বলিউডের (Bollywood) বাদশা তিনি। গত ৩০ বছর ধরে তিনি বলিউডে দাপটের সঙ্গে রাজত্ব করছেন। দেশের পাশাপাশি বিদেশেও তার অনেক ফ্যান-ফলোয়ার্স। ভক্তদের ভালবাসা আজ তাকে এই পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছে। ভক্তরা শাহরুখ খানের (Shah Rukh Khan) পরিবার নিয়েও ভীষণ আগ্রহী। তার পরিবার বলতে স্ত্রী গৌরী খান আর তিন সন্তান আরিয়ান, সুহানা ও আব্রামকে তো সকলেই চেনেন।
তবে জানেন কি শাহরুখের পরিবারে তার স্ত্রী এবং সন্তানরা ছাড়াও আরও একজন ব্যক্তি থাকেন? তিনি হলেন শাহরুখের বোন শেহনাজ লালারুখ খান (Shehnaz Lalarukh Khan)। পারতপক্ষে দিদিকে কখনও সামনে আনেন না শাহরুখ খান। তার কারণ জানলে চমকে যাবেন। দিদিকে সবসময় ক্যামেরার থেকে আড়ালেই রাখেন তিনি।
শাহরুখের চেয়ে বয়সে বেশ বড় লালারুখ। তাকে শুধু খান পরিবারের পার্টিতেই উপস্থিত থাকতে দেখা যায়। নিজের পরিবারের অনুষ্ঠান ছাড়া বাইরে থাকে বের করাই হয় না। আসলে তিনি দীর্ঘদিন ধরে মানসিক অবসাদে ভুগছেন। আসলে খুব অল্প বয়সেই মারা যান শাহরুখ এবং লালারুখের বাবা মীর তাজ মহম্মদ খান। সেই ধাক্কাটা সামলাতে পারেননি লালারুখ।
শাহরুখ এবং তার দিদি লালারুখের বাবা যখন মারা যান তখন তাদের পরিবারের অবস্থা ছিল খুবই খারাপ। শাহরুখ একবার একটি সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন তার দিদি কিন্তু লেখাপড়ায় ভীষণ ভাল ছিলেন। তবে বাবার আচমকা মৃত্যু তাকে মনে মনে ভেঙে দেয়। এর কিছুদিনের মধ্যে তাদের মাও মারা যান। দিদিকে এরপর আর স্বাভাবিক জীবনে ফেরাতে পারেননি শাহরুখ।
শাহরুখ বলেন, “বাবা-মা চলে যাওয়ার পর সেই যন্ত্রণা থেকে আর ফিরতে পারেননি বোন শেহনাজ। মনে পড়ে আমার বোন সোজা দাঁড়িয়ে আছে। বাবার মৃতদেহ দেখে সে শুধু তাকিয়েই রইল, না কাঁদছে না কিছু বলছে। তারপর মাথা ঘুরে পড়ে গেল মাটিতে।” শাহরুখের ‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে’ ছবির শুটিং চলাকালীন শেহনাজ খুবই অসুস্থ হয়ে পড়েন।
ওই সময় শেহনাজকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়। ডাক্তার বলেই দিয়েছিলেন তাকে বাঁচানো যাবে না। এরপর শাহরুখ বোনকে সুইজারল্যান্ডে নিয়ে যান। সেখানে তাকে উন্নতমানের চিকিৎসা করান। একদিকে বোনের চিকিৎসা, অন্যদিকে ‘তুজে দেখা তো ইয়ে জানা সনম’ গানের শুটিং চলছিল সুইজারল্যান্ডে। দিদিকে সে যাত্রা প্রাণে রক্ষা করতে পেরেছিলেন শাহরুখ, কিন্তু তাকে মানসিক অবসাদ থেকে বের করে আনতে পারেননি।