একদিকে জিত (Jeet) অন্যদিকে সালমান খান (Salman Khan), এইবার ঈদে বলতে গেলে কার্যত বলিউড (Bollywood) এবং টলিউডের (Tollywood) মধ্যে একটা অলিখিত প্রতিদ্বন্দ্বিতা চলছিল যেন। সরাসরি ভাইজানকে টেক্কা দেওয়ার জন্য এদিন সালমানের ছবির মুক্তির দিনেই মুক্তি পায় বাংলার সুপারস্টার জিতের ছবি ‘চেঙ্গিজ’ (Chengiz)। এই প্রথমবার মুক্তির দিনে একইসঙ্গে বাংলা এবং হিন্দিতে মুক্তি পেল টলিউডের কোনও ছবি।
স্বভাবতই তাই ছবি মুক্তির আগে থেকেই অনেক উৎসাহিত ছিলেন জিতের ভক্তরা। বিশেষ করে সালমান খানের ‘কিসি কি ভাই কিসি কি জান’ (Kisi Ki Vai Kisi Ki Jaan) নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে তেমন মাতামাতি না থাকার কারণে অনেকেই মনে করছিলেন হয়তো বা জিতের ছবি প্যান ইন্ডিয়া কিছু একটা রেকর্ড গড়তে চলেছে। তবে এই দুই ছবি মুক্তির দিনে কত ব্যবসা করল জানেন?
সালমান খানের ‘কিসি কি ভাই কিসি কি জান’ ঈদের দিনে ১৪ কোটি টাকা ঘরে আনতে পেরেছে। অর্থাৎ শুরুটাকে খুব একটা মন্দ বলা চলে না। কিন্তু এত অল্পতে খুশি নন সালমানের ভক্তরা। বিশেষজ্ঞদের মতে একদিকে ঈদ, অন্যদিকে সপ্তাহের শেষ, তাই শনি এবং রবিবার ব্যবসার পরিমাণ বাড়বে বলেই আশা করছেন তারা।
অন্যদিকে জিতের চেঙ্গিজ প্যান ইন্ডিয়া মুক্তি পেয়েও কোটির ঘরে পৌঁছতে পারেনি। ছবিটি প্রথম দিনে উপার্জন করেছে ৩৫ থেকে ৪০ লক্ষ টাকা। যার মধ্যে ২৫-৩০ লক্ষ টাকা এসেছে বাংলা থেকে। আর বাকি ১০ লক্ষ টাকা এসেছে ছবির হিন্দি ভার্সন থেকে। অভিনেতার ভক্তরা অবশ্য এই খবর শুনে বেশ খুশি। যদিও ছবির এই উপার্জন নিয়ে দ্বিমত রয়েছে টলিউডে।
টলিউড প্রযোজক রানা সরকার সোশ্যাল মিডিয়াতে ছবি উপার্জন নিয়ে বিস্ফোরক দাবি করে বলেন প্রথম দিনে জিতের ছবি আয় করেছে মাত্র ১৩ থেকে ১৪ লক্ষ টাকা। এই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে হই হই পড়ে যায়। জিতের ভক্তরা রানা সরকারের এই দাবি মানতে নারাজ। যদিও জিৎ কিংবা চেঙ্গিজের প্রোডাকশন হাউজের তরফ থেকে বক্স অফিস কালেকশনের ব্যাপারে এখনও মুখ খোলা হয়নি।
এদিকে রানা সরকারের দাবি তিনিও চান চেঙ্গিজ সুপার হিট হোক। কিন্তু বাংলা ছবিকে বাঁচাতে হলে কমার্শিয়াল সিনেমা হিট হতে হবে। সেই সঙ্গে তিনি সকলকে সিনেমা হলে গিয়ে ছবিটিকে দেখার পরামর্শ দিয়েছেন। জিতের এই ছবিটিকে নিয়ে অনেক আশাবাদী টলিউড। কারণ দক্ষিণের আঞ্চলিক ছবি কেজিএফ কিংবা পুষ্পার মত জিতের ছবিটি হিট হলে বাংলা ইন্ডাস্ট্রি ঘুরে দাঁড়াতে পারবে দক্ষিণের মতই।