Mamata Banerjee on Bengali Mega Serial : যতই ওটিটির রমরমা চলুক না কেন, আমাদের মা-ঠাকুমারা কিন্তু এখনও টিভির পর্দায় চোখ রাখতেই অভ্যস্ত। বিকেল থেকে রাত অব্দি কাজের ফাঁকে ফাঁকে সিরিয়াল (Bengali Mega Serial) দেখতে বসাটা তাদের দৈনন্দিন রুটিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাংলার ঘরে ঘরেই শুধু নয়, খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) -ও সিরিয়াল দেখতে খুবই পছন্দ করেন। রাজ্যের দায়িত্ব সামলানোর পাশাপাশি পছন্দের সিরিয়াল দেখার টাইমটুকু তিনি ঠিকই খুঁজে নেন।
সম্প্রতি টেলি একাডেমী অ্যাওয়ার্ডস অনুষ্ঠানে পুরস্কার তুলে দেওয়ার জন্য হাজির হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মঞ্চে অনুরাগের ছোঁয়া (Anurager Chhowa) থেকে শুরু করে জগদ্ধাত্রী (Jagaddhatri), হরগৌরী পাইস হোটেল (Horogouri Pice Hotel), নিম ফুলের মধু (Neem Phuler Madhu) -র মত একের পর এক সিরিয়ালের নাম তিনি মুখস্থের মত বলে চললেন। শুধু তাই নয়, কোন সিরিয়ালে কী হচ্ছে সেই সম্পর্কেও যথেষ্ট ওয়াকিবহল তিনি।
ইদানিং বাংলা সিরিয়ালের কনটেন্ট নিয়ে দর্শকদের একাংশের মনে ক্ষোভ দেখা দিচ্ছে। বাংলা সিরিয়াল মানে একজনের বারবার বিয়ে, কুটকাচালি, পরকীয়া ঘুরিয়ে ফিরিয়ে এসবই চলে। তবুও তার মাঝেও নীল-তিয়াসার বাংলা মিডিয়াম সিরিয়ালের বিষয়বস্তুর প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেন মুখ্যমন্ত্রী। ‘রামপ্রসাদ’ সব্যসাচী চৌধুরীর তিনি অনেক বড় ফ্যান। সে কথাও জানাতে ভুললেন না।
এছাড়া অন্যান্য সিরিয়ালের মধ্যে অনুরাগের ছোঁয়ার সোনা এবং রূপার মিষ্টি অভিনয়ের প্রশংসা করলেন তিনি। নিম ফুলের মধুর পর্ণার কেরামতি থেকে শুরু করে অনুরাগের ছোঁয়াতে সূর্য-দীপার ভুল বোঝাবুঝি, জগদ্ধাত্রীর মারকাটারি অ্যাকশন, সবই তিনি দেখেন। আর সেই সঙ্গে বাংলা সিরিয়ালের বিতর্কিত বিষয়বস্তু নিয়েও তিনি মুখ খুললেন এই মঞ্চে দাঁড়িয়ে।
বাংলা সিরিয়াল নিয়ে কথা বলতে বলতে মুখ্যমন্ত্রী এক সময় বলেই ফেললেন, “আর একটা জিনিস তো আপনাদের আছেই। একজনের তিনটে বিয়ে হচ্ছে… আর একটা কুটকাচালি থাকবেই। নেগেটিভ রোল। পজেটিভটাকে নেগেটিভ করে দেওয়া, সিরিয়ালটাকে বাড়িয়ে নিয়ে যাওয়া। আর যদি কেউ চলে যায় তাকে মেরে দেওয়া। এসব কিন্তু আমি দেখলেই বুঝতে পারি।”
আরও পড়ুন : এক বিয়েতে সাধ মেটেনি, বাস্তবেও একাধিক বিয়ে! কটাক্ষের কড়া জবাব ‘শিমুল’ মানালির
এরপর মুখ্যমন্ত্রী বাংলা সিরিয়ালের ক্রিয়েটিভ টিমের কাছে অনুরোধ করেছেন, “আমি আপনাদের কাছে অনুরোধ করবো যেহেতু খারাপ জিনিস লোকের বেশি তাড়াতাড়ি গ্রহণ করে, কোনও অপরাধমূলক দৃশ্য দেখানোর পরে কঠোর শাস্তি দেওয়ার ব্যাপারটা যদি আপনারা একটু দেখান, তাহলে প্রশাসনের জাগরণ হয় এবং আপনাদের থেকে শিক্ষা নিয়ে আমরাও অনেক কাজ করতে পারি।”
আরও পড়ুন : ডিভোর্সের পরপরই দ্বিতীয় বিয়ের তোড়জোড় শুরু! নবনীতাকে ধুয়ে দিলেন জিতু কমল