Rashmika Mandanna Educational Qualification : এই মুহূর্তে দক্ষিণের সুপারস্টার অভিনেত্রীদের মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছেন রশ্মিকা মান্দানা (Rashmika Mandanna)। অল্লু অর্জুনের সঙ্গে ‘পুষ্পা’ ছবিতে অভিনয় করে তিনি রাতারাতি গোটা ভারতবর্ষে জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। তবে তার বেশ কিছুদিন আগেই তিনি পেয়েছিলেন জাতীয় ক্রাশের তকমা। তার সৌন্দর্য এবং চেহারার অভিব্যক্তিতে মুগ্ধ গোটা দেশ। তিনি কতদূর শিক্ষিত সেটা জানেন কি?
জাতীয় ক্রাশ রশ্মিকাকে প্রকৃত অর্থেই বিউটি উইথ ব্রেইন বলা যেতে পারে। সৌন্দর্য এবং অভিনয়ের দিক থেকে তিনি যেমন দক্ষিণের প্রথম সারির অভিনেত্রীদের তালিকায় এসেছেন ঠিক তেমনই শিক্ষাগত যোগ্যতার দিক থেকেও তিনি আর পাঁচজন অভিনেত্রীদের তুলনায় অনেকটাই এগিয়ে। ছোটবেলা থেকেই অভিনয়ের প্রতি আগ্রহ থাকলেও তিনি পড়াশোনায় কখনও অবহেলা করেননি।
ছোট থেকেই অভাবকে সঙ্গী করে বড় হয়েছেন রশ্মিকা। কিন্তু তবুও তার এবং তার বোনের ইচ্ছে পূরণে কখনও খামতি রাখেননি তার বাবা-মা। শত কষ্ট করেও দুই মেয়েকে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলেছিলেন তারা। রশ্মিকা প্রথমে কোডাগুর কুর্গ পাবলিক স্কুল থেকে পড়াশোনা করেন। স্কুলের পড়াশোনা শেষ করার পর রশ্মিকা তার আগ্রহের বিষয় টেলিভিশন বিজ্ঞাপন এবং মডেলিং ইভেন্টে কাজ করতে শুরু করেন।
স্কুলের পর উচ্চশিক্ষার জন্য প্রি-ইউনিভার্সিটি কোর্স করতে তিনি মহীশূরের ইনস্টিটিউট অফ কমার্স অ্যান্ড আর্টসে ভর্তি হন। এরপর আবার বেঙ্গালুরুর রামাইয়া কলেজ অফ আর্টস সায়েন্স অ্যান্ড কমার্সে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। মনোবিজ্ঞান, ইংরেজি সাহিত্য এবং সাংবাদিকতায় ডিগ্রি রয়েছে রশ্মিকার ঝুলিতে।
এরপর জাতীয় প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে তিনি সরাসরি লাইমলাইটে চলে আসেন। তার ছবি যখন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয় তখন ছবি নির্মাতারা তাকে দেখে মুগ্ধ হয়ে যান। এরপরেই একের পর এক ছবির সুযোগ আসতে থাকে তার হাতে। ২০১৬ সালে ‘করিক পার্টি’ ছবির হাত ধরে তিনি সিনেমাতে পা রাখেন। এরপর তাকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।
রশ্মিকা এখন দক্ষিণের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিকপ্রাপ্ত অভিনেত্রী। সারা দেশ জুড়ে প্রচুর অনুরাগী রয়েছে তার। যদিও মাঝে মাঝে স্পষ্ট কথা বলার কারণে তাকে নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়। রশ্মিকা এখন দক্ষিণের পাশাপাশি বলিউড ছবিতেও অভিনয় করছেন। তার জীবনে এখন একটাই লক্ষ্য, মা-বাবা এবং বোনকে একটা ভাল জীবন উপহার দেওয়া। তার জন্যই পরিশ্রম করে চলেছেন তিনি।