হাজার ব্যস্ততা সত্ত্বেও ‘বেস্ট মা’, ছেলেকে নিয়ে পিকনিকে মাতলেন রচনা, ভাইরাল ছবি গ্যালারি

বাংলার ‘দিদি নাম্বার ওয়ান’ (Didi Number One) বলতেই মাথায় আসে রচনা ব্যানার্জীর (Rachana Banerjee) নাম। টলিউডের পর টেলিভিশনেও রচনা ব্যানার্জী নিজের নামে একটা ব্র্যান্ড প্রতিষ্ঠা করেছেন। তার নাম যশেই দিনের পর দিন জি বাংলা ‘দিদি নাম্বার ওয়ান’ শোয়ের জনপ্রিয়তা বেড়েছে। শোয়ের শুটিংয়ের জন্য তার সারাদিন চলে যায়। এর আগে তিনি এই বিষয়ে আক্ষেপ করে বলেছিলেন মা সারাদিন শুটিংয়ে ব্যস্ত থাকে বলে তার ছেলের অনেক অভিমান জমে আছে মায়ের উপর!

তবে রচনা ব্যানার্জীর যেমন অভিনেত্রী নাম্বার ওয়ান, তেমনই সঞ্চালিকা নাম্বার ওয়ান, সেই সঙ্গে তিনি নাম্বার ওয়ান মাও বটে। কারণ দিনে যতই ব্যস্ততা থাকুক না কেন, হাজার ব্যস্ততার মধ্যেও তিনি তার ছেলেকে দেওয়ার জন্য সময়টুকু ঠিকই বের করে নেন। ছেলের জন্মদিন হোক কিংবা ছেলেকে নিয়ে ছোটখাটো আউটিং, ব্যস্ততম শুটিং শিডিউল থেকে ঠিকই সময় বের করে নেন রচনা।

এই তো যেমন এখন বছরের শুরুতেই ছেলে ও ছেলের কিছু বন্ধুদের নিয়ে পিকনিকে গিয়েছিলেন তিনি। রচনা এমনিতেই ঘুরতে যেতে ভালবাসেন। সুযোগ পেলেই তিনি তার বন্ধুদের নিয়ে বেরিয়ে পড়েন। তবে এদিন তিনি তার ছেলে ও কচিকাঁচাদের নিয়ে বেড়াতে গিয়েছিলেন। সেখানেই জমিয়ে পিকনিক করেন তারা। তার কিছু ছবি তিনি তুলে ধরেছিলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।

এদিন সকলে মিলে টাকিতে গিয়েছিলেন পিকনিক করতে। ছবিতে রচনার সঙ্গে তার ছেলের প্রণীলকেও দেখা গিয়েছে। সবাই মিলে এদিন জমিয়ে মজা আর খাওয়া দাওয়া করেছেন। রচনা এমনিতে ভীষণ ডায়েট সচেতন। তার নাকি দিনের শুরুটা হয় করলার রস দিয়ে! তবে এদিন কিন্তু খাবারের মেনুতে ডায়েটের নামগন্ধ ছিল না। কচুরি থেকে মটন, বাদ যায়নি কিছুই।

ইনস্টাগ্রামে রচনা যে ছবিগুলি শেয়ার করেছেন তার মধ্যে লোভনীয় সব খাবার-দাবারের আইটেমের ছবিও দেখা গিয়েছে। এদিন পিকনিকের অনুষ্ঠানটা বেশ জমিয়েই হয়েছে। ছোট থেকে বড় সকলেই চুটিয়ে আনন্দ উপভোগ করেছেন। কাজ ভুলে রচনাও এদিন ছোটদের সঙ্গে পিকনিকের আনন্দ উপভোগ করেছেন মন খুলে।

আসলে বর্তমানে রচনার জীবন জুড়ে রয়েছে তার ছেলে এবং কাজ। দিদি নাম্বার ওয়ানের সঞ্চালনার পাশাপাশি তিনি তার শাড়ির ব্যবসাকেও এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। রচনা তার শাড়ির ব্যবসার ব্র্যান্ড বিদেশে অব্দি ছড়িয়ে দিয়েছেন। সেই সঙ্গে তিনি প্রতিদিন কোটি কোটি মহিলাকে অনুপ্রেরণা যোগান। রচনা বারবার বলেন প্রত্যেকটি মহিলারই স্বনির্ভর হওয়া প্রয়োজন।