Shah Rukh Khan`s Sister : বলিউড (Bollywood) -র সুপারস্টার তিনি। গোটা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি তার নামে কাঁপে। তিনি হলেন শাহরুখ খান (Shah Rukh Khan)। শুধু তিনি একা নন, তার গোটা পরিবারের উপর সদা সর্বদা লাইমলাইট ঘোরাফেরা করে। কিং খানের পরিবারের সকলের সঙ্গেই পরিচিত নেটিজেনরা। শুধু একজন বাদে। তিনি হলেন শাহরুখ খানের দিদি, শেহনাজ লালারুখ খান (Shehnaz Lalarukh Khan)। যাকে পারতপক্ষে কখনও বাড়ির বাইরে দেখা যায় না। কেন জানেন?
শাহরুখ খানের পরিবার বলতে অনেকেই তার স্ত্রী গৌরী খান এবং তিন ছেলেমেয়ে আরিয়ান খান, সুহানা খান এবং আব্রাম খানকেই চেনেন। শাহরুখের স্ত্রী এবং সন্তানরা ছাড়াও তাদের মান্নাত বাড়িতে থাকেন শাহরুখের একমাত্র দিদি লালারুখ খান। শাহরুখের পরিবারের সকলেরই তারকাসুলভ ইমেজ রয়েছে। তবে লালারুখ খান সম্পর্কে বিশেষ কিছু জানা যায় না। তিনি সবসময় নিজেকে ক্যামেরার পেছনে রাখতেই পছন্দ করেন।
আসলে শাহরুখ খুব কম বয়সে নিজের পরিবারকে হারিয়েছিলেন। তার আগে কিন্তু বাবা-মা এবং দিদিকে নিয়ে তাদের চারজনের সুখী পরিবার ছিল। শাহরুখের বাবা ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তখন তার বয়স ছিল মাত্র ১৬ বছর। বাবার মৃত্যুটা দুই ভাইবোনের কাছে ছিল অনেক বড় আঘাতের মত। শাহরুখ সেই আঘাত কাটিয়ে উঠতে পারলেও তার দিদি কিন্তু বাবার মৃত্যুর শোক কাটিয়ে উঠতে পারেননি।
অথচ শাহরুখ খানের দিদি পড়াশোনাতে খুবই মেধাবী ছিলেন। তিনি মাস্টার্স এবং এলএলবি করেছিলেন। কিন্তু বাবার মৃত্যু তাকে এতটাই মানসিক আঘাত দেয় যে জীবনটাই তছনছ হয়ে যায়। বাবার মৃত্যুর শোকে তিনি পাথরের মত হয়ে গিয়েছিলেন। একেবারেই চুপ হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। বাবার মৃত্যুর শোক বুকে চেপে রেখেছিলেন। এক ফোটাও জল গড়ায়নি তার চোখ বেয়ে। তারপর হঠাৎ করেই তার জ্ঞান চলে যায় এবং তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এতে তার মাথায় জোর আঘাত লেগেছিল।
এই ঘটনার দু’বছর পর্যন্ত শুধুই শূন্যের দিকে চেয়ে বসে থাকতেন। কথা বলা, কোনও কিছুর প্রতিক্রিয়া দেওয়া বন্ধ হয়ে গিয়েছিল তার। বাবার মৃত্যুর ১০ বছরের মাথায় তাদের মা মারা যান। আরও ভেঙে পড়েন লালারুখ। ধীরে ধীরে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। এমনকি চিকিৎসকরা পর্যন্ত একসময় হাল ছেড়ে দিয়েছিলেন। তখন ‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে’র শুটিং চলছিল। শাহরুখ তার দিদিকে নিয়ে যান সুইজারল্যান্ডে চিকিৎসা করানোর জন্য।
আরও পড়ুন : শাহরুখ নন, গৌরী খানের প্রথম স্বামী আসলে কে? জানলে ঘুরে যাবে মাথা
সেই যাত্রায় কোনওমতে বাঁচানো গিয়েছিল লালারুখ খানকে। তারপর থেকে মন্নতের প্রত্যেকটি সদস্য তার যত্ন নেন। এখন লালারুখের বয়স ৬৩ বছর। তিনি এখন অনেকটাই সুস্থ। তবে বাড়ির বাইরে খুব একটা বেরোতে পছন্দ করেন না তিনি। শাহরুখ তার কম বয়সে নিজের হাসিখুশি পরিবারকে হারিয়ে নিজেও শোকের মধ্যে চলে গিয়েছিলেন। নিজেকে কাজের মধ্যে ডুবিয়ে রেখে সেই শোক ভুলতে পেরেছিলেন তিনি। তাই এখনও কাজ না থাকলে অবসাদ গ্রাস করে তাকে। কাজ ছাড়া তিনি এক মুহূর্তও থাকতে পারেন না।
আরও পড়ুন : কোথায় হারিয়ে গেল ‘কাল হো না হো’র ছোট্ট জিয়া? দেখুন এখন কত সুন্দরী হয়েছে সে