Gadar Real Story : ২০০১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘গদর এক প্রেম কথা’ (Gadar Ek Prem Katha) -এর সিকুয়েল ছবি ‘গদর দা কথা কন্টিনিউজ’ (Gadar 2 : The Katha Continues) -কে ঘিরে দর্শকদের উৎসাহের কমতি নেই। তারা সিং এবং সাকিনার প্রেম কাহানি ২২ বছর আগে বক্স অফিসে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছিল। ১৯৪৭ সালের ভারত-পাকিস্তান (India-Pakistan Partition) বিভাজনের যে গল্প পর্দায় ফুটে উঠেছিল তার এক বর্ণ কিন্তু মিথ্যে নয়। ‘গদর’র গল্প হুবহু সত্যি। বরং বাস্তবে তারা সিং এবং সাকিনার পরিণতি হয়েছিল মর্মান্তিক (Real Life Tara Singh And Sakina)।
Buta Singh and Zainab
বাস্তবে কী ঘটেছিল জানতে হলে পিছিয়ে যেতে হবে ৭০ বছর। ভারত-পাকিস্তান বিভাজনের প্রেক্ষাপটে যখন হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা চলছিল তখন বুটা সিং নামের একজন ভারতীয় সৈনিক এক মুসলিম মেয়ের প্রাণ বাঁচিয়েছিলেন। সেই মেয়ের নাম ছিল জয়নাব। তারা সিং এবং সাকিনার মত বুটা সিং এবং জয়নাব একে অপরের প্রেমে পড়েন এবং তাদের বিয়ে হয়। তাদের এক কন্যা সন্তানও ছিল।
মেয়েকে নিয়ে বেশ ভালই দিন কাটাচ্ছিলেন তারা। কিন্তু দেশ বিভাজনের সময় হওয়ার সমস্ত বিয়েকে সেই সময় অবৈধ ধরা হয়েছিল। জয়নাব যেহেতু পাকিস্তানের নাগরিক ছিলেন তাই তাকে বাধ্যতামূলকভাবে পাকিস্তান চলে যেতে হয়। এদিকে বুটা সিংকে পাকিস্তানে যেতে দেওয়া হয়নি। স্ত্রীকে তিনি খুবই ভালোবাসতেন। জয়নাবকে ছাড়া তার কিংবা তাদের মেয়ের থাকা সম্ভবপর ছিল না।
India-Pakistan Partition Tragedy
স্ত্রীকে ছাড়া থাকতে না পেরে অবৈধভাবে পাকিস্তানে প্রবেশ করেন বুটা সিং। তবে তিনি ধরা পড়ে যান এবং তাকে আদালতে হাজির করা হয়। আদালতে দাঁড়িয়ে কাঁদতে কাঁদতে বুটা বলেন, জয়নাব তার স্ত্রী এবং তাদের একটি মেয়ে রয়েছে। কিন্তু তার কথা কেউই শোনেননি। অন্যদিকে জয়নাবের পরিবার তাকে বাধ্য করে তাদেরই এক নিকট আত্মীয় সঙ্গে বিয়ে করতে।
ছবিতে সাকিনা পরিবারের বিরুদ্ধে গিয়ে তার স্বামী এবং সন্তানের কাছে ফিরে গিয়েছিলেন। কিন্তু বাস্তবে জয়নাব সেটা করে উঠতে পারেননি। পারিবারিক চাপের মুখে পড়ে জয়নাব তার স্বামী এবং সন্তানের কাছে ফিরে যেতে অস্বীকার করেন। বুটা সিংয়ের সঙ্গে বিয়ে ভেঙে তিনি অন্যত্র বিয়ে করে নেন। এদিকে এই বিরহ সহ্য করতে না পেরে চরম পদক্ষেপ নিয়ে ফেলেন বুটা সিং।
আরও পড়ুন : ‘গদর ২’ ছবিতে সানি দেওলের বউমা আসলে কে? রইল বলিউডের নতুন নায়িকার পরিচয়
শোনা যায় যে স্টেশনে বসে ভারতে ফেরার ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছিলেন বুটা সিং এবং তার ছোট্ট মেয়ে। মেয়ে তখন বাবার কোলে বসে মায়ের জন্য অনবরত কাঁদছিল। আর সহ্য করতে না পেরে ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন বুটা সিং। পরে তাকে ‘শহীদ ই মহব্বত’ খেতাব দেয় পাকিস্তান। এই ঘটনার পর দীর্ঘদিন বেঁচে ছিলেন জয়নাব।
আরও পড়ুন : ৭ দিনেই ৩০০ কোটি পার! ‘গদর ২’ সুপারহিট হওয়ার পেছনে রয়েছে এই পাঁচ কারণ