাছাড়া বারবার ষড়যন্ত্র করে মিতুল এবং ইন্দ্রকে প্রাণে মেরে ফেলার চেষ্টা তো বেশ কয়েকবার করে ফেলেছে সে। এই চরিত্রটিতে অভিনয় করছেন সায়ন্তন সরকার (Sayantan Sarkar)।
জি বাংলার প্রথম সারির সিরিয়ালে খলনায়ক হিসেবে সায়ন্তনের অভিনয় নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবি রাখে। পর্দায় তাকে দেখলে দর্শকরা বেশ বিরক্ত হন। তবে রণোর চরিত্রের জন্য প্রশংসা পান সায়ন্তন। পর্দার সামনে তাকে এমন একটি চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা গেলেও বাস্তবে তিনি কেমন? সম্প্রতি আনন্দবাজার অনলাইনের কাছে নিজের সম্পর্কে মুখ খুলেছেন অভিনেতা।
অভিনেতা জানিয়েছেন সিরিয়ালে তাকে যেমনটা দেখানো হচ্ছে বাস্তবে তিনি তেমন নন। তিনি কখনও উচ্চস্বরে কথা বলেন না। তিনি ভীষণই শান্ত স্বভাবের মানুষ। তাই পর্দায় এই দুষ্টু চরিত্রটিকে ফুটিয়ে তুলতে তাকে বেশ চ্যালেঞ্জ নিতে হয়েছে। তিনি এর আগে মোমপালক সিরিয়ালে রোমান্টিক হিরোর চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। পরের সিরিয়ালেই এমন ভিলেন রোলে সায়ন্তন বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি কতটা দক্ষ অভিনেতা।
উল্লেখ্য বিধাননগর মিউনিসিপাল স্কুল থেকে পড়ে ইংরেজি অনার্স নিয়ে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হয়েছেন সায়ন্তন। পড়াশোনা করতে করতেই তিনি মডেলিং করতে শুরু করেন। তারপর তিনি চাকরিও করেন। ‘ঠিক যেন লাভ স্টোরি’ সিরিয়ালে নায়কের বন্ধু হয়ে একমাস অভিনয় করার পর তিনি প্রথম সারির একটি বিমানসংস্থায় কেবিন ক্রু হিসেবে চাকরি নেন।
আরও পড়ুন : চরম দারিদ্র্যে চলত না সংসার, মায়ের গয়না বেচে ‘খেলনা বাড়ি’র মিতুল কীভাবে হলেন আরাত্রিকা?
প্রায় আড়াই বছর তিনি সেখানে চাকরি করেছিলেন। তার মাইনেটাও ছিল অনেক বেশি। কিন্তু অভিনয় ছেড়ে চাকরিতে যোগ দিয়ে তিনি তৃপ্তি পাচ্ছিলেন না। তাই চাকরি ছেড়ে তিনি আবার অভিনয়ে ফিরে আসেন। ‘টোটাল দাদাগিরি’ সিনেমায় যশ দাশগুপ্তের বন্ধুর চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন সায়ন্তন। এরপর ‘যমুনা ঢাকি’তেও খলনায়কের চরিত্রে অভিনয় করেন। এখন তাকে রণো চরিত্রের জন্য চিনছেন দর্শকরা।
আরও পড়ুন : জামাইয়ের সঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে শাশুড়ি! ‘জি বাংলা’র গাঁজাখুরি সিরিয়াল দেখে ক্ষেপে লাল দর্শকরা