মদ-সিগারেট সঙ্গে মোটা মাইনে! গোবিন্দার ছবিতে এই বাঁদরের মাইনে ছিল গোবিন্দার থেকেও বেশি

Aankhen Movie Monkey Charges For Movie : বলিউড (Bollywood) – এ এমন অনেক ছবি আছে যেখানে নানা রকম প্রাণীকে ব্যাবহার করা হয়েছে। কখনও কুকুর , সাপ, পাখি, এমনকি বাঁদরকে পর্যন্ত দেখা গেছে অভিনয় করতে। আর সেরকমই একটি ছবি হলো আঁখে। যেখানে একটি বাঁদর অভিনয় করেছিল। জেনে অবাক হবেন এই ছবির মূল অভিনেতা গোবিন্দ (Govinda) এবং চাঙ্কি পান্ডে (Chunky Panday) -র থেকেও বেশি পারিশ্রমিক পেয়েছিল বাঁদরটি। চলুন জেনে নিই আজকে তার সম্পর্কে।

ডেভিড ধওয়ানের পরিচালনায় ১৯৯৩ সালে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় ‘আঁখে’ (Aankhen) ছবিটি। ছবিটি অনেক দিন পর্যন্ত বক্স অফিসে চলেছিল। ছবিটির বাজেট ছিলো প্রায় ৬ কোটি টাকা আর বক্স অফিস থেকে উপার্জন করেছিলেন ৪৫ কোটি টাকা। আর এই ছবিতে গোবিন্দ এবং চাঙ্কি পান্ডে ছাড়াও অভিনয় করেছিলেন শিল্পা শিরোদকর, রীতু শিবপুরি। রাজ বব্বর এবং শক্তি কপূরের মতো অভিনেতারা।

Aankhen Movie Monkey

তবে এই কমেডি ছবিটিতে সবচেয়ে বেশি নজর কেড়েছিলেন একটি বাঁদর। তবে জানলে অবাক হবেন এই বাঁদরটির পারিশ্রমিক গোবিন্দর থেকেও বেশি ছিল। আর এই প্রসঙ্গে চাঙ্কি জানিয়েছিলেন, ‘আঁখে’ ছবিতে মুখ্যচরিত্রে অভিনয় করে গোবিন্দ বা আমি যা আয় করেছিলাম তার থেকে অনেক বেশি উপার্জন করেছিল বাঁদরটি। এই ছবিতে আমি আর গোবিন্দ দু’জনেই ১৮ লক্ষ টাকা পারিশ্রমিক পেয়েছিলাম। আর বাঁদরটি পেয়েছিল ২০ লক্ষ টাকা।’

এছাড়াও চাঙ্কি আরও বলেন, ‘‘বাঁদরটি কিন্তু খুব দামি ছিল। দক্ষিণ ভারত থেকে তাকে সেটে নিয়ে আসা হয়েছিল। বাঁদরের সঙ্গে আবার ছ’জন সহযোগীও ছিল।vবাঁদরটিকে বিলাসবহুল হোটেলে রাখার আয়োজন করা হয়েছিল। তখন বাঁদরটিকে দেখে মনে হত যেন ওই-ই সবথেকে বড় তারকা। সেটে ওর জন্য কত কী যে হয়েছে, তা বলার নয়। তবে ওকে সকলে খুব ভালবাসত। তবে আমাকে সে অনেকবার কামড়ে দিয়েছিল। তার জন্য ইনজেকশনও নিতে হয়েছিল আমাকে।’’

Aankhen Movie Monkey

এদিকে কপিল শর্মার শোয়ে গিয়ে এই বাঁদরকে নিয়ে মুখ খুলেছিলেন গোবিন্দ। সেই অনুষ্ঠানে কপিল মজার সুরে জিজ্ঞাসা করেন, ‘‘ওই বাঁদরটি কি চাঙ্কির সঙ্গে একই ঘরে থাকতেন না কি তার জন্য আলাদা ঘরের ব্যবস্থা ছিল?’’ আর এর উত্তরে গোবিন্দ বলেছিলেন, ‘‘ওই বাঁদরের গায়ে হাত দেওয়াই চাঙ্কির জন্য বড় ব্যাপার ছিল। তার উপর আবার একই ঘরে থাকা!’’

Aankhen Movie Monkey Charges For Movie

আরও পড়ুন : ঠাঁই হয় পাগলাগারদে, তারপরই নিরুদ্দেশ! এই বলিউড সুপারস্টারের অন্তিম পরিণতি খুবই মর্মান্তিক

আর সম্প্রতি এই বাঁদরটি নিয়ে ছবির প্রযোজক পাহলাজ জানান, “বাঁদরটিকে চেন্নাই থেকে নিয়ে আসা হয়েছিল। সম্পূর্ণ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল তাকে। সেটে কোনও কিছু তছনছ করেনি সে। তবে বাঁদরটির গায়ে শক্তি ছিল প্রচুর। তার কাজকর্ম দেখে সকলে অবাক হয়ে যেত। এমন অনেক সময় হয়েছে যখন রীতুর কোলে উঠে বসে পড়ত। রীতুর জামার বোতাম নিয়ে খেলা করত। এমনকি যখন শুটিং থাকত না তখন সে ধূমপান করত। আবার অবসর সময়ে পান করবে বলে তার জন্য আলাদা করে নাকি মদের ব্যবস্থাও করা হত।”

আরও পড়ুন : ৪ টে বিয়ে, পরকীয়া থেকে অবৈধ সন্তান, রেখার বাবার কেচ্ছা শুনলে ছিঃ ছিঃ করবেন