টলিউড (Tollywood) অভিনেত্রী দেবশ্রী রায়ের (Debashree Roy) ব্যক্তিগত জীবনে নেমে এল বড় অন্ধকার। সদ্য তিনি তার কাছের মানুষকে চিরতরে হারিয়ে ফেলেছেন। প্রয়াত হয়েছেন দেবশ্রীর মা আরতি রায় (Arati Roy)। মঙ্গলবার সন্ধ্যে ৬.৩০টার সময় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরে এই বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যায় ভুগছিলেন আরতি রায়। অবশেষে মঙ্গলবার চিরতরে পৃথিবী ছেড়ে চলে গেলেন তিনি।
মাকে হারিয়ে স্বভাবতই ভীষণ ভেঙ্গে পড়েছেন অভিনেত্রী। মৃত্যুকালে তার মায়ের বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। গত কয়েক মাস ধরেই বড় মেয়ে অর্থাৎ দেবশ্রীর দিদির কাছেই ছিলেন আরতি রায়। সেখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন তিনি। তবে মৃত্যুকালে তিনি তিন মেয়েকেই পাশে পেয়েছেন। উল্লেখ্য, আরতি রায় বলিউড অভিনেত্রী রানী মুখোপাধ্যায়ের দিদিমা। রানী আরতি দেবীর মেয়ে কৃষ্ণা মুখোপাধ্যায়ের মেয়ে।
দিদিমার প্রয়াণ যাত্রায় অবশ্য পাশে থাকতে পারবেন না রানী। কারণ বেশ কিছুদিন ধরে শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছেন তিনিও। এই বছরের আগস্ট মাসেই পড়ে গিয়ে গুরুতর আঘাত পেয়েছিলেন দেবশ্রী রায়ের মা। সেই সময় দেবশ্রী সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, “এখন বড়দির কাছেই মা থাকেন। সেখানে পড়ে গিয়ে কপালে চোট পেয়েছেন। অনেকটা রক্ত বেরিয়ে যাওয়ায় কাহিল হয়ে পড়েছেন।”
মাকে হারিয়ে ভীষণ ভেঙে পড়েছেন দেবশ্রী। সংবাদমাধ্যমের কাছে এই বিষয়ে বলতে গিয়ে তিনি বলেছেন, ‘‘বুঝতেই পারলাম না মা কখন চলে গেলেন। মায়ের জন্যই তো আমার অভিনেত্রী হওয়া। বার্ধক্যজনিত সমস্যা ছাড়া বিশেষ কোনও রোগও ছিল না। তবে শেষ সময়ে তিন মেয়েকেই পাশে পেয়েছেন, তাই খুব শান্তিতে গিয়েছেন।’’ আরতি দেবীর প্রয়াণের খবর পেয়ে শোক প্রকাশ করেছেন টলিউডের বিশিষ্টরাও।
উল্লেখ্য, দেবশ্রী একাধিকবার সংবাদমাধ্যমের কাছে জানিয়েছেন মায়ের ইচ্ছা পূরণ করার জন্যই তিনি অভিনয় এসেছিলেন। আরতি দেবী তার মেয়েকে নাচ শিখিয়েছিলেন। তাকে শুটিংয়ে নিয়ে যেতেন তিনিই। সব সময় মেয়ের পাশেই থেকেছেন আরতি দেবী। উল্লেখ্য আরতি রায় নিজেও একজন প্রখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী। মায়ের কাছেই মেয়েরা গানেও হাতেখড়ি পেয়েছেন।
বেশ কয়েক বছর আগে মা এবং দিদিকে নিয়ে একবার জি বাংলার হ্যাপি পেরেন্টস ডে নামের একটি টক শোতে এসেছিলেন দেবশ্রী। সেখানে এসে দিদির সঙ্গে গলা মিলিয়ে গানও শুনিয়েছিলেন দেবশ্রী। তখনই জানা যায় আরতি রায়ের মেয়েরাও কিন্তু তার মতই গানে বেশ পারদর্শী। মায়ের থেকে দেবশ্রী গানের প্রতি দক্ষতার এই গুণটা পেয়েছেন।