প্রচন্ড গরমে এখন অতিষ্ঠ গোটা বাংলা। বৈশাখের শুরুতেই তাপমাত্রার পারদ ৪০ ডিগ্রিতে গিয়ে ঠেকেছে। এই গরমের মধ্যে যে বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত একটু শান্তিতে বসে টিভি সিরিয়াল (Bengali Mega Serial) দেখবেন তার নাকি আর উপায় থাকছে না! কারণ এই প্রচন্ড গরমে দিনে ১৪ ঘণ্টা শুটিং করতে গিয়ে হাঁসফাঁস অবস্থা তারকাদের। তাই শুটিংয়ের জন্য এক বড় সিদ্ধান্ত নিল ফেডারেশন (Federation)।
শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা যাই হোক না কেন, বাংলা সিরিয়ালের শুটিং থেমে থাকার উপায় নেই। এপিসোড ব্যাঙ্কিংয়ের জন্য দিনরাত পরিশ্রম করতে হয় তাদের। এই প্রচন্ড গরমেও কাজ বন্ধ রাখার উপায় নেই তাদের। কিন্তু দিনে ১৪ ঘণ্টা গরমের মধ্যে কাজ করতে গিয়েও তো অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন তারা। তাই কলাকুশলীদের স্বাস্থ্যের কথা ভেবে এই গরমে শুটিং নিয়ে চূড়ান্ত এক সিদ্ধান্ত নিল ফেডারেশন অফ সিনে টেকনিশিয়ান্স এন্ড ওয়ার্কারস অফ ইস্টার্ন ইন্ডিয়া।
মাসের দ্বিতীয় রবিবার ছাড়া সিরিয়ালের শুটিংয়ে ছুটি থাকে না। ইনডোর শুটিংয়ের সঙ্গে সঙ্গে আউটডোর শুটিংও করতে হয় তাদের। ইনডোরে তবুও এসির বন্দোবস্ত থাকে। কিন্তু বেশ কিছু কিছু গুরুত্বপূর্ণ দৃশ্য থাকে যেগুলির শুটিংয়ের জন্য এসি ফ্লোরের বাইরে গিয়ে শুটিং করতে হয়। সম্প্রতি ফেডারেশনের সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাস এই সম্পর্কে প্রযোজক গিল্ড এবং ইম্পার কাছে একটি বিশেষ মেইল পাঠিয়েছেন।
আনন্দবাজারের কাছে স্বরূপ বিশ্বাস জানিয়েছেন গরমে শুটিং করার ক্ষেত্রে কিছু পরিবর্তন আনার কথা ভেবে আলোচনায় বসার আর্জি জানিয়েছেন তিনি। গরম থেকে সাময়িক রেহাই পাওয়ার জন্য আপাতত আউটডোর শুটিং কিছুদিনের জন্য বন্ধ রাখার কথা জানিয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গে দুপুরের সময়টুকু শুটিং বন্ধ রাখার কথাও ভাবা হয়েছে।
এই প্রচন্ড গরমেও খালি পায়ে পিচের রাস্তায় হাঁটছেন ‘পঞ্চমী’ সিরিয়ালের সুস্মিতা। তার পক্ষে বিষয়টা বেশ কষ্টকর বলে জানাচ্ছেন অভিনেত্রী। তবে এখন অবশ্য আউটডোর শুটিং কম রাখা হচ্ছে। আর ওআরএস ও তরমুজ খেয়ে নিজেকে ঠান্ডা রাখার চেষ্টা করে চলেছেন তিনি। অন্যদিকে সোহাগ জল সিরিয়ালের নায়ক হানি বাফনাও জানিয়েছেন তিনি প্রতিদিন বেলের শরবত খেয়ে বাড়ি থেকে বের হন। সেই সঙ্গে প্রচুর ডিটক্স ওয়াটার খাচ্ছেন দিনে।
অন্যদিকে এক্কাদোক্কা সিরিয়ালের নায়ক সপ্তর্ষি মৌলিক অবশ্য এই গরমেও দিব্যি ঠাণ্ডা আছেন। তার কারণ হিসেবে তিনি আনন্দবাজারকে জানিয়েছেন বহু দিন আগেই মাছ, মাংস, ডিম খাওয়া তিনি ছেড়ে দিয়েছেন। প্রোটিন কম খান বলে তার গরমটা অতটা গায়ে লাগে না। তবে সিরিয়ালের অন্যান্য অভিনেতা এবং অভিনেত্রীদের কাছে কিন্তু এই গরম সহ্য করা বেশ মুশকিল হয়ে দাঁড়াচ্ছে।