এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলা থেকে শুরু করে পুর নিয়োগ মামলা, একের পর এক দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় জড়িয়ে পড়ছেন তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা। বাদ যাচ্ছেন না বিধায়ক থেকে কাউন্সিলররাও। এই যেমন সম্প্রতি রাজারহাট-গোপালপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক অদিতি মুন্সী ও তার স্বামী তথা বিধাননগরের তৃণমূল কাউন্সিলর দেবরাজ চক্রবর্তীকে নিয়েও তোলপাড় হচ্ছে রাজ্য রাজনীতি।
গত বৃহস্পতিবার সকাল সকাল দেবরাজের বাড়িতে পৌঁছে যায় সিবিআই। কোটি কোটি টাকার নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তের জন্য দেবরাজের তিন তিনটি বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। অদিতি এবং তার স্বামীর সম্পত্তির পরিমাণ নেহাত কিছু কম নয়। ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের সময় নির্বাচন কমিশনে হলফনামা জমা দেওয়ার সময় অদিতি মুন্সীর মোট সম্পত্তির খতিয়ান মিলেছিল।
অদিতি জানিয়েছিলেন ওই সময় তার হাতে ছিল নগদ দেড় লক্ষ টাকা। আর দেবরাজের হাতে সেই সময় ৪৫ হাজার টাকা নগদ ছিল। অদিতির একটি ব্যাঙ্ক একাউন্টে ছিল ২ লক্ষ ২ হাজার ২৭২.৪১ টাকা। আরেকটিতে ছিল ২০ হাজার ৭৭৩.৬৭ কোটি টাকা। এফডিতে জমানো ছিল ১ লক্ষ ৬৯ হাজার ৫৪০ টাকা। অন্যদিকে দেবরাজের দুটি সেভিংস একাউন্টে যথাক্রমে ছিল ৪৯,৭৬৭.৫২ ও ৬২,০৭৬.২২ টাকা।
অদিতি আরও জানিয়েছিলেন জীবন বীমার ম্যাচিউরিটি অ্যামাউন্ট হিসেবে একটিতে এক লক্ষ টাকা এবং আরেকটিতে আড়াই লক্ষ টাকা রয়েছে তার। এছাড়াও তার দুটি গাড়ি ছিল সেই সময়। সেই দুটি গাড়ির দাম যথাক্রমে ১৮ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকা এবং ৩৩ লক্ষ টাকা। দেবরাজের ক্ষেত্রে অবশ্য মিউচুয়াল ফান্ড, জীবন বীমা বা পার্সোনাল লোনের কোনও তথ্য ছিল না।
আরও পড়ুন : হারিয়েছেন কথা বলার ক্ষমতা, বন্ধ হল গান গাওয়া! আচমকা কী হল অদিতি মুন্সির?
এছাড়াও অদিতি জানিয়েছিলেন ওই সময় তার কাছে ১৫ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকার গয়না ছিল। দেবরাজের নামে কোনও গাড়ির উল্লেখ পাওয়া যায়নি সেই হলফনামাতে। তবে দেবরাজের কাছে ১৫০ গ্রাম ওজনের গয়না ছিল, যার বাজার দর ৬ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা ছিল। হলফনামা অনুসারে, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে দেবরাজের আয় হয়েছিল ২ লক্ষ ৯৬ হাজার ৭৭৭ টাকা।
আরও পড়ুন : অদিতি মুন্সির স্বামী দেবরাজ আসলে কে? কী কী অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে?
আরও পড়ুন : আম্বানির থেকেও ধনী ছিলেন, এখন ভিখারির হাল! এই ভারতীয় ধনকুবেরের কাহিনী আপনাকে কাঁদিয়ে ছাড়বে
অন্যদিকে ২০১৯-২০ অর্থ বছরে আগের তুলনায় ৩ গুণ বেড়ে যায় দেবরাজের আয়। ২০১৯-২০ অর্থবছরে অদিতির স্বামীর আয় ৭ লক্ষ ১০ হাজার ৯৭ টাকায় দাঁড়িয়েছিল। হলফনামাতে স্বামী-স্ত্রীর নামে কোনও স্থাবর সম্পত্তির উল্লেখ ছিল না। এদিকে গতকাল দেবরাজের জ্যাংড়ার বাড়ি, জি এন এস স্মরণির বালাজি অ্যাপার্টমেন্ট এবং বাগুইহাটির ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালায় সিবিআই। সেই সঙ্গে দেবরাজের ব্যাঙ্ক একাউন্টের যাবতীয় তথ্য তারা নিয়েছেন।
আরও পড়ুন : ড্রাইভার-রাঁধুনীদের কত বেতন দেন মুকেশ আম্বানি? জানলে প্রধানমন্ত্রীও লজ্জা পাবে