‘লাল সিং চাড্ডা’র পর বয়কটের মুখে আরও একাধিক ছবি, ঘুম উড়েছে বলিউডের

ভারতবর্ষ অসহিষ্ণু, এই দেশ বসবাসের যোগ্য নেই আর, এমনই এক মন্তব্যের জেরে আমির খানের উপর সারা দেশের ক্ষোভ যে কী পর্যায়ে পৌঁছেছে তার প্রমাণ মিলেছে ‘লাল সিং চাড্ডা’র মুক্তির পর। তবে শুধু আমির খানের ছবি বয়কট করেই থেমে থাকছেন না দর্শকরা, দর্শকদের বিচারে দেশ কিংবা দেশের সংস্কৃতিকে অপমান করছেন যে তারকারা, তাদের প্রত্যেকেই আজ বাতিলের খাতায়।

শুধু ‘লাল সিং চাড্ডা’ নয়, অক্ষয় কুমারের ‘রক্ষা বন্ধন’, তাপসী পান্নুর ‘দোবারা’ সব সিনেমারই একই হাল হচ্ছে। সামনেই বলিউডের আরও বড় বাজেটের বেশ কিছু ছবি মুক্তি পেতে চলেছে। তালিকায় রয়েছে শাহরুখ খানের ‘পাঠান’, হৃত্বিক রোশনের ‘বিক্রম ভেদা’, আলিয়া ভাট এবং রণবীর কাপুরের ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ মুক্তি পাবে আর কিছুদিন পরেই। বলিউডের এই আসন্ন সিনেমা গুলির কী হাল হবে সেই নিয়ে এখন থেকেই চিন্তিত নির্মাতারা।

প্রায় চার বছর পর আবার সিনেমার পর্দায় ফিরছেন শাহরুখ খান। ২০২৩ সালে মুক্তি পাবে তার একের পর এক ছবি। পরিশ্রম তিনি কিছু কম করছেন না। কিন্তু সাম্প্রতিক পরিস্থিতি শাহরুখের কাম ব্যাকের জন্য আদেও উপযুক্ত কি? বিশিষ্ট সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের গুরু ভাই সাধু দেবনাথ তার সনাতনী ভাইদের ‘পাঠান’ ছবি বয়কটের আবেদন করেছেন।

সাধু দেবনাথের কথায়, “আমি কোনও ফিল্মের বিরুদ্ধে নই, কিন্তু সেই অভিনেতাদের বিরুদ্ধে যারা ভারতীয় ভক্তদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং দেশকে গালাগালি করে।” এদিকে আবার সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়েছে শাহরুখের একটি পুরনো ভিডিও যেখানে তাকে দেশের অসহিষ্ণুতা নিয়ে মন্তব্য করতে শোনা যাচ্ছে। এই ভিডিও তুলে ধরে নেটিজেনদের একাংশ ‘বয়কট পাঠান’ এর ডাক দিচ্ছেন।

এদিকে দর্শকদের রোশানালে পড়ে গিয়েছেন হৃত্বিক রোশনও। ‘লাল সিং চাড্ডা’ বয়কটের ট্রেন্ডের সময় তিনি আমির খানের পাশে দাঁড়িয়ে ছবিকে সমর্থন করেছিলেন। তার এই সমর্থন ভালভাবে নেননি নেটিজেনরা। তারপর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়াতে তাকে নিয়ে কটাক্ষ এবং ট্রোলিং চলছে। তার আসন্ন ছবি ‘বিক্রম ভেদা’ বয়কটের হুমকিও দিচ্ছেন তারা।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শাহরুখকে কটাক্ষ করে বলছেন, “বলিউডের ভাইজান, বাদশাহ, পারফেকশনিস্টদের খেলা শেষ। অনেক টাকা কামিয়ে নিয়েছেন। এদের স্টারডম দিনের পর দিন কমেই চলেছে।” কেউ শাহরুখকে বলছেন, “অনেক টাকা কামিয়ে নিয়েছেন এবার আপনি অবসর নিন”। কেউ লিখছেন, “অনেক হয়েছে দেশের অবমাননা ভারতের সংস্কৃতিকে বিকৃত করলে এমনটাই ফল ভুগতে হবে।”