অভিনয় ছেড়ে রাজনীতিতে এসেও সফল হয়েছেন এই তারকারা

বিগত কয়েক বছরে সিনেমার তারকাদের রাজনীতিতে পা রাখার হিড়িক বেড়েছে। সমগ্র ভারতবর্ষেই এই ট্রেন্ড লক্ষ্য করা যায়। আসলে রাজনীতিতে তারকাদের ইমেজ ব্যবহার করার প্রচলন বেশ পুরনো। বলিউডে এমন বহু তারকা রয়েছেন যারা অভিনয় ছেড়ে পরবর্তী জীবনের রাজনীতিতে প্রবেশ করেন এবং সফল রাজনীতিবিদ হয়ে উঠেছেন। এক নজরে দেখুন এই তালিকায় কারা রয়েছেন।

এম জি রামচন্দ্রন : এই তামিল অভিনেতা ৪০-৫০ এর দশকে চুটিয়ে কাজ করেছিলেন। তারপর তিনি অভিনয় ছেড়ে রাজনীতিতে পা রাখেন। ১৯৫৩ সালে দ্রাবিড় মুন্নেত্রা কাঝাগাম দলে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। তিনিই এআইডিএমকে দলের প্রতিষ্ঠাতা। ১৯৭৭ থেকে ১৯৮৭ সাল, ১০ বছর তিনি তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন।

Amitabh Bachchan

অমিতাভ বচ্চন : অমিতাভ বচ্চন রাজনীতিতে পা রাখেন ১৯৮৪ সালে। কংগ্রেস দলের হয়ে এলাহাবাদ কেন্দ্র থেকে লোকসভা নির্বাচনে জিতেছিলেন তিনি। তাও আবার ১ লক্ষ ৮৭ হাজার ভোটের ব্যবধানে, তার এই রেকর্ড প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী লাল বাহাদুর শাস্ত্রী থেকে শুরু করে উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী এইচ এন বহুগুনা, বিজেপি শীর্ষ নেতা মুরুলি মনোহর জোশিরাও ভাঙতে পারেননি। তবে বোফোর্স কেলেঙ্কারিতে নাম জড়ানোর পর তিনি রাজনীতি ছেড়ে দেন।

সুনীল দত্ত : ১৯৮৪ সালে কংগ্রেসের হয়ে মুম্বাইতে সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত হন সুনীল দত্ত। ২০০৪ সালেও তিনি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হয়েছিলেন। মাঝে ১৯৯৩ সালে মুম্বাই বিস্ফোরণে ছেলে সঞ্জয় দত্তের নাম জড়িয়ে যাওয়াতে সুনীল দত্তের রাজনৈতিক কেরিয়ারের কিছুটা বাধা পড়ে।

Shatrughan Sinha

শত্রুঘ্ন সিনহা : লোকসভা এবং রাজ্যসভা উভয় কক্ষের সদস্য ছিলেন এই অভিনেতা। তিনি বিজেপি আমলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হয়েছিলেন। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে তিনি দলবদল করেন এবং কংগ্রেসের টিকিট নিয়ে নির্বাচনে দাঁড়ান। কিন্তু ওই বছর তিনি জিততে পারেননি।

গোবিন্দা : ২০০০ সালে গোবিন্দা রাজনীতিতে যোগদান করেন। ২০০৪ সালে তিনি মুম্বাই থেকে কংগ্রেসের টিকিটে জিতে সাংসদ হয়েছিলেন। চার বছর পর বিভিন্ন বিতর্কের কারণে তিনি আবার রাজনীতি ছেড়ে দেন। ২০০৮ সালে তিনি রাজনীতি ছেড়ে দিয়ে আবার বলিউডে ফিরতে চাইলেও তার কেরিয়ার সেভাবে আর এগোতে পারেনি।

Rajesh Khanna

রাজেশ খান্না : ১৯৯২ সালে কংগ্রেসের হয়ে নিউ দিল্লি থেকে সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত হন রাজেশ খান্না। ১৯৯৬ সালে তিনি রাজনীতি ছেড়ে দেন। রাজনীতিতে তার চলার পথে শুরুটা ভালো হলেও তিনি পরের দিকে আর সেই সফলতা ধরে রাখতে পারেননি।

সানি দেওল : ২০১৯ সালে সানি দেওল ভারতীয় জনতা পার্টির হাত ধরে ভোটে দাঁড়ান। ওই বছর তিনি পাঞ্জাবের গুরদাসপুর কেন্দ্র থেকে জিতেও গিয়েছিলেন। বর্তমানে তিনি বিজেপির সাংসদ।

আরও পড়ুন : দীপিকা, ক্যাটরিনা, সুস্মিতা নন! বলিউডের সবথেকে লম্বা নায়িকা কে?

Tapas Paul

আরও পড়ুন : কাজ দিচ্ছে না টলিউড! কোন ষড়যন্ত্রের শিকার তনিমা সেন?

তাপস পাল : তাপস পাল ২০০৯ সালে কৃষ্ণনগর থেকে তৃণমূলের সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালের নির্বাচনেও তার জয়ের ধারা অক্ষুন্ন ছিল। কিন্তু রোজভ্যালি চিট ফান্ড মামলায় নাম জড়িয়ে যাওয়াতে শেষ পর্যন্ত তাপস পালের রাজনৈতিক কেরিয়ারে বড় জোর ধাক্কা লাগে।

দেব : ২০১৪ সালের তৃণমূলের হয়ে ভোটে লড়াই করেছিলেন দেব। সেই থেকে এখনো পর্যন্ত তার জয়ের ধারা অক্ষুন্ন আছে। ২০১৯ সালেও পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল থেকে সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। ২০২৪ সালেও তিনি ওই কেন্দ্র থেকেই জয়লাভ করেছেন।