Chiranjeet Chakraborty`s Daughter : বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির সুপারস্টারদের নাম যদি বলা হয় তাহলে অবশ্যই বলতে হয় চিরঞ্জিত চক্রবর্তীর (Chiranjeet Chakraborty) কথা। শুধু একজন অভিনেতা হিসেবে নয় একজন রাজনীতিবিদ হিসেবেও নিজেকে প্রমাণ করেছেন তিনি। এত সাফল্য পেয়েও ব্যক্তিগত জীবনে একেবারেই খুশি নন তিনি। মেয়েকে কাছে না পাওয়ার আক্ষেপ যেন চোখে মুখে স্পষ্ট হয়ে যায় বারবার। কেন বাবার থেকে দূরে থাকেন চিরঞ্জিত কন্যা? মনোমালিন্য নাকি অন্য কিছু?
সুপারস্টার হলেও আদ্যপ্রান্ত মাটির মানুষ চিরঞ্জিত
যখন প্রসেনজিৎ বা অভিষেক বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতে প্রবেশ করেননি তখন বাংলা ইন্ডাস্ট্রির সুপারস্টার বলতে শুধুই চিরঞ্জিতকেই মনে করা হতো। একের পর এক দুর্দান্ত হিট সিনেমা তিনি উপহার দিয়েছেন দর্শকদের। এত বড় তারকা হলেও চিরঞ্জিত কিন্তু আদ্যপ্রান্ত মাটির মানুষ। সব সময় নম্র এবং বিনয়ী ভাবেই কথা বলতে শোনা গেছে তাকে।
চিরঞ্জিতের বাবাও ছিলেন বিখ্যাত একজন মানুষ
চিরঞ্জিতের বাবা শৈল চক্রবর্তী ছিলেন একজন বিখ্যাত কার্টুনিস্ট। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘ল্যাবরেটরী’- র ইলাসট্রেশন করেন তিনি। এছাড়া সত্যজিৎ রায়ের প্রথম মুদ্রিত গল্প ‘বর্ণান্ধ’ – রও ছবি এঁকেছিলেন তিনি। চিরঞ্জিত নিজেও ‘দেশ’ পত্রিকার সাথে যুক্ত ছিলেন। দীপক চক্রবর্তী নামে কলকাতা দূরদর্শনে কাজ করেছিলেন সংবাদ পাঠক হিসাবে।
বাবা তারকা হলেও চিরঞ্জিতের মেয়ে অভিনয় জগত থেকে দূরে থাকেন
নিজের জীবন সাথী হিসেবে চিরঞ্জিত বেছে নিয়েছিলেন রত্নাবলী চক্রবর্তীকে। চিরঞ্জিত এবং রত্নাবলীর একমাত্র কন্যার নাম দীপাবলি চক্রবর্তী (Deepabali Chakraborty)। চিরঞ্জিতের মতো বড় তারকার সন্তান হয়েও দীপাবলি কিন্তু কখনও আসেন না লাইমলাইটে। অভিনয় জগত থেকেও শতহস্ত দূরে থাকেন তিনি।
কোথায় থাকেন চিরঞ্জিতের মেয়ে?
গোখলে মেমোরিয়াল গার্লস হাই স্কুল থেকে পড়াশোনা সম্পন্ন করেন তিনি। তার পর মাইক্রোবায়োলজি নিয়ে তিনি ব্যাঙ্গালোরের একটি কলেজ থেকে এমএসসি করেছেন। লেখাপড়া করতে করতে ২০০৮ সালে তিনি বিয়ে করেন আকাশ আগারওয়ালের সঙ্গে। বিয়ে হওয়ার পরেই আকাশ এবং দীপাবলি দুজনেই পাড়ি দেন আমেরিকায়। তারপর থেকেই টেক্সাস হয়ে যায় তাদের স্থায়ী ঠিকানা।
আরও পড়ুন : কত টাকার মালিক সুপারস্টার চিরঞ্জিত চক্রবর্তী, প্রকাশ্যে এল সম্পত্তির পরিমাণ
কী করেন চিরঞ্জিতের মেয়ে?
আকাশ সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হলেও দীপাবলি নিজের পড়াশোনা কিন্তু থামিয়ে রাখেননি। বিয়ের পরেও পড়াশোনা চালিয়ে গেছেন তিনি। হাউস্টনের হেলথ সাইন্স সেন্টার থেকে ডক্টরেট করেছেন তিনি। বর্তমানে পোস্ট ডক্টরাল রিসার্চর হিসাবে ইউটিএমডি ক্যান্সার সেন্টারে কর্মরত তিনি। স্বাভাবিকভাবেই গবেষণার কাজেই বেশিরভাগ সময় কেটে যায় দীপাবলির।
আরও পড়ুন : ‘টলিউডে টিকে থাকতে ও সব কিছু করতে পারে!’, ফের প্রসেনজিতকে খোঁচা চিরঞ্জিতের
২০১৭ সালে আকাশ এবং দীপাবলির এক কন্যা সন্তান হয়। কাজের ফাঁকে প্রায়শই মা-বাবার কাছে ঘুরে যান দীপাবলি। সপরিবারে দুর্গাপূজো অথবা অন্যান্য ছুটিতে কলকাতা আসেন চিরঞ্জিত কন্যা। কিছুটা সময় কাটিয়ে যান তিনি। অন্যদিকে ফাঁক পেলেই মেয়ের কাছে চলে যান সস্ত্রীক চিরঞ্জিত চক্রবর্তী।