বলিউড (Bollywood) -র একজন প্রথম সারির অভিনেত্রী হলেন মহিমা চৌধুরী (Mahima Chaudhry)। দীর্ঘদিনের অভিনয় জীবনে তিনি উপহার দিয়েছেন একের পর এক সুপারহিট সিনেমা। তার অভিনয় গুণে মুগ্ধ হয়েছেন অসমদ্র হিমাচল অসংখ্য সিনেমাপ্রেমী মানুষ। কিন্তু এত সাফল্যের পরও বলিউড থেকে হারিয়ে গেছেন মহিমা। চলুন জেনে নিই তার জীবনে কী এমন ঘটেছিল যে তিনি বলিউড থেকে সরে গিয়েছিলেন।
১৯৭৩-এর ১৩ সেপ্টেম্বর মহিমার জন্ম দার্জিলিং-এ। ক্লাস টেন পর্যন্ত পড়াশোনা কার্শিয়াং-এর ডাও হিল স্কুলে। তার পর দার্জিলিং-এর লোরেটো কলেজ। বিনোদনের দুনিয়ায় তার হাতেখড়ি বিজ্ঞাপনে অভিনয় দিয়ে। আমির খান এবং ঐশ্বর্যা রাইয়ের সঙ্গে তিনিও কাজ করেছিলেন পেপসি-র বিজ্ঞাপনে।
এর পর মিউজিক চ্যানেলে সঞ্চালিকা হিসেবে কাজ করছিলেন ঋতু। তখনই নজরে পড়েন পরিচালক সুভাষ ঘাইয়ের। তিনি তাকে সুযোগ দেন ‘পরদেশ’ ছবিতে। তবে সুভাষের পছন্দ ছিল না ‘ঋতু’ নাম। তার কথাতে ঋতু নতুন নাম নেন ‘মহিমা’। তারপর তিনি শাহরুখ খানের বিপরীতে পরদেশে অভিনয় করে দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছিলেন।
এদিকে প্রথম ছবি ব্লকবাস্টার হিট হওয়ার পর বলিউডের দরজা তার জন্য খুলে গিয়েছিল। এরপর তিনি অভিনয় করেন ‘দাগ দ্য ফায়ার’, ‘প্যায়ার কোই খেল নেহি’, ‘দিল ক্যায়া করে’, ‘দিওয়ানে’, ‘কুরুক্ষেত্র’, ‘খিলাড়ি ৪২০’, ‘লজ্জা’, ‘ওম জয় জগদীশ’, ‘তেরে নাম’, ‘বাগবান’, ‘এলওসি কার্গিল’-এর মতো ছবিতে। অভিনয় প্রশংসিত হলেও, কোনও বারই ফিরে আসেনি ‘পরদেশ’-এর মতো সাফল্য।
কিন্তু আচমকাই অভিনয় জগৎ থেকে হারিয়ে যান তিনি। শোনা যায় কেরিয়ারের শুরুর দিকে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনার মুখে পড়েছিলেন মহিমা চৌধুরী। সেই সময় অজয় দেবগণ ও কাজলের প্রোডাকশনের ছবি ‘দিল কেয়া করে’ তে কাজ করছিলেন তিনি। সেই সময় একটা ট্রাকের সঙ্গে দুর্ঘটনা ঘটে মহিমার গাড়ির। গাড়ির কাঁচ ভেঙে মুখে ঢুকে যায় তার।
আরও পড়ুন : কেন্দ্রীয় সরকারি চাকরি ছেড়ে অভিনয়! ২৬৩ কোটির কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত এই বলিউড অভিনেত্রী
আরও পড়ুন : কেউ পঞ্চম শ্রেণী ফেল, কেউ যায়নি স্কুল! বলিউডের সবথেকে অশিক্ষিত তারকা কে জানেন?
মহিমা জানান,’ দুর্ঘটনার পর তার মুখ ক্ষতবিক্ষত হয়ে গিয়েছিল। সঙ্গে সঙ্গে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অস্ত্রোপচার করে তার মুখ থেকে বের করা হয় ৬৭ টা কাচের টুকরো। আমি আয়নায় নিজের মুখ দেখে ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। একাধিকবার অস্ত্রোপচার হয় মুখে। আমায় অনেকদিন অন্ধকার ঘরে থাকার পরামর্শ দিয়েছিলেন চিকিৎসকরা।’