বলিউড (Bollywood) পরিচালক মহেশ ভাট (Mahesh Bhatt) সম্পর্কে সোশ্যাল মিডিয়াতে অনেক রকমের গুঞ্জন রয়েছে। হাঁটুর বয়সী নায়িকাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা থেকে পরকীয়া, আলিয়া ভাটের বাবার সম্পর্কে নেটিজেনদের খুব একটা ভাল ধারণা কোনওকালেই ছিল না। বিশেষত মেয়ের বয়সী নায়িকাদের সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়াতে তার ঘনিষ্ঠ ছবি এবং তাদের ঘনিষ্ঠতা নিয়ে এমন কিছু খবর রটেছে যাতে মহেশ ভাটের কুকীর্তি সবার সামনে ফাঁস হয়ে গিয়েছে।
এবার সেই মহেশ ভাট সম্পর্কেই এক আজব তথ্য দিলেন প্রাক্তন বিশ্ব সুন্দরী সুস্মিতা সেন (Susmita Sen)। ১৯৯৪ সালে মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় জয়লাভ করে এই বঙ্গ কন্যার জীবন গিয়েছিল বদলে। তারপর তার কাছে বলিউডের সুযোগ আসতে দেরি হয়নি। তৎকালীন সময়ের বড় বড় পরিচালকদের পাশাপাশি মহেশ ভাটও সুস্মিতাকে তার ছবিতে নিতে চেয়েছিলেন। মহেশ ভাটের সঙ্গে কাজ করার সময়েই এক অদ্ভুত অভিজ্ঞতা হয়েছিল সুস্মিতার।
বেশ কিছু সময় আগে টুইঙ্কেল খান্নার ইউটিউব চ্যানেলের একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন সুস্মিতা। এখানে তিনি মহেশ ভাটের সঙ্গে কাজ করা সম্পর্কে তার অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন। তিনি জানিয়েছেন প্রথমবার শুটিংয়ের সময় মহেশের কাছে চরম অপমানিত হয়েছিলেন তিনি। এমনকি শুটিং সেটে প্রকাশ্যেই সকলের সামনে তার সঙ্গে চরম দুর্ব্যবহার করেন মহেশ।
ঠিক কী ঘটেছিল সেদিন? টুইঙ্কেল খান্নার কাছে পুরনো দিনের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে সুস্মিতা বলেন তখন তিনি সদ্য সদ্য মিস ইউনিভার্স খেতাব জিতেছেন। তারপর তার কাছে আসে প্রথম ছবির কাজের সুযোগ। এই সুযোগটা তাকে মহেশ ভাটই দিয়েছিলেন। তবে প্রথমবার শুটিং সেটে জীবনের সবথেকে খারাপ অভিজ্ঞতা হয়েছিল তার। কারণ ছবির সেটে মহেশ ভাট তাকে অপমান করেন এমনকি তাকে চড় পর্যন্ত মেরেছিলেন সেদিন।
বিশ্বসুন্দরীকে চড়? এই প্রসঙ্গে সুস্মিতা বলেন, ‘‘মহেশ ভাট একজন অসাধারণ পরিচালক। প্রথম ছবির প্রথম দৃশ্যের শুটিংয়ের সময় আমার রাগ করার দৃশ্য ছিল। সেই সময় হঠাৎই তিনি আমাকে অপমান করতে শুরু করেন। ৪০ জন সংবাদমাধ্যমের কর্মী, ২০ জন প্রোডাকশনের কর্মী, সকলের সামনে তিনি আমাকে আক্রমণ করতে শুরু করেন। আর আমি কাঁদতে শুরু করি।’’ কিন্তু মহেশ ভাট সুস্মিতাকে রেহাই দেননি। তিনি এরপর বলেন, ‘‘এ কাকে নিয়ে এসেছো! ক্যামেরার সামনে মিস ইউনিভার্সকে দেখাবে এভাবে? ও নিজের জীবন বাঁচানোর জন্য অভিনয় করতে পারে না।’’
সুস্মিতা সেন বলেছেন, ‘‘আমি মারাত্মক রেগে যাই। সেট থেকে বেরিয়ে যাওয়ার জন্য হাঁটতে শুরু করি। তখন মহেশ ভাট আমার হাতটা চেপে ধরেন। আমি প্রচন্ড রেগে গিয়ে হাতটা ছিটকে নিয়ে বলি, আপনি আমার সঙ্গে এভাবে কথা বলতে পারেন না। ফের আমি হাঁটতে শুরু করি। মহেশ ভাট আবারও আমার হাত ধরেন। আর বলেন, এটাই রাগ, যাও সেটে ফিরে যাও আর এটাই করে দেখাও।’’