বর্তমানে সারাদেশ এমনকি বিশ্বের কোটি কোটি সংগীতানুরাগীদের মনেও রাজত্ব করছেন অরিজিৎ সিং (Arijit Singh)। দিন প্রতিদিন নিজের রেকর্ড তিনি নিজেই ভাঙছেন। বর্তমানে বিশ্বসেরা গায়কদের মধ্যে সেরার সেরা তালিকায় রয়েছেন তিনিও। তার এক একটি কনসার্টের টিকিটের দাম লাখ টাকার উপরে। সাধারণত এমন তারকারা সাধারণের ধরাছোঁয়ার বাইরেই থাকেন, তবে ব্যতিক্রম শুধুই অরিজিৎ।
অরিজিতের মত এমন বিশ্বমানের তারকারা তাদের তারকা সুলভ ইমেজ বজায় রাখার জন্য ভক্তদের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রেখেই চলেন। সেখানে অরিজিতকে মাঝেমধ্যেই সাধারণ মানুষের মতই ভিড়ের সঙ্গে মিলেমিশে পথ চলতে দেখা যায়। তাকে কোনও বিলাসবহুল ফ্ল্যাটে থাকতে কিংবা নামিদামি কোম্পানির গাড়ি থেকে নামতে দেখা যায়নি কখনও। তিনি যেমন অতি সাধারণ জীবনযাপন করেন তেমনটা কল্পনাও করতে পারবেন না কেউ।
দামী ফ্ল্যাট বা গাড়ি নয়, ভিড়ের মধ্যে বডিগার্ড নিয়ে চলাফেরা নয়, অরিজিত খুবই সাধারণভাবে সাধারণের সঙ্গে মিশে থাকতে চান। সাধারণ টিশার্ট, পায়ে চটি এবং স্কুটারে চেপে রাস্তায় ঘোরেন অরিজিৎ। তার নিজের শহর জিয়াগঞ্জে তাকে এভাবেই দেখতে অভ্যস্ত সকলে। একবার একটি সাক্ষাৎকারে তাকে এই নিয়ে প্রশ্নও করা হয়। তার যে জবাব অরিজিৎ দিয়েছিলেন তা ভক্তদের মন জিতে নিয়েছিল।
অরিজিতকে প্রশ্ন করা হয় তিনি কেন এত সাধারণভাবে থাকেন? এই প্রশ্নতে প্রথমটা ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গিয়েছিলেন এই জনপ্রিয় গায়ক। কী উত্তর দেবেন প্রথমটা বুঝে উঠতে পারছিলেন না তিনি। তাই তিনি পাল্টা প্রশ্ন করেন, ’এত ইউনিক প্রশ্ন কেন?’ তারপর অরিজিৎ জবাব দেন, “আমি এভাবেই থাকতে পছন্দ করি। এভাবেই ভাল আছি।”
অরিজিৎ বলেছেন জিয়াগঞ্জে তার পৈত্রিক ভিটের রাস্তায় মাঝে মাঝে রিক্সাও যেতে চায় না। তাই ওইটুকু পথ তাকে হেঁটেই যেতে হয়। নিজস্ব গাড়ি থাকলেও দেখনদারি একেবারেই আসে না অরিজিতের। বড় মাপের শিল্পী হওয়ার কারণে বছরে তার উপার্জন কিছু কম নয়। কিন্তু উপার্জনের টাকাটা তিনি নিজের কিংবা পরিবারের বিলাসিতার পেছনে খরচ করেন না।
অরিজিৎ তার সাম্প্রতিকতম একটি কনসার্টে বলেছিলেন তার ১০০ কোটি টাকা প্রয়োজন, তার কারণ তিনি একটি বিশ্বমানের স্কুল গড়ে তুলতে চান তার শহরে। এছাড়াও অরিজিত সমাজের খাতিরে দান-ধ্যান করেই থাকেন। অসহায় মানুষেরা কখনও তার কাছে হাত পেতে ফিরে যাননি।