বলিউডে (Bollywood) মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty) যখন নিজের জায়গা গড়ে তোলার চেষ্টা করছিলেন তখন তাকে অনেক সংগ্রাম করতে হয়েছিল। বিশেষত তৎকালীন সময়ের তারকারা কার্যত তার সঙ্গে ভীষণ দুর্ব্যবহার করতেন। জিতেন্দ্রর সঙ্গে মিঠুনের রেষারেষির খবর তো সকলেই জানেন। সেই সঙ্গে বলিউডের বর্ষিয়ান অভিনেতা রাজকুমারও (Raj Kumar) মিঠুনকে চূড়ান্ত অপমান করেছিলেন।
দীর্ঘ প্রায় চার দশক বলিউডে ছিলেন রাজকুমার। পুলিশের চাকরি ছেড়ে তিনি খুব কম সময়ের মধ্যেই বলিউডের সুপারস্টার হয়ে ওঠেন। কিন্তু মিঠুনকে প্রথমবার দেখে চরম অপমান করেছিলেন তিনি। ১৯৮৯ সালে ‘গলিও কা বাদশা’ ছবিতে রাজকুমারের সঙ্গে একটা ছোট্ট চরিত্রে অভিনয় করার সুযোগ পান মিঠুন। এই ছবিতে হেমা মালিনী, স্মিতা পাতিল ও পুনম ঢিলোও অভিনয় করেছিলেন।
এই ছবিতে মিঠুনের মত একজন উঠতি নায়ককে সুযোগ দেওয়ার খবরে বেশ রেগে গিয়েছিলেন রাজকুমার। তার মনে হয়েছিল চরিত্র যতই ছোট হোক না কেন সেখানে একজন নামী নায়ককেই কাস্ট করতে হত। এই নিয়ে তিনি পরিচালকের সঙ্গে তর্কাতর্কি করছিলেন। একটু দূরেই দাঁড়িয়ে ছিলেন মিঠুন। রাজকুমারের কথা তার কানে বিঁধছিল তখন।
মিঠুন এরপর আর সহ্য করতে না পেরে সোজা রাজকুমারের কাছে গিয়ে তাকে বলেন, ‘‘আপনি যাকে উঠতি নায়ক বলছেন সেই মানুষটা আমি।” রাজকুমার তাকে দেখে হেসে গড়িয়ে পড়েন। তিনি বলেন, “তুমি কোথায় এসেছ জানো? অভিনয় করা মুখের কথা নয়। বাচ্চাদের খেলার জিনিস নয় এটা।” মিঠুন পাল্টা জবাবে বলেন, “আমি জানি অভিনয় করা সহজ নয়। সাত বছর আমি এই পেশায় আছি।”
মিঠুন সেদিন রাজকুমারকে বলেছিলেন তিনি একদিন অনেক বড় অভিনেতা হবেন। মিঠুনের কথা শুনে আবার হেসে ফেলেন রাজকুমার। তিনি কটাক্ষ করে বলেন, “যদি কোনও ছবিতে কাজের প্রয়োজন হয় আমার কাছে এস, ছোট চরিত্র হোক বা বড় আমি তোমাকে কাজ পাইয়ে দেব।” সেদিনের সেই অপমানে কষ্ট পেয়েছিলেন মিঠুন। তবে তিনি মুখে কিছুই বলেননি।
মুখে কিছু না বললেও নিজের কথা রেখেছিলেন মিঠুন। পরে আর কয়েক বছরের মধ্যেই তিনি সুপারস্টার হয়ে নিন্দুকদের মুখ বন্ধ করে দেন। প্রমাণ করে দিয়েছিলেন তিনি কত বড় তারকা। অন্যদিকে বলিউডে ৪০ বছর অভিনয় করার পর ১৯৯৬ সালে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন রাজকুমার।