অতটুকু বয়সেই ঝনক তার অভিনয় দক্ষতার প্রমাণ দিয়ে হাজার হাজার দর্শকের মন জয় করেছিলেন। কটা চোখের ছোট্ট-মিষ্টি এই মেয়ের নিষ্পাপ মুখ দেখলে চোখে সরাতে পারতেন না দর্শকরা। তারা ধরেই নিয়েছিলেন বড় হয়ে ঝনক অনেক বড় অভিনেত্রী হবেন। কিন্তু ৯০ এর দশকের পর কোথায় যেন হারিয়ে গেলেন ঝনক শুক্লা। এখন তার বয়স ৩০ বছর। কেমন দেখতে হয়েছে তাকে? তিনি কী করছেন এখন জানেন?
ঝনকের পরিবার আসলে ফিল্মি পরিবার। তার মা সুপ্রিয়া শুক্লা পরিণীতা, লাগে রাহো মুন্না ভাই, থ্রি ইডিয়টস এর মত বেশ কিছু ছবিতে অভিনয় করেছিলেন। আর তার বাবা হরিল শুক্লা পেশায় তথ্যচিত্র পরিচালক। খুব ছোট বয়স থেকেই অভিনয় করতে শুরু করেন ঝনক। তিনি করিশ্মা কা করিশ্মা, সোনপরী ধারাবাহিকে অভিনয় করেছিলেন। অভিনয় করেছিলেন একটি হলিউড ছবি ‘ওয়ান নাইট উইথ দ্য কিং’তেও।
কিন্তু মাত্র ১৫ বছর বয়সেই তার অভিনয় কেরিয়ারের ইতি হয়। ঝনক পরে সাংবাদিকদের কাছে জানিয়েছিলেন তিনি অভিনয় করতে ভালোবাসতেন, কিন্তু পড়াশোনা ছিল তার প্রথম আগ্রহের বিষয়। তাই তো অভিনয় দুনিয়ায় দাপিয়ে বেড়ালেও একটা সময় পর তিনি অভিনয় ছেড়ে পড়াশোনাতে মন দেন। তার বাবা-মাও চাইতেন মেয়ে গ্রাজুয়েট হয়ে তারপর নিজের ইচ্ছামত পেশা নির্বাচন করুক। সেটাই করেছেন ঝনক।
আর্কিওলজিতে মাস্টার্স ডিগ্রী অর্জন করেছেন তিনি। তবে তিনি আর অভিনয়ে ফিরতে চান না। তিনি একটি সাক্ষাৎকারে বলেছেন অভিনয়ের পেশাটা খুবই কঠিন। ঝনক ব্যবসা করতে চান। তার ইচ্ছে সাবান বানানোর ফ্যাক্টরি গড়ে তুলবেন। একবার তার এই ব্যবসা দাঁড়িয়ে গেলে তিনি পাহাড়ে গিয়ে থাকবেন। গ্ল্যামার দুনিয়ার হাতছানি তাকে এখন আর টানে না। ছোট বয়সে তিনি যা যা কাজ করেছেন এখন সেগুলোই রয়েছে তার স্মৃতির মণিকোঠায়।
আরো পড়ুন : অনিল কাপুর-শ্রীদেবীর ছেলে রোমি আজ বলিউডের নামী সুপারস্টার, রইল পরিচয়
আরো পড়ুন : কোটি টাকার লোভ দেখিয়ে ঘনিষ্ঠতার প্রস্তাব! বলিউডের মুখে ঝামা ঘষে দেন কোয়েল মল্লিক
কিছুদিন আগেই ঝনক স্বপ্নীল সূর্যবংশীর সঙ্গে বাগদান সেরেছেন। স্বপ্নীল পেশায় একজন জিম ট্রেইনার। আত্মীয়-স্বজন এবং বন্ধু-বান্ধবদের উপস্থিতিতে এই বছরের গোড়াতেই নতুন জীবনে প্রবেশ করেছেন স্বপ্নীল এবং ঝনক। সোশ্যাল মিডিয়াতে তার কিছু ঝলক তিনি তুলে ধরেছিলেন। ভক্তরা এবং বলিউড ইন্ডাস্ট্রির তারকারা তাদের দুজনকে শুভেচ্ছা জানিয়ে কমেন্ট বক্স ভরিয়ে তুলেছেন। বলিউড থেকে দূরে সরে এভাবেই নিজের মনের মত জীবন উপভোগ করছেন ঝনক শুক্লা।