বাংলা সিরিয়ালের অত্যন্ত জনপ্রিয় একজন অভিনেত্রী অহনা দত্ত। যাকে সবাই স্টার জলসার অনুরাগের ছোঁয়া সিরিয়ালের মিশকা নামে চেনেন। তার মা চাঁদনীকেও সোশ্যাল মিডিয়ার মানুষেরা এখন চেনেন। জি বাংলা ডান্স বাংলা ডান্সে অহনা এবং চাঁদনীর ডুয়েল পারফরমেন্স মুগ্ধ করেছিল দর্শকদের। তবে ইদানিং মা ও মেয়ের সম্পর্কে ধরেছে চিড়। বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক রাখেন না চাঁদনী। আর এবার তিনি এমন এক মন্তব্য করলেন যে বিতর্ক আরও বাড়লো।
কী মন্তব্য করেছেন চাঁদনী?
সেই ২০২২ সাল থেকে চাঁদনী এবং অহনার সম্পর্ক খারাপ হয়েছে। আসলে মায়ের অমতে দীপঙ্কর দে নামের এক ডিভোর্সির সঙ্গে লিভ ইন করতে শুরু করেন অহনা। এমনকি মায়ের বিরুদ্ধে গিয়ে দীপঙ্করের সঙ্গে থাকার জন্য বাড়িও ছেড়ে দেন তিনি। তারপর থেকেই চাঁদনী যেন মেয়েকে সহ্য করতে পারেন না। সোশ্যাল মিডিয়াতে বহুবার মেয়ের প্রতি তিনি তার ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন। এবার অবশ্য সরাসরি মেয়েকে বা দীপঙ্করকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেননি কিছুই। তবে সায়ন্ত মোদককে সামনে রেখে তিনি লিখলেন এমন কিছু যেখানে অন্য কিছুর ইঙ্গিত পাচ্ছেন নেট নাগরিকরা।
বর্তমানে অভিনেতা সায়ন্ত মোদক তার তিন প্রেমিকাকে শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন করার জন্য চর্চায় রয়েছেন। তার একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করে চাঁদনী লেখেন, “ইনি একা নন। অনেকেই আছেন। তবে সব মেয়েরা সাহস করে বলতে পারে না। বলদের মত শোয়ার নেশায় টাকা আর প্রেম বিলিয়ে যায়। সব জেনেও তাই এই ধরনের পুরুষরা নিজেদের চালানোর জন্য ফাঁদ পাতবেই। কিন্তু মেয়েরা একটু বুঝতে হবে।”
আরও পড়ুন : বাস্তবেও বিবাহিত পুরুষের সঙ্গে সহ’বাস! ‘ঘরভাঙ্গানি’ মেয়ের মুখ দেখেন না ‘মিশকা’র মা
আরও পড়ুন : নাচের স্কুল খুললেন ‘অনুরাগের ছোঁয়া’র মিশকা! ফি কত?
এদিকে মাত্র ২২ বছর বয়সে দীপঙ্করের সন্তানের মা হতে চলেছেন অহনা। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন তিনি ভালোবাসার কাঙাল। যার কাছে সত্যি ভালোবাসা পান তার কেনা হয়ে থাকেন। আর মা-বাবার প্রসঙ্গে তার বক্তব্য, “মা-বাবাকে নিয়ে আর মাথা ঘামাই না। ওদের বক্তব্য নিয়েও কিছু বলার নেই। ১৮ বছরে এসে জীবন সঙ্গী বেছেছি। যে কোনও সিদ্ধান্ত অনেক ভেবেচিন্তেই নিয়েছি। আমার কোনও আফসোস নেই। দীপঙ্করকে নিয়ে খুব সুখী। ওরা খোঁজ নেন না। আমারও প্রয়োজন পড়ে না। স্বামী, শ্বশুর মশাইকে নিয়ে দিব্বি আছি।” সেই সঙ্গে অহনা এও বলেছেন যদি তার মেয়ে হয়, সেও তার মত জীবনসঙ্গী বেছে নেয় এবং ভালো থাকে তাহলে তিনি তার সন্তানকে বুক দিয়ে আগলাবেন।