কত টাকা মাইনে পান মুকেশ আম্বানি এবং নীতা আম্বানি? উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য

Mukesh Ambani And Nita Ambani`s Salary : ভারত তথা এশিয়ার সবথেকে ধনী ব্যক্তি মুকেশ আম্বানি (Mukesh Ambani)। তিনি একজন বিশ্ব বিখ্যাত বিজনেস টাইকুন। তার গোটা পরিবার রিলায়েন্স (Reliance) ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবসাকে সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে দিয়েছে। মুকেশ আম্বানির ব্যবসার পেছনে তার তিন ছেলেমেয়ে ইশা আম্বানি (Isha Ambani), আকাশ আম্বানি (Akash Ambani) এবং অনন্ত আম্বানি (Anant Ambani) -র বড় অবদান রয়েছে। পিছিয়ে নেই মুকেশ-পত্নী নীতা আম্বানি (Nita Ambani) -ও।

মুকেশ আম্বানির স্ত্রীর নীতা আম্বানির লাইফস্টাইল দেখে চমকে যান সাধারণ মানুষ। তার শাড়ি-গয়নার সম্ভার থেকে মেকআপের জিনিসের মূল্য আকাশছোঁয়া। দেশের অন্যতম ধনী মহিলা তিনি। তবে জানেন কি মুকেশ আম্বানির স্ত্রী নীতাও একজন বড় ব্যবসায়ী? তার উপরে ধীরুভাই আম্বানির নামে প্রতিষ্ঠিত ধীরুভাই আম্বানি ইন্টারন্যাশনাল স্কুল (Dhirubhai Ambani International School) -র দায়িত্ব রয়েছে।

MUKESH AND NITA AMBANI

দেশ-বিদেশের বহু পড়ুয়া ভারত বিখ্যাত এই স্কুলে পড়াশোনা করতে আসেন। এই স্কুলের দেখভালের দায়িত্ব রয়েছে নীতার উপরে। এর জন্য বেশ মোটা অংকের পারিশ্রমিকও পান তিনি। আসলে এই স্কুলের বার্ষিক ফি অনেক বেশি। এখানে ছেলেমেয়েদের পড়াতে গেলে বছরে ৯-১০ লক্ষ টাকা খরচ হয়। অবশ্য সেই অনুপাতে সুযোগ-সুবিধাও পান পড়ুয়ারা।

স্বাভাবিকভাবেই ধীরুভাই আম্বানি ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের কর্মচারী ও মালিকের বেতনও অনেক বেশি। নীতা আম্বানির বেতন কত জানেন? সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে সেই পরিসংখ্যানটা। ২০২১-২২ অর্থবছরের হিসেবে নীতা ৫ লক্ষ টাকা বৈঠক শুল্ক হিসেবে পেয়েছেন। আর কমিশন হিসেবে পেয়েছেন ২ কোটি টাকা।

MUKESH AND NITA AMBANI

অন্যদিকে ২০২০-২১ অর্থবছরে নীতা কিন্তু বেশি টাকা উপার্জন করেছিলেন। তিনি ৮ লক্ষ টাকা পেয়েছিলেন সিটিং বেতন হিসেবে। আর ১.৬৫ কোটি টাকা পেয়েছিলেন কমিশন হিসেবে। শুধু নীতা আম্বানি নয়, মুকেশ আম্বানিরও বেতনের পরিসংখ্যানটা জানা গিয়েছে। ২০০৮-০৯ অর্থ বছরে মুকেশ আম্বানি বার্ষিক ১৫ কোটি টাকা বেতন পেয়েছিলেন। এরপর নাকি তিনি আর বেতন বাড়াননি।

MUKESH AMBANI AND DHIRUBHAI AMBANI

আরও পড়ুন : মুকেশ আম্বানিকে ছেড়ে এই ব্যক্তির সঙ্গেই দিনরাত থাকেন নীতা, জানেন কীসের সম্পর্ক তাদের?

অর্থাৎ বিগত ১০ বছর ধরে মুকেশ আম্বানির বেতন বৃদ্ধি হয়নি। গত অর্থবর্ষে তিনি তার কাকার ছেলে নিখিল এবং হিতল মেসওয়ানিকে ২৪ কোটি টাকা পারিশ্রমিক দিয়েছিলেন। এছাড়া কোম্পানির দুজন সিইও পবন কুমার কপিল এবং পি এম এস প্রসাদের পারিশ্রমিক কমেছে। ২০২০-২১ অর্থ বছরে পিএমএস প্রসাদ এবং কপিল পেয়েছেন যথাক্রমে ১১.৮৯ কোটি এবং ১১.৯৯ কোটি টাকা।

আরও পড়ুন : ধীরুভাইয়ের ‘তৃতীয় পুত্র’, মুকেশ আম্বানির এই কোটিপতি ‘ভাই’য়ের সম্পর্কে খুব কম মানুষই জানেন